|
|
|
|
১৫ই পতাকা তুলবেন কে, রাহুলের অপেক্ষায় দল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
অসুস্থ কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী। তা হলে স্বাধীনতা দিবসে কংগ্রেসের সদর দফতরে জাতীয় পতাকা তুলবেন কে? এই প্রশ্নকে সামনে রেখেই এখন বিভ্রান্তি শুরু হয়েছে কংগ্রেসের অন্দরমহলে।
অস্ত্রোপচারের জন্য হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার আগে, দলের সাংগঠনিক কাজ পরিচালনার জন্য রাহুল গাঁধী, আহমেদ পটেল, এ কে অ্যান্টনি এবং জনার্দন দ্বিবেদীকে নিয়ে চার সদস্যের কমিটি গঠন করে দিয়ে গিয়েছেন সনিয়া। তা নিয়ে এখনও কংগ্রেসে আলোচনা অব্যাহত। বিশেষ করে এটাই মনে করা হচ্ছে যে, এই কমিটিতে রাহুলকে রাখার মধ্যে দিয়েই তাঁর রাজনৈতিক উত্তরণের ইঙ্গিত নিহিত। এমনিতেই ২০১৪ সালের আগে রাহুল গাঁধীকে প্রধানমন্ত্রী করে দেওয়ার ব্যাপারে দলের একাংশ নেতা সরব। সেই পরিপ্রেক্ষিতে কমিটি-র বিষয়টি বাড়তি তাৎপর্যপূর্ণ। এ বার স্বাধীনতা দিবসে ২৪ আকবর রোডে কংগ্রেস সদর দফতরে পতাকা তোলার বিষয়টিও এর সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হচ্ছে। কারণ, দলের মধ্যে থেকে এই দাবিও উঠছে, সনিয়া গাঁধীর অনুপস্থিতিতে রাহুলই পতাকা তুলুন। অনেকেই মনে করছেন, শেষ পর্যন্ত তা ঘটলে এই বার্তাই যাবে যে অসুস্থতার কারণে সনিয়া দলীয় বিষয়ে এখন খুব বেশি সক্রিয় থাকতে পারবেন না। সেই পরিস্থিতিতে কংগ্রেস পরিচালনার রাশ থাকছে রাহুলের হাতেই।
তবে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে, কংগ্রেসের প্রধান মুখপাত্র তথা সনিয়া গঠিত কমিটির সদস্য জনার্দন দ্বিবেদী বলেন, “সাধারণত কংগ্রেস সভানেত্রী অনুপস্থিত থাকলে দলের প্রবীণতম সাধারণ সম্পাদক পতাকা উত্তোলন করেন। তবে সেটা কোনও ধরাবাঁধা নিয়ম নয়।” এই মুহূর্তে কংগ্রেসের প্রবীণতম সাধারণ সম্পাদক মতিলাল ভোরা। বিষয়টি নিয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, আগে রাহুল বিদেশ থেকে ফিরুন। তারপর আলোচনা করে দেখা যাবে। একই কথা জানিয়েছেন, সনিয়া গাঁধীর রাজনৈতিক সচিব আহমেদ পটেল। তাঁর কথায়, “১৪ অগস্ট বৈঠক করে স্থির হবে, সদর দফতরে কংগ্রেস সভানেত্রীর পরিবর্তে কে পতাকা তুলবেন।” কিন্তু কংগ্রেস সূত্রে বলা হচ্ছে, দলে ঘরোয়া আলোচনায় আহমেদ পটেল বলেছেন, রাহুল গাঁধী ১৩ তারিখ নাগাদ দেশে ফিরবেন। স্বাধীনতা দিবসে পতাকা তোলার প্রস্তাব তাঁকেই দেওয়া হবে। তিনি রাজি না হলে মতিলাল ভোরা পতাকা তুলবেন। তবে শেষ পর্যন্ত রাহুলই পতাকা তুললে কংগ্রেস নেতৃত্ব কী যুক্তি ও ব্যাখ্যা দেবেন, সে জন্য অপেক্ষা করছে রাজধানী। |
|
|
 |
|
|