|
|
|
|
বালি বোঝাই ট্রাক চলাচলে বেহাল রাস্তা, ঘেরাও বিডিও |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বর্ধমান |
বালি বোঝাই ট্রাক চলাচলের জেরে বেহাল রাস্তা। রাস্তার মেরামতি, ট্রাক চলাচলে নিয়ন্ত্রণ ও টোল হিসাবে আদায় করা টাকা রাস্তা সারাইয়ে ব্যবহারের দাবিতে প্রথমে রাস্তা, পরে বর্ধমান ২ ব্লক অফিস ও বড়শূল পঞ্চায়েত অফিস ঘেরাও করে মঙ্গলবার বিক্ষোভ দেখালেন বাসিন্দারা। বিডিও অরিন্দম বিশ্বাসের কাছ থেকে দাবি পূরণের আশ্বাস পাওয়ার পরে বিক্ষোভ ওঠে।
এ দিন সকাল ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত বাসিন্দারা প্রথমে বড়শূল ঘাট থেকে জিটি রোডের সংযোগকারী মনমোহন দে রোড অবরোধ করেন। বাসিন্দারা জানান, প্রায় ২০টি গ্রামের ২৫ হাজার মানুষ চার কিলোমিটার ওই রাস্তাটি ব্যবহার করেন। দামোদরের বড়শূল ঘাট থেকে বালি বোঝাই ট্রাকগুলিও এই রাস্তা ধরেই যাতায়াত করে। স্থানীয় বাসিন্দা জ্যোতিশঙ্কর মণ্ডলের কথায়, “দৈনিক প্রায় ৭০০ বালি বোঝাই ট্রাক ওই রাস্তা দিয়ে চলাচল করে। তার জেরে রাস্তাটি খানা-খন্দে ভরে উঠেছে। কিন্তু বহু বার জানিয়েও ব্লক প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা সম্ভব হয়নি। |
 |
গর্তে ভরা মনমোহন দে রোড। নিজস্ব চিত্র। |
অথচ, এই রাস্তার উপরে দু’টি হাইস্কুল, ৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও ৫-৬টি সরকারি দফতর রয়েছে।”
তরুণ মণ্ডল নামে আর এক বাসিন্দার অভিযোগ, “টোল হিসাবে ট্রাক পিছু মোটা টাকা আদায় করা হয়। কিন্তু যে রাস্তা দিয়ে ট্রাকগুলি যাতায়াত করে তার প্রতি নজর নেই পূর্ত দফতরের?” অপর বাসিন্দা মহেশ্বর দেওয়ানজির কথায়, “বেহাল রাস্তার জন্য প্রায়ই দুর্ঘটনা লেগে রয়েছে। তাই আমরা অবরোধের পরে বিডিওকে ঘেরাও করে কেন রাস্তাটির মেরামত হচ্ছে না, তা জানতে চেয়েছি।”
বিডিও অরিন্দমবাবু বলেন, “বাসিন্দাদের দাবি যুক্তিসঙ্গত। আমিও ওই রাস্তা দিয়েই প্রতি দিন অফিসে আসি। কেন এত দিন ধরে রাস্তাটি এমন অবস্থায় ফেলে রাখা হয়েছে, সে বিষয়ে পূর্ত দফতরের কাছে খোঁজ নেব।” সেচ দফতরের দামোদর মণ্ডলের সুপারিন্টেন্ডিং ইঞ্জিনিয়ার অশোক ভট্টাচার্য বলেন, “ডিভিসি-র সেচখালের উপরে এই বড়শূলে একটি সেতুও বালি বোঝাই ট্রাক যাতায়াতের জেরে প্রায় ভেঙে পড়ার অবস্থায় পৌঁছেছিল। তা আমার সারিয়েছিলাম। সেতুটি ফের খারাপ হয়ে পড়ছে বলে শুনেছি। বালি নিয়ে কিছু লোকের ব্যবসা করার জেরে বারবার আমাদের ভুগতে হয়।” |
|
|
 |
|
|