বেহাল রাস্তা সারানোর দাবিতে শুক্রবার প্রায় সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন মিনিবাস ও ট্রেকারের চালক ও কর্মীরা। পুলিশি হস্তক্ষেপে অবরোধ উঠে যায়।
জামুড়িয়া থেকে রানিগঞ্জ যাওয়ার প্রধান রাস্তায় রানিসায়র থেকে মণ্ডলপুর পর্যন্ত প্রায় ৬ কিলোমিটার অংশ খানাখন্দে ভরা। এলাকাবাসী এ নিয়ে বারবার বিক্ষোভ দেখানোর পরে এডিডিএ রাস্তা সারানোর জন্য পূর্ত দফতরকে অনুদান দেয়। প্রথম পর্বে রাস্তা সংস্কারের সময়ে এলাকাবাসী নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন। বিধানসভা ভোটের আগে অতিরিক্ত জেলাশাসক ও জামুড়িয়ার তৎকালীন বিধায়ক ধীরাজলাল হাজরা পূর্ত দফতরকে সঙ্গে নিয়ে রাস্তা পর্যবেক্ষণ করেন। তখন বিধায়ক জানিয়েছিলেন, আরও দু’দফায় সংস্কারের কাজ হবে। এর পরে ভোটের আগেই সংস্কার শেষ করা হয়। কিন্তু কয়েক মাসের মধ্যেই রাস্তাটি ফের ভাঙতে শুরু করেছে। ছোটখাট দুর্ঘটনা লেগেই রয়েছে এই রাস্তায়। কয়েক জায়গায় রাস্তা ডোবার আকারও নিয়েছে। |
জামুড়িয়ার একটিলাপুকুর এলাকায় রাস্তা থেকে ফুট পাঁচেক দূরত্বে রয়েছে একটি পুকুর। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়ি এই পুকুরে গিয়ে পড়ার ঘটনা আগেও ঘটেছে। এ দিন সকাল ৮টা নাগাদ একটি লরির কিছুটা অংশ পুকুরে আটকে যায়। এমন পরিস্থিতি দেখে ঘণ্টাখানেক পরে একটি মিনিবাস ও একটি ট্রেকার রাস্তায় রেখে অবরোধ শুরু হয়। একে একে আটকে পড়ে বহু গাড়ি। নাকাল হন যাত্রীরা। মিনিবাস চালক ব্রহ্মদেও সিংহ, ট্রেকার চালক মহম্মদ সেলিমদের অভিযোগ, “এই রাস্তায় গাড়ি চালাতে গিয়ে যন্ত্রাংশ ভেঙে পড়ছে। ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। প্রশাসন নির্বিকার।” আসানসোল মিনিবাস অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সুদীপ রায় জানান, কর্মীরা এমন ঝুঁকি নিয়ে বাস চালাতে রাজি হচ্ছেন না।
আসানসোলের মহকুমাশাসক সন্দীপ দত্ত জানান, ওই রাস্তা সারানো নিয়ে সম্প্রতি পূর্ত দফতরের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। শীঘ্রই বেহাল অংশ সারানো হবে। জামুড়িয়ার পুরপ্রধান ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, পূর্ত দফতরের সঙ্গে রাস্তা সংস্কার নিয়ে আলোচনায় বসা হবে। এডিডিএ-র চেয়ারম্যান তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, আগে যে নিম্নমানের রাস্তা সংস্কারের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের কাছে তদন্তের দাবি জানানো হবে। |