|
|
|
|
হাজারিবাগের বৃদ্ধ উদ্ধার মেদিনীপুরে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
কাউকে না-বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। এক সপ্তাহ ধরে তাঁর খোঁজে হন্যে হয়ে ঘুরেছেন আত্মীয়েরা। খোঁজ মেলেনি। শেষমেশ মেদিনীপুরের পুলিশের তৎপরতায় বৃদ্ধের খোঁজ মিলল। হাজারিবাগ থেকে কয়েকশো মাইল দূরে। মঙ্গলবার হাজারিবাগ থেকে মেদিনীপুরে এসে অখিলেশ্বরপ্রসাদ সিংহের (৭৯) খোঁজ পেলেন তাঁর আত্মীয়েরা। এক সপ্তাহ পরে বাবাকে ফিরে পেয়ে স্বভাবতই খুশি অখিলেশ্বরের ছেলে অনিমেশ। তাঁর কথায়, “বাবার খোঁজে হন্যে হয়ে ঘুরেছি। কোথাও পাইনি। পরে খবর পাই বাবা মেদিনীপুরে আছেন। আমরা পুলিশের কাছে কৃতজ্ঞ। ওঁরা তৎপর না-হলে বাবার খোঁজই পেতাম না।” আর মেদিনীপুর কোতোয়ালি থানার আইসি পবিত্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, “শহরের রাস্তায় বৃদ্ধ পড়েছিলেন। জানতে পেরে ওঁকে উদ্ধার করে আনা হয়। পুলিশের কাজই হল সাধারণ মানুষের পাশে থাকা।” |
 |
থানায় অখিলেশ্বরপ্রসাদ সিংহ। নিজস্ব চিত্র। |
পুলিশ সূত্রে খবর, মেদিনীপুর শহরের কোতবাজার এলাকায় রাস্তার পাশে পড়েছিলেন অখিলেশ্বর। অচৈতন্য অবস্থায় বৃদ্ধকে পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। গত ৬ অগস্ট পুলিশ গিয়ে বৃদ্ধকে উদ্ধার করে থানায় আনে। সেই থেকেই থানায় ছিলেন অখিলেশ্বর। বৃদ্ধ মানসিক ভারসাম্যহীন। তবে দেখে বোঝার উপায় নেই। কথাবার্তা অস্পষ্ট। তাই প্রথম দিকে বৃদ্ধের বাড়ি কোথায়, তা জানতেই হিমসিম খেতে হয়েছে পুলিশকে। পরে নানা ভাবে তাঁর কাছ থেকে পুলিশ জানতে পারে, হাজিরাবাগের উকনিতে তাঁর বাড়ি। সেখানেই আত্মীয়েরা থাকেন। জানা যায়, গত ৩ অগস্ট থেকে তাঁর খোঁজ পাচ্ছেন না আত্মীয়রা। এর পরেই মেদিনীপুর পুলিশ ঝাড়খণ্ড পুলিশের মাধ্যমে বাড়িতে খবর পৌঁছনোর চেষ্টা শুরু করে। খবর পেয়েই মঙ্গলবার মেদিনীপুরে আসেন বৃদ্ধের ছেলে অনিমেষকুমার সিংহ-সহ কয়েক জন আত্মীয়। কোতোয়ালি থানায় ঢুকেই বাবাকে দেখতে পান অনিমেশ। মুহূর্তে চোখ ছলছল করে ওঠে। এ ভাবে যে বাবাকে ফিরে পাবেন, তা যেন ভাবতেই পারেননি। পরে আইসি-র সঙ্গে দেখা করে কৃতজ্ঞতা জানান। অনিমেষের বক্তব্য, “হাজারিবাগ থেকে বাবা কী ভাবে মেদিনীপুরে চলে এলেন, তা বুঝতে পারছি না।” কী ভাবে বৃদ্ধ মেদিনীপুরে এলেন, তা অবশ্য এখনও স্পষ্ট নয় পুলিশের কাছে। আইসি-র কথায়, “উনি স্পষ্ট করে কিছু বলতে পারেননি।” অখিলেশ্বরকে নিয়ে হাসি মুখে মেদিনীপুর থেকে রওনা হন তাঁর আত্মীয়েরা। |
|
|
 |
|
|