|
|
|
|
কিশোর খুন ধূপগুড়িতে |
নিজস্ব সংবাদদাতা• ধূপগুড়ি |
বাড়ির পাশেই নদীর পাড় থেকে কিশোরের মৃতদেহ উদ্ধারকে ঘিরে রহস্য দানা বাধছে ধূপগুড়িতে। মঙ্গলবার শহরের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে কুমলাই নদীর পাড় থেকে পুলিশ ওই কিশোরের দেহ উদ্ধার করে। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম সুজিত বিশ্বাস (১৩)। তাঁর মাথায় ও বুকে ভারী কিছু দিয়ে আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের সন্দেহ ওই কিশোরকে খুন করা হয়েছে। কিন্তু কে, বা কারা ওই কিশোরকে কেনই বা খুন করল সেই ব্যাপারে পুলিশ এখনও অন্ধকারে। এদিন সন্ধ্যায় ময়না তদন্তের পরে সুজিতের দেহ জলপাইগুড়ি থেকে পৌঁছতেই ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা রাস্তা অবরোধ করেন। পুলিশ কুকুর আনা এবং খুনিদের গ্রেফতারের দাবি তোলা হয়। এলাকার শতাধিক বাসিন্দা সন্ধ্যা সওয়া ৬টা থেকে শহরের ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক চৌপতি এলাকায় বিক্ষোভ শুরু করেন। বাসিন্দাদের অভিযোগ, পুলিশ অভিযুক্তদের ধরতে তৎপর নয়। এখনও ওই ঘটনায় কেউ গ্রেফতার হয়নি। অবরোধের ফলে শিলিগুড়ি, কোচবিহারগামী বহু বাস সহ প্রচুর গাড়ি আটকে পড়ে। ধূপগুড়ি থানার আইসি সুভাষ প্রধান বলেন, “কেন এবং কারা ওই কিশোরকে খুন করল সেটা আমাদের কাছে স্পষ্ট নয়। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। এখনও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।” |
 |
ছবি: রাজকুমার মোদক। |
এলাকার বাসিন্দারা জানান, বছর কয়েক আগে ওই কিশোরের বাবা মারা যান। সংসারের হাল ধরতে সুজিত ধূপগুড়ি বাজার এলাকার একটি মণিহারি দোকানে কাজ করত। সোমবার বাড়িতে পুজো থাকায় সে দোকানে কাজ করতে যায়নি। বিকেল থেকে তার কোনও খোঁজ মিলছিল না। পরিবারের লোকজন এবং প্রতিবেশীরা সুজিতের খোঁজ না-পেয়ে রাতে ধূপগুড়ি থানায় খবর দেন। এ দিন সকালে কয়েক জন বাসিন্দা কুমলাই নদীর পাড়ে গিয়ে সুজিতের মৃতদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ পৌঁছনোর পর মৃতদেহ শনাক্ত করে মা সবিতা দেবী। তদন্তকারী পুলিশ জানিয়েছে, বুকে ও মাথায় কোনও ভারী জিনিস দিয়ে মেরে ওই কিশোরকে নদীর পাড়ে ফেলে রাখে দুষ্কৃতীরা। কারা কেন সুজিতকে খুন করল তা ভেবে পাচ্ছেন না প্রতিবেশীরাও। সুজিতের মা পুত্র হারানোর শোকে বিহ্বল। সবিতা দেবী বলেন, “আমার ছেলেকে যারা মেরেছে তাদের উপযুক্ত শাস্তির দাবি করছি। স্বামী হারাবার পর একমাত্র সম্বল ছেলেকে হারালাম।” |
|
|
 |
|
|