|
|
|
|
দুর্ঘটনায় মৃত দুই স্কুল ছাত্র |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
টিউশন পড়ে বাড়ি ফেরার পথে চাল বোঝাই একটি ট্রাকের ধাক্কায় মৃত্যু হল স্কুটার আরোহী দুই স্কুল ছাত্রের। মঙ্গলবার বিকাল ৫টা নাগাদ ভক্তিনগর থানার জ্যোতিনগর এলাকায় একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের সামনে ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম মনীশ গুপ্ত (১৪) ও আমন জিন্দাল (১৫)। মণীশ সপ্তম শ্রেণিতে পড়াশোনা করত। আমন অস্টম শ্রেণির ছাত্র ছিল। দুইজনেই দাগাপুরের একটি বেসরকারি স্কুলের ছাত্র ছিল। মনশীরে বাড়ি সেবক রোডে ও আমনের বাড়ি পঞ্জাবীপাড়ায়। ২ ছাত্রের মৃত্যুতে গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পুলিশ ট্রাকটিকে আটক করেছে। ট্রাকের চালক ও খালাসি পলাতক। ঘটনার পর ট্রাফিক পুলিশের নজররদারি বাড়ানোর দাবি তুলেছেন বাসিন্দারা। জলপাইগুড়ির এক পুলিশ কর্তা বলেন, “গোটা ঘটনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ওই এলাকায় ট্রাফিকের নজরদারি বাড়ানো হবে।” পুলিশ জানাচ্ছে, জ্যোতিনগর এলাকায় প্রাভইভেট টিউশনি পড়ে দুটি স্কুটারে চারজন ছাত্র সেবক রোডের দিকে যাচ্ছিল। ওই একই রুটে চাল বোঝাই একটি ট্রাক সেবক রোডের দিকে যাচ্ছিল। ইংরেজি মাধ্যম ওই স্কুলের ঠিক সামনে দুটি স্কুটারই ট্রাকটিকে পাশ কাটানোর চেষ্টা করে। রাস্তার বাঁ দিক দিয়ে ট্রাকটিকে পাশ কাটানোর চেষ্টা করছিল মনীশ। তাঁর স্কুটারের পেছনে বসে ছিল আমন। ট্রাকের পিছনের চাকাতেই পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় দুইজনের। স্কুটারটি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। পুলিশ গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এলাকার বাসিন্দারা ব্রিজেশ সিংহ, নিকেশ অগ্রবালরা জানান, ছোট সরু রাস্তায় স্কুলের সামনে পাঁচিল দেওয়া রয়েছে। সেইদিক দিয়েই ট্রাকটিকে পাশ কাটাতে গিয়ে দুর্ঘটনার মুখে পড়ে ওই দুই ছাত্র। বাসিন্দারা জানান, ইস্টার্ন বাইপাস থেকে সেবক রোডের যোগাযোগের জ্যোতিনগরের ওই রাস্তায় পাঁচটি বেসরকারি স্কুল রয়েছে। একটি কলেজও রয়েছে। রাস্তাটি প্রয়োজনের তুলনায় কম চওড়া। সেই রাস্তা দিয়েই ট্রাক চলাচল করে। স্কুল থেকে ছোট ছোট ছেলেমেয়েরাও স্কুটারে চেপে বাড়ি ফেরে। ফলে সবসময়ই দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে। ট্রাফিক পুলিশের কর্মীদের ওই রাস্তায় খুব একটা দেখা যায় না। ছোট ছোট স্কুলের ছেলেমেয়েরা স্কুটার চালাচ্ছে। তাদের না আছে লাইন্সেস, না কাগজপত্র। পুলিশ ব্যবস্থা নেয় না। মনীশের শিক্ষক শঙ্করকুমার মিশ্র বলেন, “মনীশ খুব ভাল ছেলে। এমন দুর্ঘটনা ঘটবে ভাবতে পারছি না।” মনীশে বাড়ি যে এলাকায় সেই ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কমল অগ্রবাল বলেছেন, “শহরের মধ্যে গাড়িঘোরা প্রচণ্ড গতিতে চলাফেরা করছে। এতেই দুর্ঘটনা বাড়ছে। ট্রাফিক পুলিশের নজরদারি আরও বাড়ানো প্রয়োজন।” |
|
|
 |
|
|