|
|
|
|
বিক্ষুব্ধ গবেষকেরা |
নিজস্ব সংবদদাতা • শিলিগুড়ি |
নতুন পদ্ধতি চালু না-হওয়ার গবেষণার কাজ আটকে পড়েছে অভিযোগে প্রশাসনিক ভবনের দরজা আটকে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করল উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক সংগঠনের সদস্যরা। মঙ্গলবার ওই আন্দোলনের জেরে প্রাশাসনিক কাজকর্ম ব্যহত হয়ে পড়ে। কর্মী আধিকারিকেরা কাজে যোগ দিতে পারেননি। তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কর্তৃপক্ষ। বিশেষ করে বিএ, বিএসসি, বিকম অনার্সের ফল প্রকাশ হওয়ায় স্নাতকোত্তর বিভাগে ছাত্রছাত্রীদের ভর্তির ব্যাপারে কাজকর্ম আটকে পড়ায় সমস্যা দেখা দিয়েছে। অন্য দিকে বিএ, বিএসসি, বিকমের পাস কোর্সের ফল প্রকাশের কাজ চলছে। প্রশাসনিক কাজ কর্ম ব্যহত হলে তা সময় মতো প্রকাশ করাও যাবে না। অসুস্থার জন্য চিকিৎসার প্রয়োজনে এ মুহূর্তে কলকাতায় রয়েছেন উপাচার্য অরুণাভ বসু মজুমদার। অসুস্থতার মধ্যেও তিনি গবেষণার ক্ষেত্রে নতুন পদ্ধতি চালুর বিষয়টি নিয়ে তদ্বির করছেন। উচ্চ শিক্ষা দফতর থেকেও এর মধ্যে সে ব্যাপারে নির্দেশ আসার অপেক্ষা করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে প্রশাসনিক কাজকর্ম ব্যহত হলে শিক্ষা দফতর থেকে নির্দেশ, ফ্যাক্স বার্তা না আসতে পারলে সমস্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
গবেষক সংগঠনের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের নিয়ম মেনে নতুন নিয়ম চালু না হওয়ায় আড়াই বছরের বেশি সময় ধরে গবেষণার কাজ বন্ধ রয়েছে। অথচ তা নিয়ে বারবার জানাতে গেলেও আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। কাজের কাজ হয়নি। তাই লাগাতার আন্দোলন শুরু করা হয়েছে। ঘটনার কথা জেনে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন উপাচার্য অরুণাভ বসু মজুমদার। তিনি জানান, নতুন পদ্ধতি চালু ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তৎপর তা ছাত্রছাত্রীদের জানানো হয়েছে। ইতিমধ্যেই উচ্চ শিক্ষা দফতর থেকে নতুন নিয়ম চালুর নথিপত্র আচার্যের কাছে পাঠানো হয়। নতুন নিয়ম লাগু করার ক্ষেত্রে আচার্যের অনুমোদনও মিলেছে। তিনি বলেন, “উচ্চ শিক্ষা দফতর থেকে এ ব্যাপারে শীঘ্রই প্রয়োজনীয় নির্দেশ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছলে আবেদনের ভিত্তিতে গবেষণার কাজে উৎসাহীদের নাম নথিভুক্তকরণের প্রক্রিয়া দ্রুত শুরু করা হবে। এই পরিস্থিতিতে প্রশাসনিক ভবনের কাজকর্ম আটকে এ ভাবে আন্দোলন হলে ফের সেই প্রক্রিয়ায় ব্যহত হবে। এ দিন আন্দোলনের নামে যে ভাবে প্রশাসনিক কাজকর্ম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে তা উদ্বেগের। তাতে ছাত্রছাত্রী-শিক্ষক-কর্মী সকলেরই ক্ষতি হবে।” আন্দোলনকারী রিসার্চ স্কলার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রাজীব বিশ্বাসের অভিযোগ, নতুন আইন চালু না হওয়ায় তাঁদের মতো প্রায় ২০০ ছাত্রছাত্রী গবেষণার কাজ করতে পারছেন না। অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে তা লাগু হলেও উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের গাফিলতিতে এখানে তা চালু হয়নি। তিনি বলেন, “বিষয়টি রাজ্যের উচ্চ শিক্ষামন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য তথা রাজ্যপালকে জানানো হয়েছে। কাজ হয়নি। অবিলম্বে ব্যবস্থা না-নেওয়া হলে বিশ্ববিদ্যালয় অচল করে বড় ধরনের আন্দোলন করা হবে।” বিএ, বিএসসি, বিকম অনার্সের রেজাল্ট থাকায় এ দিন পরীক্ষা নিয়ামক বিভাগকে ছাড় দেওয়া হলেও এর পর থেকে ওই বিভাগের কাজকর্মও বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন তারা। |
|
|
 |
|
|