|
|
|
|
মরণ-বাঁচন টেস্টে ইংল্যান্ডকে এগিয়ে রাখছেন দু’দেশের দুই প্রাক্তন |
 |
তাতানোর কাজটা
ক্যাপ্টেনকেই করতে হবে
অনিল কুম্বলে |
|
বার্মিংহামের সংঘর্ষে ধোনিদের টেস্টের প্রস্তুতিতে আরও ব্যাঘাত ঘটবে। তবু আমার মনে হয়, পুরো ব্যাপারটাই আসলে যার যার মনে। ২০০৭-০৮-এর অস্ট্রেলিয়া সফরের কথা আমার মনে পড়ে যাচ্ছে। সিডনিতে দ্বিতীয় টেস্টে কত কী ঘটনা ঘটল। কিন্তু পরের টেস্টে পারথে যেটা কিনা অতিথিদের জন্য বরাবর সবথেকে কঠিন জায়গা হিসেবে গণ্য হয়ে এসেছে, সেখানেই আমরা দুর্দান্ত ভাবে ফিরে এলাম। পারথে জেতার পর অ্যাডিলেডেও প্রায় জিতে আমরা সিরিজ ২-২ করে ফেলছিলাম। সে বারও তো আমরা প্রথম দুই টেস্টে ০-২ পিছিয়ে পড়েছিলাম। এখন দেখার ধোনির এই টিম কতটা ক্ষুধার্ত থাকতে পারছে। দেখে মনে হচ্ছে ওরা যেন খানিকটা ক্লান্ত। আর সেই কারণে ক্যাপ্টেনের সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়াটা খুব জরুরি। ধোনিকে নিশ্চিত করতে হবে যাতে টিমের বডি ল্যাঙ্গোয়েজ খুব ইতিবাচক থাকে।
গত কয়েক দিনে মাঠের বাইরে আবার বেশ কতকগুলো চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর নিশ্চয়ই রাহুল দ্রাবিড়ের ওয়ান ডে টিমে প্রত্যাবর্তন এবং তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই রাহুলের ওয়ান ডে থেকে অবসর ঘোষণা। সত্যিই খুব অবাক হয়েছিলাম রাহুলকে ওয়ান ডে টিমে নেওয়া হয়েছে দেখে। আমি নিশ্চিত, রাহুল নিজে আরও বেশি অবাক হয়েছিল। ওকে যত দূর চিনি, মনে হয় না দূরতম স্বপ্নতেও ও ওয়ান ডে ক্রিকেটে ফেরার কথা ভেবেছিল। এটা মোটামুটি ধরেই নেওয়া হয়েছিল যে, রাহুলের ওয়ান ডে কেরিয়ার শেষ। বিশ্বকাপের জন্য ওর নাম ভাবা হয়নি। গত দু’বছরে এক বারও সুযোগ দেওয়া হয়নি। অথচ যেই বল সুইং করতে শুরু করল, সিম করতে শুরু করল, যেই থুতনির কাছে বল লাফাতে শুরু করল, রাহুলের প্রয়োজনীয়তাও আবার ফিরে এল। বিশেষ করে দেশের তরুণ ক্রিকেটারদের কাছে মোটেও ভাল কোনও বার্তা গেল না।
এটা অবশ্যই পিছনের দিকে হাঁটা। তা সে যতই যুবরাজের চোট থাকুক। অন্য কোনও তরুণ ক্রিকেটারকে তো চেষ্টা করা যেত। রাহুলের সম্মান এবং উচ্চতার কথা ভেবে টিম ঘোষণা করার আগে ওকে এক বার ফোন করে জিজ্ঞেস করা যেত যে, আদৌ ওয়ান ডে খেলতে ইচ্ছুক কি না। রাহুল দ্রাবিড় এমন একটা লোক যাকে যখন যে কাজ দেওয়া হয়েছে, চুপচাপ করে গিয়েছে। ইনিংস ওপেন। উইকেটকিপিং। পাঁচ নম্বরে ব্যাট করা। সব কিছুই রাহুল মুখ বুজে করে গিয়েছে বিশেষ কয়েক জন ক্রিকেটারের সুবিধার জন্য।
ওয়ান ডে টিমে ফেরত আসার সঙ্গে সঙ্গে অবসর ঘোষণা করে রাহুল একটা বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করেছে তোমাদের প্রয়োজন মতো বার বার আমাকে ব্যবহার করতে যেও না। আমার মনে হয় ২০১১ বিশ্বকাপ খেলার একটা চাপা বাসনা কোথাও রাহুলের মধ্যে বেঁচে ছিল। সেই কারণেই হয়তো আগে ওয়ান ডে থেকে অবসর ঘোষণাটা করেনি। ওয়ান ডে সিরিজ শুরু হওয়ার আগে অবশ্য টেস্ট সিরিজের অনেক খেলা এখনও বাকি। জাহির আর হরভজনকে ছাড়া ভারতীয় বোলিং অবশ্যই দুর্বল হয়ে পড়বে। হয়তো সিরিজে প্রথম বার চার পেসার নিয়ে নামতে পারে ভারত। যেহেতু অমিত মিশ্র প্রস্তুতি ম্যাচে খুব ভাল কিছু করে দেখাতে পারেনি। তবে সব কিছুই নির্ভর করবে আবহাওয়া কেমন থাকছে তার উপর। |
|
|
 |
|
|