|
|
|
|
যথাসময়ে ফলপ্রকাশ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
পরীক্ষা পিছিয়ে মাস দুয়েক পরে হলেও ফল প্রকাশ হল প্রায় যথাসময়েই। পরীক্ষা শেষের পর ৬৪ দিনের মাথায় মঙ্গলবার উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিএ, বিএসসি, বিকমের ফল প্রকাশ করলেন। এ দিনই সংশ্লিষ্ট কলেজগুলির হাতে রেজাল্ট তুলে দেওয়া হয়েছে।
গত কয়েক বছর ধরেই অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ে অনেকটা আগে ফল প্রকাশ করে আসছে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়। তবে এ বার রাজ্যে নির্বাচনের জন্য স্নাতকস্তরে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকা কলেজগুলিতে পরীক্ষা ১ এপ্রিলের পরিবর্তে ১ মাস ২৩ দিন পিছিয়ে যায়। ২৩ মে থেকে ৬ জুন পর্যন্ত পরীক্ষা চলে। উত্তরবঙ্গে প্রথম দফায় নির্বাচনের জন্য পরীক্ষা পিছতে হলেও দক্ষিণবঙ্গে নির্বাচন পরে হওয়ায় সেখানকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলির পক্ষে পরীক্ষা চালানোর ক্ষেত্রে সমস্যা হয়নি। অথচ ফল প্রকাশ দেরিতে হলে এখানকার ছাত্রছাত্রীরা অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ভর্তির ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়বেন। সে কারণে দ্রুত ফল প্রকাশ করাটা ছিল বড় চ্যালেঞ্জ। সেই কাজটাই করে দেখালেন তাঁরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা বিভাগের নিয়ামক সুশান্ত দাস বলেন, “এ বার পরীক্ষা প্রায় ২ মাস পিছয়ে গিয়েছিল। তবে ছাত্রছাত্রীর কথা মাথায় রেখে সময় মতো প্রকাশের জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হয়। দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়গুলির ফল প্রকাশের ৮-১০ দিনের মধ্যে আমরা স্নাতকস্তরে অনার্সের পরীক্ষার ফল এ দিন প্রকাশ করলাম।” তিনি জানান, আরও অন্তত দিন চারেক আগে ফল প্রকাশ করা যেত। কিন্তু গত ৩ অগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি ছাত্র সংগঠনের ডাকা বন্ধের জেরে ফল প্রকাশের জন্য শেষ পর্বের কাজ আটকে যায়। ফল প্রকাশের আগে ওই দিন কিলেজের কো অর্ডিনেটরদের নিয়ে বৈঠক করার কথা ছিল। সেই মতো ৫ অগস্ট ফল প্রকাশ করার কথা ভাবা হয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছরের তুলনায় এ বার বিএসসি, বিকমের পরীক্ষায় পাশের হার বেড়েছে ৩.৯২ শতাংশ এবং ১.৩৫ শতাংশ। বিএতে পাশের হার কমেছে ৫.৯৪ শতাংশ। এ বছর বিএ, বিএসসি, বিকমে পরীক্ষার্থী ছিল ৭১৮১, ৭৯৪ এবং ৬১৫ জন। পাশের হার ৭৮.৪৯, ৮৬.২৮ এবং ৮৬.১৮ শতাংশ। বিএ’তে প্রথম বিভাগে পাশ করেছেন ৭২ জন। বিএসসি এবং বিকমে ৯২, ১৫১ জন প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হয়েছেন। |
|
|
 |
|
|