|
|
|
|
মিলল জামিন |
তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে ১২ জনের আত্মসমর্পণ কোর্টে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বর্ধমান |
ম্যান্ডেলা পার্কে গোলমালের জেরে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নিলেন তৃণমূলের দু’টি গোষ্ঠীর মোট ১২ জন নেতা-কর্মী।
মঙ্গলবার এই জামিন নিতে এসেও বর্ধমান আদালতে দু’পক্ষের মধ্যে কটূক্তি বিনিময় হয়। তবে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন থাকায় উত্তেজনা বেশি বাড়তে পারেনি। ওই ঘটনায় আগেই পুলিশ তিন জনকে গ্রেফতার করেছিল। গত রবিবার তাঁরা জামিনে ছাড়া পেয়ে গিয়েছেন।
শুক্রবার দুপুরে বর্ধমান শহরের ম্যান্ডেলা পার্কে তৃণমূল নেতা শিবশঙ্কর ঘোষ ও তাঁর অনুগামীদের বসার ‘অফিসে’ দলেরই অপর গোষ্ঠী হামলা চালায় বলে অভিযোগ। মারপিটে বাদামতলা এলাকার মেথরপাড়া থেকে আসা অপর গোষ্ঠীর চার তৃণমূল কর্মী আহত হন। এর পরে লাঠিসোঁটা-রড নিয়ে শহরে মিছিল করে শিবশঙ্করবাবুর গোষ্ঠীর লোকজন। তার পাল্টা হিসেবে রাতে আবার ম্যান্ডেলা পার্কের অফিসে ভাঙচুর চালানো হয়। শিবশংকরবাবুর তিন জন অনুগামী আহত হন। দু’জনকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। দুই গোষ্ঠীর তরফে দুই নেতা শংকর হেলা ও অর্ঘ্য সেনগুপ্ত থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। দু’পক্ষের মোট ১৭ জনের নামে মামলা রুজু হয়। দু’পক্ষই হাঁসুয়া, তরোয়াল, লাঠি, টাঙ্গি, রড, হকি স্টিক ব্যবহার করেছিল, তবে শিবশঙ্করবাবুর গোষ্ঠী পিস্তলও ব্যবহার করে বলে অভিযোগ। এ দিন সিজেএম আদালতে দুপক্ষের ১২ জন আত্মসমর্পণ করেন। বিচারক চিন্ময় চট্টোপাধ্যায় সকলেরই জামিন মঞ্জুর করেছেন। তবে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও পুলিশ কেন কারও বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা করেনি, বর্ধমান থানার আইসি ভবদেব চক্রবর্তী তার সদুত্তর দিতে পারেননি।
এ প্রসঙ্গে আইসি-র বক্তব্য, “লিখিত অভিযোগে কী আছে, আমি জানি না। তবে তদন্তে যদি ওই সব অস্ত্রশস্ত্র ব্যবহারের প্রমাণ মেলে, পুলিশ উপযুক্ত ধারায় চার্জশিট দেবে।” স্থানীয় তৃণমূল নেতা অরূপ দাস বলেন, ‘‘দলের তরফে এই ১২ জনকে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নিতে বলা হয়েছিল। কেন এমন সংঘর্ষ বাধল, দল খোঁজ নিচ্ছে।” শনিবারই রাজ্যের আইনমন্ত্রী তথা তৃণমূলের জেলা পর্যবেক্ষক জানিয়েছিলেন, দলনেত্রীর সঙ্গে কথা বলে দু’পক্ষের অভিযুক্তদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। প্রয়োজনে সাসপেন্ড, এমনকী বহিষ্কারও করা হবে। তবে এ দিন পর্যন্ত কারও বিরুদ্ধেই কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। |
|
|
 |
|
|