এ বারের বাইশে শ্রাবণে শিলচরে রবীন্দ্র স্মরণ এক ভিন্ন তাৎপর্য পেল কবিকে নিয়ে সুবিন্যস্ত এক প্রদর্শনীর সূত্রে। রবীন্দ্রানুরাগী এক তরুণী দু’ দশকেরও বেশি সময় ধরে রবীন্দ্র বিষয়ক অসংখ্য ছবি, লেখা, চিঠি, দুষ্প্রাপ্য ক্লিপিং সংগ্রহ করে এসেছেন। কবির প্রয়াণ দিবসে সেগুলিই প্রদর্শিত হল। ১৩টি বিভাগে বিন্যস্ত ‘রবীন্দ্র রূপকৃতি’ শীর্ষক এই প্রদর্শনীতে দেখা গেল কবির জন্মঠিকুজি থেকে শুরু করে পত্রিকায় তাঁর প্রয়াণবার্তার ফটোকপি, নোবেল পুরস্কারের প্রশস্তিপত্র, গীতাঞ্জলির প্রথম সংস্করণের প্রচ্ছদ, ত্রিপুরার মহারাজা বীরবিক্রম কিশোর মাণিক্য প্রদত্ত ‘ভারত ভাস্কর’ সম্মানের প্রতিলিপি, রবীন্দ্রনাথের বিয়ের নিমন্ত্রণপত্র। এ ছাড়াও প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছে পরিবারের সদস্য এবং দেশ-বিদেশের খ্যাতনামা ব্যক্তিদের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের বহু আলোকচিত্র। রয়েছে কবির সঙ্গে শিলচরের সম্পর্কের প্রসঙ্গও। রাখা হয়েছে মৃত্যুর ৯ মাস আগে কৌতুকভরে কবির লেখা ‘শিলচর হায়, কিলচড় খায় হোস্টেলে যত ছাত্র’ ছড়াটিও। সব মিলিয়ে ঠাঁই পেয়েছে পাঁচশোর বেশি ছবি ও নথিপত্র। |
এই প্রদর্শনীর আয়োজক অজপা ধর জানান, তিনি যখন ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী, বাবার উৎসাহে তখন থেকেই এই সংগ্রহ গড়ে তুলেছেন তিল তিল করে। এমনকী পানমোড়া ফেলে দেওয়া কাগজে রবিকবির ছবি দেখে সেটিও সযত্নে তুলে নিয়েছেন। অজপার ইচ্ছা, এ বার বাইরে কোথাও এগুলি প্রদর্শন করা। ডাক পেলে যেতে চান শান্তিনিকেতনেও।
এ ছাড়া শিলচর জেলা গ্রন্থাগার প্রেক্ষাগৃহেও সমকাল সাংস্কৃতিক সংস্থার উদ্যোগে পালিত হয় বাইশে শ্রাবণ।
|
পটনায় রবীন্দ্র স্মরণ
নিজস্ব সংবাদদাতা • পটনা |
২২ শ্রাবণ উপলক্ষে রবীন্দ্র পরিষদের উদ্যোগে পটনার রবীন্দ্র ভবনে অনুষ্ঠিত হয় একটি অনুষ্ঠান। তাতে প্রধান অতিথি ছিলেন এখানকার মগধ মহিলা কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষা মালা ঘোষ। তিনি রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে বিহারের সম্পর্ক নিয়ে মনোজ্ঞ আলোচনা করেন। এ ছাড়া, স্থানীয় শিল্পীরা সঙ্গীত পরিবেশন করেন ওই অনুষ্ঠানে। |