লাইনে ধস, ছুটি বাতিল কান্দিতে
লাইনে ধস। নিরবিচ্ছিন্ন বৃষ্টিতে কাটোয়া-আজিমগঞ্জ শাখায় মঙ্গলবার ধস নামায় দুপুর থেকে ট্রেন চলাচল বাতিল করে দেওয়া হয়েছে।
বহরমপুর থানা এলাকায় নিয়াল্লিশপাড়া হল্ট স্টেশন ও লালবাগ কোর্ট রোডের কাছে মঙ্গলবার দুপুর সোয়া তিনটে নাগাদ রেল কর্মীদের চোখে পড়ে প্রায় ৪০ মিটার এলাকা বসে গিয়েছে। ফলে তিস্তা-তোর্সা, কামরূপ-সহ যাবতীয় এক্সপ্রেস ট্রেন অন্য পতে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। প্যাসেঞ্জার ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। প্রবল বর্ষণে এবং তিলপাড়া, বৈধরা ও দেওচা বাঁধের ছাড়া জলে মুর্শিদাবাদ জেলার অন্তত ৫০টি গ্রাম ও কান্দি পুরসভার ৮টি ওয়ার্ড জলবন্দি। সঙ্গে ভাঙন। বহরমপুর, রানিনগর ২ নম্বর ও খড়গ্রাম মিলে মোট ৩টি ব্লকে শুরু হয়েছে ওই ভাঙন।
নিয়াল্লিশপাড়া হল্ট স্টেশনের কাছে বসে গিয়েছে রেললাইন। ছবি: গৌতম প্রামাণিক।
কান্দি মহকুমার খড়গ্রাম ব্লকের ১২টি গ্রাম ব্রহ্মানীর জলে প্লাবিত। খড়গ্রামের বিধায়ক কংগ্রেসের আশিস মার্জিত বলেন, “খড়গ্রাম ব্লকের আমার নিজের গ্রাম পাতডাঙা-সহ মোট ৮টি গ্রাম জল প্লাবিত হয়েছে। ফলে গ্রাম থেকে বের হওয়ার উপায় নেই। এ কারণে বিধানসভার অধিবেশনে যাওয়ায় সম্ভব হয়নি বলে রাজ্যের সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়াকে জানিয়েছি।” কান্দি পুরসভা থেকে ৯টি পাম্প মেশিন দিয়ে ৮টি ওয়ার্ড থেকে জল বের করার কাজ চলছে। কান্দি মহকুমায় দৈনিক ১৪০টি যাত্রীবাহী বেসরকারী বাস যাতায়াত করে। কান্দি মহকুমাশাসক দীপাঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার আশঙ্কা থাকায় মহকুমার সব সরকারি কর্মীর ছুটি বাতিল করা হয়েছে।”
সেচ দফতরের বহরমপুর বিভাগের নিবার্হী বাস্তুকার আশিস দত্ত বলেন, “খড়গ্রামের ঝিল্লি ও লালবাগের সতীচূড়ায় বাঁধে ফাটল দেখা দিয়েছে। তা ছাড়া বাকি সব এলাকার পরিস্থিতি এখন পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।” মুর্শিদাবাদের ভারপ্রাপ্ত জেলাশাসক উলগানাথন পি বলেন, “কয়েকটি ব্লকের কিছু এলাকায় জল জমেছে। রানিনগর ২ নম্বর ব্লকে নদীভাঙন শুরু হয়েছে, ভগবানগোলা ২ নম্বর ব্লকের নির্মলচর জলমগ্ন। তবে বিভিন্ন নদীর জল বিকাল থেকে কমতে থাকায় বিপদের সম্ভবনা আপাতত নেই। সাঁকোঘাটের কাছে দ্বারকা নদীর জল বিপদ সীমার সামান্য উপর দিয়ে বইছে।” জেলার মুখ্য কৃষি আধিকারিক শ্যামল মজুমদার বলেন, “ডুবে যাওয়া মাঠ থেকে জল দ্রুত নেমে গেলে আমনধানের কোনও ক্ষতি হবে না। তবে প্রবল বর্ষণের ফলে খেতে জল জমে যাওয়ায় শাক-সব্জির ক্ষতি হয়েছে।” এ দিকে মঙ্গলবার সারাদিন নদিয়া ও মুর্শিদাবাদ জেলা জুড়ে বৃষ্টি হয়। ফলে যানবাহন অন্য দিনের তুলনায় কম সংখ্যায় রাস্তায় নেমেছে। ঘর চাপা পড়ে নদিয়ার নাকাশিপাড়া থানার গলায় দড়ি গ্রামে ২ জন আহত হন। তাঁদের এক জনকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। নদিয়ার জেলাশাসক সঞ্জয় বনশল বলেন, “নদিয়া জেলার নদী গুলিতে জলস্তর বিপদ সীমার নীচে রয়েছে।”
Previous Story Next Story



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.