|
|
|
|
ঝাঁকুনি খেয়ে বাস চলে ভাঙা রাস্তায় |
নীলোৎপল রায়চৌধুরী • অন্ডাল |
খানা-খন্দে বেহাল অন্ডাল-মাধাইগঞ্জ রাস্তা। দীর্ঘনালা গ্রামের কাছে এই রাস্তার অবস্থা সব থেকে খারাপ। ছোটখাট দুর্ঘটনা লেগেই থাকে এই এলাকায়। মহকুমাশাসক (দুর্গাপুর) মৌমিতা বসু অবশ্য জানান, পূর্ত দফতরকে শীঘ্রই ওই রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরুর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
দুর্গাপুর, উখড়া, পাণ্ডবেশ্বর ও আসানসোলের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য মূল ভরসা এই রাস্তা। দুর্গাপুর মিনিবাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের তরফে সঞ্জিত মুখোপাধ্যায় জানান, অন্ডাল থেকে ঝাঝরা পর্যন্ত এই রাস্তার অধিকাংশ জায়গায় বড় বড় গর্ত হয়ে রয়েছে। সব চেয়ে খারাপ অবস্থা দীর্ঘনালা গ্রামের কাছে। ওই সংগঠনের দাবি, ওই অংশটি ঢালাই করে পাশে নর্দমার ব্যবস্থা করতে হবে। তবেই ওই রাস্তার অংশটিকে স্থায়ী ভাবে সারানো সম্ভব। সঞ্জিতবাবু বলেন, “এলাকার সব জল এসে এই রাস্তায় জমা হচ্ছে। স্বাভাবিক ভাবেই, রাস্তা ঠিক রাখতে গেলে ঢালাই করা ছাড়া গতি নেই। পাশাপাশি, নর্দমা না গড়া হলে রাস্তাতেই জল জমতে থাকবে।” |
 |
অন্ডালের দীঘর্নালা গ্রামের কাছে তোলা নিজস্ব চিত্র। |
দীর্ঘনালা গ্রামের বাসিন্দা নিমাই মণ্ডল, শান্তি মণ্ডলরা জানান, ছোটখাট দুর্ঘটনা লেগেই রয়েছে। মদনপুর, রামপ্রসাদপুর ও শ্রীরামপুর পঞ্চায়েতের বাসিন্দাদের কাছে এটিই প্রধান রাস্তা। বছরের অধিকাংশ সময়েই সিঙ্গারন নদীর সেতুর কাছে এই অংশটি মারণফাঁদ হয়ে ওঠে। বৃষ্টির দিনে যাতায়াত দুর্বিষহ হয়ে ওঠে। সংশ্লিষ্ট দফতরে বারবার প্রতিকারের দাবি জানিয়েও কোনও প্রতিকার হয়নি।
অন্ডাল স্টেশন ট্যক্সি স্ট্যান্ডের সম্পাদক তাপস দত্তের অভিযোগ, বেহাল এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে গিয়ে বাস, ট্যাক্সির বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ভেঙে যাচ্ছে। সমস্যায় পড়ছেন যাত্রীরা। সময়ে গন্তব্যে পৌঁছতে না পারায় অনেক সময়ে যাত্রীরা বিক্ষোভও দেখান।
অন্ডাল পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শুভাশিস মুখোপাধ্যায় জানান, রাস্তাটি পূর্ত দফতরের নিয়ন্ত্রণাধীন। ভোটের আগে ও পরে এই বিষয়টি মহকুমাশাসককে জানানো হয়েছে। দরপত্র ডেকে কাজ শুরু করার কথা ছিল। মহকুমাশাসক (দুর্গাপুর) মৌমিতা বসু বলেন, “পূর্ত দফতর শীঘ্রই কাজ শুরু করবে।” |
|
|
 |
|
|