|
|
|
|
দুই মেয়েকে বিষ খাইয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা মা’র |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কৃষ্ণনগর |
দুই মেয়েকে কীটনাশক খাইয়ে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেছেন মা। হাঁসখালির কমলপুরের ওই মহিলা পপি ঘোষ-সহ তিন জনকেই মঙ্গলবার দুপুরের আশঙ্কাজনক অবস্থায় বগুলা গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে কিছু ক্ষণের মধ্যে মারা যায় বছর তিনেকের পিপাসা ঘোষ। পপিদেবী ও তাঁর বড় মেয়ে বছর পাঁচেকের অনিন্দিতাকে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। রানাঘাট মহকুমা পুলিশ আফিসার রাকেশ সিংহ বলেন, “ওই মহিলা কীটনাশক খেয়ে নিজের দুই মেয়েকেও কীটনাশক খাইয়েছেন। কিন্তু কেন তিনি এমনটা করেছেন তা এখনও জানা যায়নি।”
বছর সাতেক আগে কমলপুরের নিতাই ঘোষের সঙ্গে হিজুলি গ্রামের পপিদেবীর বিয়ে হয়। বাবা-মা, স্ত্রী ও দুই মেয়ে নিয়ে নিতাইবাবুর সংসার। পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, সামান্য কারণে পপিদেবী রেগে যেতেন মাঝে মধ্যে। সংসারে সেই অর্থে কোনও অশান্তি না থাকলেও দুই মেয়েকে মারধর করা নিয়ে পপিদেবীর সঙ্গে তাঁর শ্বশুর ও শাশুড়ির অশান্তি বাধত। সোমবার দুপুরে বড় মেয়ে অনিন্দিতাকে মারধর করেন তিনি। ছোট্ট মেয়েটি মায়ের হাত থেকে বাঁচতে ঠাকুরমার কাছে পালিয়ে গিয়েছিল। নিতাইবাবুর বাবা মধু ঘোষ বলেন, “স্ত্রী নাতনিকে আশ্রয় দেওয়ায় পুত্রবধু রাগারাগি করে দিনভর খায়নি। রাতে অনেক বুঝিয়ে তাকে খাওয়ানো হয়।” পর দিন মঙ্গলবার সকালে দুই মেয়েকে নিয়ে তার বাপের বাড়ি রওনা দেয় পপিদেবী। শাশুড়ি ও ভাসুর মিলে পপিদেবীকে রাস্তা থেকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যান। দুর্গাদেবী বলেন, “বাড়ি ফিরে বৌমা ঘরের মধ্যে শুয়ে ছিল। দাদুর সঙ্গে ভাত খেয়ে দুই নাতনি তাদের মায়ের কাছে চলে যায়। কিছু ক্ষণ পর নাতনিদের কান্না শুনে ছুটে গিয়ে জানতে পারি, ওরা তিন জনেই কীটনাশক খেয়েছে।” দুর্গাদেবী বলেন, “ছেলে জেলার বাইরে কোথাও কাজ করুক, বৌমা এমনটাই চাইত। কিন্তু ছেলে তার দুই মেয়েকে রেখে জেলার বাইরে যেতে চায়নি। তা নিয়ে ওদের স্বামী-স্ত্রীতে আশান্তি হত।” |
|
|
 |
|
|