বিজেপি সংসদ ঘেরাও অভিযানে দলের যুবমোর্চার সদস্যদের উপরে পুলিশি ‘বর্বরতা’র বিরুদ্ধে কাল সংসদ উত্তাল করতে চায়।
লালকৃষ্ণ আডবাণী, নিতিন গডকড়ী, সুষমা স্বরাজের মতো দলের শীর্ষ নেতাদের উপস্থিতিতে আজ রামলীলা ময়দানে সভা করার পর বিজেপি-র যুবমোর্চার সদস্যরা সংসদ ঘেরাও করেন। গোটা কর্মসূচির উদ্দেশ্য ছিল শীলা দীক্ষিত থেকে শুরু করে মনমোহন সিংহ, সনিয়া গাঁধী-সহ কংগ্রেস নেতাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগকে আরও উচ্চগ্রামে নিয়ে যাওয়া। কিন্তু সংসদের কাছাকাছি আসতেই পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে বাধে। আহত হন অন্তত ষাট জন। বেশির ভাগই যুবমোর্চার সদস্য। দিল্লির বিভিন্ন হাসপাতালে তাঁদের ভর্তি করা হয়েছে। এঁদের অনেকেরই আঘাত গুরুতর। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন কয়েক জন সাংবাদিকও। দিল্লি পুলিশের বক্তব্য, বিজেপির কর্মীরা হঠাৎ করেই পাথর ছুঁড়তে শুরু করেন। হিংসার আশ্রয় নেওয়ায় ও পুলিশকে আক্রমণ করাতেই পাল্টা অভিযান চালাতে হয়েছে। তাতে কিছু পুলিশ কর্মীও আহত হয়েছেন। |
এ দিন সন্ধ্যায় আহত যুবমোর্চা কর্মীদের দেখতে হাসপাতালে যান আডবাণী, গডকড়ী, সুষমা স্বরাজরা। সুষমা বলেন, “কংগ্রেস সরকার শুধু দুর্নীতিগ্রস্তই নয়, বর্বরও। আগামিকাল সংসদের উভয় সভাতেই এই পুলিশি অত্যাচারের বিরুদ্ধে সরব হব।” আজ যখন সংসদে কমনওয়েলথ গেমস দুর্নীতি নিয়ে আলোচনা চলছিল, তার বাইরেই সংসদের চার পাশে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন বিজেপি-র যুবমোর্চার সদস্যরা। নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেঙে এক দল সংসদের গেটের কাছেই পৌঁছে যায়। নিরাপত্তা কর্মীরা তাঁদের দূরে সরিয়ে দেয়। কিছু ক্ষণের জন্য সংসদমুখী যাবতীয় রাস্তাও বন্ধ করে দেওয়া হয়। কিন্তু যন্তর-মন্তরে পুলিশের সঙ্গে বিজেপি-র সংঘর্ষ বেধে যায়। যুবমোর্চার প্রধান অনুরাগ ঠাকুরের বক্তব্য, “শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদে হঠাৎ করেই পুলিশ লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করতে শুরু করে।” মধ্যরাতে পুলিশি অভিযানে রামদেবের আন্দোলন ভণ্ডুল করার পর গোটা বিজেপি নেতৃত্ব এক দিনের সত্যাগ্রহে বসেছিলেন। এখন সংসদের অধিবেশন চলছে। তাই কংগ্রেস ও কেন্দ্রকে আক্রমণের সুযোগ তারা হাতছাড়া করতে চায় না। অসমে কংগ্রেস সরকারের ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে কাল ফের যন্তর-মন্তরে ধর্নার কর্মসূচি নিয়েছে বিজেপি। দলের কৌশলই হল, বিভিন্ন বিষয়ে আক্রমণ করে কেন্দ্রের মনমোহন সিংহ সরকার ও কংগ্রেস নেতৃত্বকে দুর্বল করা। |