|
|
|
|
আন্দোলনের নির্দেশ কেরলেও |
চান্ডিরও ইস্তফা চেয়ে চাপ বাড়াচ্ছে বিজেপি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
বিজেপি-র নিশানায় এ বার কেরলের মুখ্যমন্ত্রী। শীলা দীক্ষিতের পাশাপাশি উমেন চান্ডির অপসারণের দাবিতেও সরব হওয়ার জন্য প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব।
শীলার ক্ষেত্রে অস্ত্র কমনওয়েলথ গেমস ঘিরে দুর্নীতির অভিযোগ। আর চান্ডির ক্ষেত্রে হাতিয়ার উনিশ বছর আগের পামোলিন কেলেঙ্কারি। কেরলে তখন করুণাকরণ সরকার। চান্ডি তখন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী। করুণাকরন মারা যাওয়ায় তদন্তের প্রশ্ন নেই। কিন্তু ভিজিল্যান্স আদালত কাল পামোলিন আমদানি সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগে নতুন করে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে চান্ডির বিরুদ্ধে। তার পরই মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সরে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন চান্ডি। কিন্তু কংগ্রেস নেতৃত্বের চাপে পদে থেকে গিয়েছেন তিনি। তবে ভিজিল্যান্সের দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে বি এস ইয়েদুরাপ্পাকে সরিয়ে উজ্জীবিত বিজেপি কংগ্রেস-শাসিত রাজ্যের দুর্নীতি নিয়ে মুখর হতে চাইছে।
প্রথম লক্ষ্য শীলার অপসারণ সুনিশ্চিত করা। তার পরেই কেরলের মুখ্যমন্ত্রীর অপসারণ নিয়ে সরব হবেন বিজেপি নেতৃত্ব।
এক সঙ্গে একাধিক মুখ্যমন্ত্রীর অপসারণের দাবিতে সরব হলে পাছে লক্ষ্য ভ্রষ্ট হয়, সে কারণে বিজেপি-র কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব আপাতত শীলার ইস্তফার দাবিতে সরব হয়েছেন। কিন্তু দলের সভাপতি নিতিন গডকড়ী রাজ্য নেতৃত্বকে চান্ডির ইস্তফার দাবি নিয়ে আন্দোলন গড়ে তোলার নির্দেশ দিয়েছেন। কেরলে বিজেপি-র মুখপাত্র জর্জ কুরিয়ান আজ বলেন, “আজ ভারত-ছাড়ো আন্দোলনের দিন। গত কাল আদালত মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার পর আজকের দিনটিই তাঁর ইস্তফা দেওয়ার উপযুক্ত সময় ছিল। কোনও দুর্নীতিগ্রস্ত নেতা সরকারি পদে থাকতে পারেন না। মুখ্যমন্ত্রীর উচিত অবিলম্বে ইস্তফা দেওয়া।” চান্ডির ইস্তফার দাবিতে রাজ্যের বাম নেতারাও এখন মুখর।
বিরোধীদের মনোভাবের আঁচ পেয়ে আজ চান্ডির হয়ে সাফাই দেওয়ার চেষ্টা করে কংগ্রেস। দিল্লিতে দলের মুখপাত্র মণীশ তিওয়ারি বলেন, “দু’দশক ধরে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত হচ্ছে। কিন্তু কোনও দিনই চান্ডির নাম আসেনি। কেরলের বিগত বাম সরকারও তদন্ত করেছিল। তাতেও চান্ডিকে জড়ানো হয়নি। এখন আদালত যখন তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে, তখন আইন মেনেই তদন্ত হবে।”
কেন্দ্র ও রাজ্য স্তরে যে ভাবে দলের বিরুদ্ধে একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ উঠছে, কংগ্রেস নেতৃত্ব তাতে অস্বস্তিতে। এই পামোলিন মামলাতেই আগে মুখ্য ভিজিল্যান্স কমিশনারের পদ থেকে সরতে বাধ্য হয়েছেন পি জে টমাস। পামোলিন কেলেঙ্কারির সময় টমাস ছিলেন করুণাকরন সরকারের সচিব। কেলেঙ্কারিতে রাজ্যের ২ কোটি ৩২ লক্ষ টাকা লোকসান হয়েছে বলে অভিযোগ অ্যাকাউন্ট্যান্ট জেনারেলের। বাম সরকারের আমলে এ নিয়ে তদন্ত শুরু হয়। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর চান্ডি তা বন্ধ করে দিলেও ২০০৬ সালে ভি এস অচ্যুতানন্দনের নেতৃত্বে বাম সরকার নতুন করে তদন্ত শুরু করে। করুণাকরনের মৃত্যুর পরে তা আর এগোয়নি। এখন আবার চান্ডির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরুর নির্দেশে নতুন করে বিপাকে কংগ্রেস। মামলায় পি জে টমাসের বলি নিয়েও নতুন করে আক্রমণের ঘুঁটি সাজাচ্ছে বিজেপি। |
|
|
 |
|
|