ওপারাকে ওডাফা,“খেলা হবে এগারো বনাম এগারো” |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
ঝিরঝিরে বৃষ্টি উপেক্ষা করেও মোহনবাগান গ্যালারিতে প্রচুর সমর্থক। মাঠে নামার কথা ওডাফা ওকোলির। নামলেনও। তবে অনুশীলন ম্যাচে খেললেন না। ফিজিও-র সঙ্গে কাটিয়ে দিলেন পুরো সময়টা। হাল্কা ব্যায়াম। বল নিয়ে কিছুক্ষণ কসরৎ। এই ছিল নয় নম্বর সবুজ-মেরুন জার্সি গায়ে ওডাফার প্রথম দিনের অনুশীলন।
স্বভাবতই প্রশ্ন উঠল ফিটনেস নিয়ে। “এখনও পুরো ফিট নই। অনেক দিন খেলার মধ্যে নেই। কোচ আর ফিজিও-র সঙ্গে কথা হয়েছে। যে দিন ম্যাচ খেলতে বলবে নেমে পড়ব,” বললেন ওডাফা। ফিজিও জোনাথন কর্নারও জানালেন, ওডাফার কোনও চোট নেই। দীর্ঘ দিন ম্যাচের মধ্যে না থাকার জন্যই এখনও ম্যাচ-ফিট নন।
সোমবার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা না বলেই চলে গিয়েছিলেন। মঙ্গলবার কিন্তু অনুশীলন শেষে জার্সি না ছেড়েই চলে এসেছিলেন সাংবাদিক সম্মেলনে। “ফিট থাকলে একশো শতাংশ দেব। |
 |
মোহনবাগানে নতুন বিদেশি স্টোরিকে প্র্যাক্টিসে উৎসাহ ওডাফার। ছবি: উৎপল সরকার। |
আর মোহনবাগান ট্রফি জিতবে,” বললেন ওডাফা। জানেন গত মরসুমে মোহনবাগান তাঁবুতে ট্রফি ঢোকেনি। সমর্থকদের কাছে আরও বড় জ্বালার জায়গা গোটা এক বছরে ইস্টবেঙ্গলকে না হারাতে পারা। ওডাফা বলছিলেন, “ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান দেশের সবথেকে বড় ডার্বি। এক লক্ষ লোক আসে খেলা দেখতে। আমার এত লোকের সামনে খেলতে ভালই লাগে।” শহরে পা দিয়েই ইস্টবেঙ্গলের স্টপার উগা ওপারা সতর্ক করেছিলেন ওডাফাকে। ওডাফা তার জবাব দেওয়ার রাস্তায় হাঁটলেন না। “আমি ভগবান নই যে আমি খেললেই ক্লাব জিতবে। খেলা হবে এগারো বনাম এগারো। আমার লক্ষ্য জেতা। ঈশ্বর পাশে থাকলে জিতব।”
ব্যারেটোর পাশে খেলার দিকে তাকিয়ে আছেন ওডাফা। “এত দিন ধরে ভাল খেলে আসছে ব্যারেটো। ওর সঙ্গে জুটিটা ভালই হবে আশা করছি,” বললেন তিনি। এর আগে চার্চিল ব্রাদার্সে খেলার সময়ে ওডাফা প্রায়ই ঝামেলায় জড়িয়ে ছিলেন কোচের সঙ্গে। প্রথম অনুশীলনের পর কিন্তু নতুন দলের কোচ স্টিভ ডার্বির উপর সম্পূর্ণ আস্থা রাখছেন। “কোচ খুব প্রফেশনাল। আমার বেশ ভালই লেগেছে।” স্থানীয় লিগের ম্যাচও খেলবেন কি না জানতে চাইলে বললেন, “কোচ যা বলবে তাই করব।” |
 |
ইস্টবেঙ্গলে খেলতে আসা নতুন বিদেশি অ্যালান গাও। ছবি: শঙ্কর নাগ দাস। |
কোচের মুখেও প্রশংসা ওডাফার। “পুরনো ম্যাচগুলোর ডিভিডি দেখেছি। চার্চিলের প্রাক্তন কোচ সুব্রহ্মন্যম এবং দ্রাগো মামিচ আমার পরিচিত। ওদের থেকে ওডাফা সম্পর্কে খোঁজ নিয়েছি,” বললেন ডার্বি। তাঁর কাছেই জানা গেল ওডাফার বিশেষত্ব, “ও গোলটা দারুণ চেনে।” নিজের মেজাজে চলা ওডাফার আচরণ নিয়ে আদৌ ভাবছেন না ডার্বি। বলছিলেন, “মেজাজি ফুটবলার সামলানোর অভিজ্ঞতা আমার আগেও হয়েছে। সিঙ্গাপুরের হোম ইউনাইটেডের ব্রাজিলীয় পেরেস দি’অলিভিয়েরা যেমন ছিল। আমি কাউকে সম্মান করলে সেটা নিশ্চয়ই আমার কাছে ফেরত আসবে।”প্রথম দিনের অনুশীলনে ওডাফা যেন আর-পাঁচটা সাধারণ বিদেশি ফুটবলার। আচরণে কোথাও গত কয়েক বছরের সেই ‘দাদাগিরি’ ভাবটা নেই। সাংবাদিক সম্মেলন সেরে তাঁবুতে ঢোকার আগে বলে গেলেন, “প্লে টুগেদার, উইন টুগেদার।” |
|