|
|
|
|
আদালতে আত্মসমর্পণ ‘নিখোঁজ’ রাজকুমারের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কান্দি |
পুলিশি ‘নির্যাতনে’ আত্মঘাতী মিঠু দে’র নিখোঁজ স্বামী রাজকুমার দে মঙ্গলবার কান্দি মহকুমা আদালতে আত্মসমর্পণ করলেন। এ দিন দুপুরে আদালতে এসে ধরা দেন মধ্য পঞ্চাশের ওই প্রৌঢ়। আদালত তাঁর ১৪ দিনের জেল হাজতের নির্দেশ দিয়েছে।
কান্দির ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা রাজকুমারের মা বীণাপাণিদেবীর বাড়িতে প্রতি দিন রাতেই কেউ ঢিল ছুড়ত। এই ‘কুকর্ম’ কে করছে তা দেখতে পাড়ার ছেলেরা বসিয়েছিল রাতপাহারা। কিন্তু রাতপাহারার দ্বিতীয় রাতেই, গত বৃহস্পতিবার খুন হয়েছিলেন রাজকুমারের পড়শি সুকুমার দে। অভিযোগ, রাজকুমারই প্রতিবেশী সুকুমারবাবুকে খুন করেন। তবে ওই ঘটনার পরেই গা ঢাকা দেন রাজকুমার। পরের দিন পুলিশ এসে রাজকুমারকে না পেয়ে তাঁর স্ত্রী মিঠুদেবীকে থানায় নিয়ে যায়। শুধু তাই নয়, নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তাঁর বছর বারোর নাবালক পুত্র সৌরভকেও। অভিযোগ, থানায় মা-ছেলের উপরে অত্যাচার চালায় পুলিশ। পরের দিন, বাড়ি ফিরেই অপমানিত মিঠুদেবী গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হন। ওই ঘটনায় কান্দি থানার পাঁচ পুলিশ কর্মীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
এ দিন আদালতে এসে রাজকুমার দাবি করেন, তিনি নির্দোষ। তিনি বলেন, “আমি খুন করিনি। কিন্তু সে দিন না পালালে পাড়ার লোকেরা আমাকে পিটিয়ে মেরে ফেলত। তাই গ্রাম ছেড়ে গিয়েছিলাম।” তাঁর আইনজীবী বলেন, “ওই খুন যে রাজকুমার করেছেন তার কোনও প্রমাণ নেই। পাড়ার লোকের হাতে প্রহৃত হওয়ার ভয়েই কয়েক দিনের জন্য গা ঢাকা দিতে বাধ্য হয়েছিলেন রাজকুমার।” |
|
|
 |
|
|