ছ’দিনে সেনসেক্স খোয়াল ৮%
রও একটি আতঙ্কের দিন কাটাল মুম্বই বাজার। গত ছ’দিনে ১৪৫৪ পয়েন্ট হারিয়ে এ নিয়ে সেনসেক্স পড়ল ৮ শতাংশ। যদিও দিনভর দোলাচলে থাকা সেনসেক্স বিশ্ব বাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই মঙ্গলবার তার পতনের ধাক্কা অনেকটা কাটিয়ে উঠেছে বলেই দাবি বিশেষজ্ঞদের। দিনের শেষে সেনসেক্স পড়েছে ১৩২ পয়েন্ট। বাজার বন্ধের সময়ে তা ছিল ১৬,৮৫৮ অঙ্কে। যদিও গত ২০১০ সালের ৯ জুনের পর থেকে সূচক এত নীচে নামেনি, তা সত্ত্বেও বাজারে স্থিতি ফেরার ইঙ্গিত স্পষ্ট বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়ের আশ্বাসবাণী এ দিনও বাজারে প্রাণ ফেরাতে সাহায্য করে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর। অন্যান্য এশীয় বাজারের তুলনায় ভারতের অবস্থান বেশ ভাল বলেও দাবি করেন তিনি। মূল্যায়ন সংস্থা গোল্ডম্যান স্যাক্স ভারতের রেটিং বাড়ানোর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ভারতের আর্থিক ভিত্ যে অত্যন্ত জোরালো, এটা তারই প্রমাণ।” বিশ্ব বাজারে তেলের দাম কমে এলে ভারত কিছুটা স্বস্তি পাবে বলেও দাবি করেন অর্থমন্ত্রী। তবে তেলের দাম এখন যতটা কমেছে, তাতে পুরোপুরি ‘সন্তুষ্ট’ হতে পারছেন না তিনি। উল্লেখ্য, মার্কিন বাজারে অশোধিত তেলের দাম দুপুরের দিকে দাঁড়ায় ৮২ ডলারে। লন্ডনে ব্রেন্ট-এর দাম ছিল ১০৫ ডলারে। তবে বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেলের দাম আরও কমবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ, মঙ্গলবারই তেল রফতানিকারী দেশগুলির সংগঠন ওপেক এক পূর্বাভাসে জানিয়েছে, ২০১১ ও ২০১২ সালে তেলের চাহিদা কমবে। শিল্পোন্নত দুনিয়ার বেহাল আর্থিক অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতেই তারা এই ইঙ্গিত দিয়েছে।
সোমবার মার্কিন বাজারের প্রধান সূচক ডাও জোন্সের ৬০০ পয়েন্ট পতনের প্রভাবই এ দিন পড়ে ভারত-সহ গোটা এশীয় বাজারে। গত ১১২ বছরে ডাও জোন্সের পতনের ইতিহাসে এটি ষষ্ঠ স্থানে। তবে এশিয়া-ইউরোপ, এমনকী মার্কিন বাজারের বিভিন্ন সূচকও এ দিন পতনের হার কমিয়ে উঠে দাঁড়ানোর দিকেই এগিয়েছে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। মার্কিন বাজার খোলার কিছুক্ষণ পর ডাও জোন্স বেড়ে যায় ২০০ পয়েন্টের বেশি, ন্যাসডাক ৮০ পয়েন্ট।
মূল্যায়ন সংস্থা লগ্নির গন্তব্য হিসাবে আমেরিকার রেটিং কমিয়ে দেওয়া এবং ইউরোপ-আমেরিকায় নতুন করে মন্দার মেঘ ঘনিয়ে আসার আশঙ্কায় পরপর ১০ দিন আশার আলো দেখেনি বিশ্ব বাজার। মে মাস থেকে হিসাব করলে আন্তর্জাতিক বাজারের পতন ২০%। আর, তারই জেরে গত ছ’দিনে সেনসেক্স খুইয়েছে ৮%। মঙ্গলবার সকালেও সেনসেক্স পড়ে যায় প্রায় ৫৬০ পয়েন্ট। কিন্তু পরের দিকে তা ৭০০ পয়েন্ট বাড়ে। তবে পুরোপুরি মুখরক্ষা করতে পারেনি সূচক। দিনের শেষে তাই সূচকের পারা ছিল নিম্নমুখীই। মার্কিন অর্থ সচিব তিমোথি গিথনার এ দিন এস অ্যান্ড পি-কে এক হাত নিয়ে বলেছেন, আমেরিকার প্রতি ‘চরম অবিচার’ করেছে ওই সংস্থা। তাদের বিচারে মূল্যায়ন কমলেও আমেরিকার অর্থনীতি আগের মতোই নিরাপদ বলে দাবি করেন তিনি।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.