|
|
|
|
গঙ্গা উপচে জল ঢুকছে নবদ্বীপে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নবদ্বীপ |
শহরে জল ঢুকছে। চলছে বৃষ্টিও। সেচ দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, গঙ্গার জল প্রতি ঘণ্টায় ২ সেন্টিমিটার করে বাড়ছে।
মঙ্গলবার দুপুর তিনটের সময় জল বেড়ে ৮.৫১ সেন্টিমিটারে দাঁড়িয়েছে। শহরের পূর্ব ও উত্তর দিকে গঙ্গার পাড় বরাবর প্রায় চার কিলোমিটার দীর্ঘ যে গার্ড ওয়াল রয়েছে, সেখানেই ধাক্কা খাচ্ছে গঙ্গার জল। ফলে আতঙ্ক বাড়ছে পুরসভার ৭, ৮ এবং ২১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের। এমনিতেই শহরের উত্তর দিকে প্রাচীন মায়াপুর নবদ্বীপের সব থেকে নীচু এলাকা। গঙ্গার জলের উচ্চতা এখানে শহরের থেকে কিছুটা বেশি হয়ে যাওয়ায় বৃষ্টির জমা জল বার হতে পারছে না।
সোমবার রাতে ৭ নম্বর ওয়ার্ডে গার্ড ওয়ালের নীচের একটি কালভার্ট দিয়ে আচমকা জল ঢুকতে আরম্ভ করে। এলাকার মানুষ দ্রুত বালি কাঠ দিয়ে তা বন্ধ করে দেন। ঘটনাস্থলে ছুটে যান পুরপ্রধান বিমানকৃষ্ণ সাহা। পরে পুরপ্রধান বলেন, “জল ক্রমাগত বাড়ছে। বৃষ্টিও থামেনি। তবু অবস্থা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। মহকুমা শাসকের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন প্রশাসন পুরোপুরি তৈরি রয়েছে পরিস্থিতির মোকাবিলার জন্য।” |
 |
জলবন্দি সুতির গ্রাম। ছবিটি তুলেছেন অর্কপ্রভ চট্টোপাধ্যায়। |
নদিয়া সেচ দফতরের এসডিও সুপ্রতীম রায় বলেন, “এমনিতে নদিয়া যে পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়েছে, তাতে বড় কোনও বিপর্যয়ের আশঙ্কা ছিল না। কিন্তু বিপদের উৎস অন্যত্র। নবদ্বীপ বা কাটোয়ার উপরের দিকের বিভিন্ন জায়গায় প্রবল বৃষ্টি হয়ে চলেছে। যার ফলে তিলপাড়া থেকে ছাড়া জলের পরিমাণ সন্ধ্যা নাগাদ বাড়বে। সেই সঙ্গে জলঙ্গিতেও প্রবল জলস্ফীতি তৈরি হয়েছে।”
অবস্থা যে স্বস্তিদায়ক নয়, তা স্বীকার করে নিয়েছেন ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক উত্তম সাহা। তিনি বলেন, “প্রায় দশ-এগারো বছর পরে আবার বন্যার ছায়া দেখা যাচ্ছে। ব্যবসায়ীরা খুবই উদ্বিগ্ন। হঠাৎ জল ঢুকলে কী হবে, তা নিয়েই চিন্তায় পড়েছেন সকলে।” |
|
|
 |
|
|