পুঁটিমৌরলাট্যাংরা ইলিশপটলদোলমা
আ হা হা! জীবনের স্বাদ সত্যিই বড় সুন্দর। সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়
আমার জন্ম কুমিল্লায়। কিন্তু বড় হয়েছি ঢাকায়। বাবা, মা, ঠাকুমা আর দশ বোন নিয়ে ছিল আমাদের পরিবার। আমি সবার ছোট। মা, ঠাকুমা ভীষণ ভাল রান্না করতেন। ওঁদের হাতে পিঠে-পায়েস যে কী সুন্দর হত, তা আর কী বলব! আমাদের বাড়িতে চার-পাঁচটা গরু ছিল। ঢাকায় থাকাকালীন আমরা কখনও চা খাইনি। শুধু দুধ খেয়েছি।
দেশ ভাগের পর ১৯৪৯-এ বাবা আমাকে আর আমার ঠিক আগের বোনকে পাঠিয়ে দিলেন এ দেশে সোনাদির কাছে। ও আমার চতুর্থ দিদি। ওর তখন বিয়ে হয়ে গিয়েছে। টালিগঞ্জে থাকে। ক’বছর পর বাবা-মা-ঠাকুমাও চলে এলেন এ দেশে। দিদিদের তখন সব বিয়ে হয়ে গিয়েছে। বাবা টালিগঞ্জে একটা ছোট বাড়ি পেয়েছিলেন। সেখানেই পঞ্চাশ টাকায় একটা ঘর ভাড়া নিয়ে আমরা সকলে থাকতে লাগলাম। আমি ভর্তি হলাম নৃপেন্দ্রনাথ স্কুলে। এখান থেকেই ম্যাট্রিকুলেশন পাশ করি। এর পর সাংসারিক চাপে আর লেখাপড়া হয়নি। তখন আমি একটা নাচের গ্রুপের সঙ্গে যুক্ত হই। বিভিন্ন জায়গায় অনুষ্ঠান করি। এ ছাড়া সিনেমার শুটিংয়ে ‘ভিড়ভাট্টার দৃশ্যে’ দাঁড়াই। এখান থেকে যা পেতাম তার অর্ধেক আবার দিতে হত দালালকে।
তখন আমাদের আর্থিক অবস্থা খুবই খারাপ। তবু রোজ বাজার হত। বাবা ছিলেন খাদ্যরসিক। বাজার করতে ভালবাসতেন। মাছ ছাড়া ভাত খাওয়ার কথা আমরা কখনও ভাবতে পারতাম না। প্রতিদিন দু’রকম করে মাছ হবেই। পুঁটি, মৌরলা, ছোট ট্যাংরা, চারাপোনা, চিংড়ি, ইলিশ সব রকমের মাছই আমাদের আসত। পটলের দোর্মা (চিংড়ির পুর দিয়ে), আলু-কুমড়ো-চিংড়ি-নারকেল দিয়ে ঝোল, ইলিশের পাতুড়ি, ভাপা ইলিশ আজও যেন মুখে লেগে আছে। আমিষের পাশাপাশি আমাদের নিরামিষ রান্নাও হত বিভিন্ন শুক্তো, মুলো দিয়ে মটর ডাল, পাঁচমিশালি তরকারির মধ্যে মটর ডাল সেদ্ধ করে ছড়িয়ে দেওয়া, আমচুর দিয়ে বেগুনের পদ, কড়াইয়ের ডাল, পোস্ত, তিতা ঝোল ইত্যাদি। এখনও আমি এই সব পদ খেতে ভালবাসি। তবে পরিমাণে অল্প।
টালিগঞ্জে থাকার সময় উত্তমবাবু বেশ কয়েক বার আমাদের বাড়িতে এসেছিলেন। উনি আমার হাতের রান্না খেলেও দিদির রান্নাই বেশি খেয়েছেন। ভাত, কড়াইয়ের ডাল আর আলু পোস্ত ছিল ওঁর খুব প্রিয়। ফিল্ম লাইনে আসার আগে থেকেই আমার রান্নার প্রতি আগ্রহ। রান্না আমার যা কিছু শেখা ওই সোনাদির দেখে। আজ আর ও নেই। এখন বুঝি আমার রান্না শেখাটা বৃথা যায়নি। এখন আমার রান্নার দায়িত্বে যে আছে সে না এলে আমাকেই হাতা-খুন্তি ধরতে হয় শত ব্যস্ততার মধ্যেও। আমার রান্না ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়, জহর রায়, ছবি বিশ্বাসও খেয়েছেন।

তিতা ঝোল
করতে লাগবে: লাউ, মটর ডাল, নারকেল, পরিমাণ মতো দুধ, সর্ষের তেল, পাঁচফোড়ন, তেজপাতা, চিনি, নুন।
কী ভাবে করবেন: রান্নার আগের রাতে মটর ডাল ভিজিয়ে রাখতে হবে। প্রথমে সেই ডাল বেটে নুন, মিষ্টি মিশিয়ে ছোট ছোট বড়া করে নিতে হবে। দুধ ভাল করে জ্বাল দিয়ে ঘন করতে হবে। নারকেল বাটতে হবে মিহি করে। এর পর লাউ কাটতে হবে আলুভাজার আলুর মতো কুচি কুচি করে। গরম কড়াইতে তেল ঢেলে তাতে পাঁচফোড়ন, আদাবাটা দিয়ে ঢেলে দিতে হবে কুচি করা লাউ। সব সমেত একটু নাড়াচাড়া করে ছড়িয়ে দিতে হবে পরিমাণ মতো নুন। এর পর ঢাকা দিন। কিছুক্ষণ পর ঢাকা সরান। দেখবেন জল কাটছে, ও দিকে লাউও সেদ্ধ হচ্ছে। এই রকম ভাবে যখন জল একদম শুকিয়ে যাবে, তখন লাউয়ের মধ্যে নারকেল বাটা, দুধ আর বড়াগুলো দিয়ে দিন। সঙ্গে একটু চিনি আর তেজপাতা। প্রয়োজন হলে আর একটু নুন। ব্যস, ভাল করে পুরো জিনিসটা দু’তিনবার নাড়িয়ে নামিয়ে নিন।

আমচুর দিয়ে বেগুন
করতে লাগবে: বেগুন, আমচুর, সর্ষের তেল, কাঁচালঙ্কা, কালো জিরে (ফোড়ন হিসেবে), ধনে-জিরেবাটা, নুন, হলুদ, চিনি।
কী ভাবে করবেন: বেগুন প্রথমে লম্বা লম্বা করে কাটতে হবে। তার পর সেগুলো ভেজে নিতে হবে। এ বার কড়াইতে তেল দিন। তা গরম হয়ে গেলে তাতে ক’টা কাঁচালঙ্কা (থেঁতো করে), সামান্য কালোজিরে, ধনে-জিরেবাটা, পরিমাণ মতো আমচুর, নুন, হলুদ, চিনি দিয়ে একটু ভাল করে কষুন। তার পর অল্প করে জল দিয়ে দিন। জল ফুটে গেলে বেগুনগুলো ছেড়ে দিন। দু’এক মিনিট পর কড়াই নামিয়ে নিন।

ভাপা ইলিশ
করতে লাগবে: ইলিশ মাছ, সর্ষের তেল, সর্ষে, কাঁচালঙ্কা, একটা শুকনো লঙ্কা, নুন ও হলুদ।
কী ভাবে করবেন: ইলিশ মাছের আঁশ ছাড়িয়ে টুকরো করে ভাল ভাবে ধুয়ে নিতে হবে। একটা টিফিন বাক্সে সর্ষে, কাঁচালঙ্কা, শুকনো লঙ্কা মিহি করে বেটে তাতে সর্ষের তেল, নুন, হলুদ মিশিয়ে রাখতে হবে। টুকরো করা মাছগুলো এর ভেতর চুবিয়ে দিন। এ বার টিফিন বাক্সের মুখ আটকে এক কড়াই গরম জলের মধ্যে বসিয়ে দিন। জলও ফুটতে থাকবে, ও দিকে আপনার ভাপাও হচ্ছে। সময় মতো আঁচ নিভিয়ে দিন।

সাক্ষাৎকার: অনির্বাণ কর
অলঙ্করণ: ওঙ্কারনাথ ভট্টাচার্য
চিকেন চাপড়ি
আগে থেকে জোগাড় করে রাখুন চিকেন কিমা ৫০০ গ্রাম, ময়দা ২০০ গ্রাম, এবং বেসন ২০০ গ্রাম।
বানিয়ে ফেলুন: প্রথমেই কিমাটা সেদ্ধ করে জল ঝরিয়ে নিন। এ বার কিমাতে সামান্য পরিমাণে আদা বাটা, কাঁচালঙ্কা বাটা, হলুদগুঁড়ো, পেঁয়াজ বাটা, রসুন বাটা, একটু লেবুর রস, প্রয়োজন মতো নুন ও ময়দা দিয়ে মেখে ছোট ছোট বলের আকারে গড়ে নিন। এর পর একটি বাটিতে বেসন, সামান্য পরিমাণে আদা বাটা, রসুন বাটা, পেঁয়াজ বাটা, কাঁচালঙ্কা বাটা, নুন ও জল দিয়ে গোলা তৈরি করুন।
এখন গ্যাসে ফ্রাইপ্যান বসিয়ে, তাতে বেশি পরিমাণে তেল দিন। কিমার বলগুলি বেসনের গোলায় ডুবিয়ে ছাঁকা তেলে ভেজে রাখুন। এর পর পরিমাণ মতো তেলে পেঁয়াজ কুচি ভেজে আদা বাটা, রসুন বাটা, গোটা কাঁচালঙ্কা, সামান্য শুকনো লঙ্কাগুঁড়ো, টমেটো, জিরেগুঁড়ো ২ চা-চামচ, হলুদগুঁড়ো ১/২ চা-চামচ, নুন দিয়ে কষিয়ে অল্প জল দিন। ভাজা কিমার বলগুলি দিন। ফুটে উঠলে নামিয়ে ফেলুন ঘন ঝোল থাকতে থাকতে। সামান্য পরিমাণে লেবুর রস দিয়ে ঢেকে রাখুন পাঁচ মিনিট। ঢাকনা খুলে পেঁয়াজ কুচি ভাজা ছড়িয়ে দিন। এটা রুটি, লুচি, ভাতের সঙ্গে খেতে খুব ভাল লাগবে।

এখন থেকে ‘খাওয়াবদল’-এ পাঠাতে পারেন মজার মজার রেসিপি। শব্দসীমা: ২০০। পাঠান:
খাওয়াবদল,
রবিবাসরীয়,
আনন্দবাজার পত্রিকা,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা-৭০০০০১
মুখ খোলার, গল্প করার, গলা ফাটানোর নতুন ঠিকানা চারিদিক থেকে কানে আসা
নানা কথা নিয়ে আমরা শুরু করে দিলাম। এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ভার আপনাদের
lআগামী বছর থেকে মহানায়কের নামে চলচ্চিত্র পুরস্কার দেওয়ার কথা ঘোষণা করে (তিন দশক না হওয়া) মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হয়তো কাউকে এটাই বললেন, তুমি অধম, তাই বলিয়া আমি ‘উত্তম’ হইব না কেন?
বাপি গঙ্গোপাধ্যায়। মল রোড

lদিদি বললেন, শিলিগুড়ি-দার্জিলিং দুই বোনের মতো। ক’দিন আগে বললেন, শিল্পিত স্থাপত্যের আর্ট গ্যালারিটির নাম হবে ‘কেমো-মা’। আর শিল্প-কৃষি, হাসি আর খুশি দুই বোনের মতো, আগেই বলেছেন! সর্বোপরি ‘মা-মাটি-মানুষ’ তো আছেই। এ সব শুনে রাজ্যের মাতৃকুল উৎফুল্ল। তবে এর মধ্যে পিতৃকুলের একমাত্র ভরসা বলতে স্যাম পিত্রো-দা! সংখ্যাটা বাড়ান প্লিজ!
সুশান্ত ঘোষাল। কালনা

lপাহাড়ের সমস্যা সমাধানের অভিনব সাফল্যের পর, কাশ্মীর সমস্যা সমাধানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপ চায় এখন পাকিস্তানও!
ম্যাজিক পিপাসু।

lমমতা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী বলে সম্বোধন করাটা তিনি পছন্দ করেন না। তাতে বুদ্ধদেববাবুই খুশি হলেন। তিনিই এখন পর্যন্ত বাংলার শেষ মুখ্যমন্ত্রী হয়ে থেকে গেলেন!
টুবাই গুপ্ত। নাকতলা

lট্রেন্টব্রিজ টেস্টে টিম ইন্ডিয়ার যে ঘণ্টা (Bell) বেজে গিয়েছে, তা বিলক্ষণ টের পাচ্ছিলেন ধোনি। সে কারণেই বোধ হয় ‘বেল’কে ফিরিয়ে দিয়ে পরাজয়ের গ্লানিকে ‘স্পিরিট অব ক্রিকেট’-এর দিকে ঘুরিয়ে দিয়ে ‘শাক দিয়ে মাছ ঢাকা’র চেষ্টা!
উজ্জ্বল গুপ্ত। তেঘড়িয়া

l
প্রথম জন: সিপিএমের গৌতম দেব বলেছেন, বিপর্যয়ের কারণ নিয়ে দলের অন্দরে চুলচেরা বিচার চলছে।
দ্বিতীয় জন: প্রশ্ন হল, চুলচেরা, না চুল ছেঁড়া?

হীরালাল শীল। কলেজ স্ট্রিট

lখবরে প্রকাশ: ছাত্রকে এক শিক্ষক শাস্তি দেওয়ায় এক তৃণমূল নেতা ওই শিক্ষককে চড় মেরেছেন। এখন আলিমুদ্দিনের দিকে মাইকের চোঙ ঘুরিয়ে কালীঘাট থেকে ঠাকুরের গান বাজতেই পারে: আমার হল শুরু, তোমার হল সারা...
সুদর্শন নন্দী। মেদিনীপুর

lরবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্প্রতি বীরপুঙ্গবদের বাড়বাড়ন্ত! বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পাল্টে বীরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় রাখা উচিত!
শাশ্বত গুপ্ত। ইব্রাহিমপুর রোড

lপথচারী ১: আচ্ছা দাদা, মহাকরণে পৌঁছব কী করে?
পথচারী ২: ২৬ দিন অনশন করুন, মহাকরণে ঠিক পৌঁছে যাবেন!

সুমন মোদক। সমুদ্রগড়
ম্যারাথন দৌড়ের দৈর্ঘ্য কেন ছাব্বিশ মাইল তিনশো পঁচাশি গজ? উত্তরটা আসলে খুব সংক্ষিপ্ত: ব্রিটিশ রাজপরিবারের সুবিধের জন্য। আধুনিক যুগের প্রথম তিনটি অলিম্পিকে ম্যারাথন দৌড়ের দৈর্ঘ্য ছিল মোটামুটি ভাবে ৪২ কিলোমিটার বা ২৬ মাইলের আশেপাশে।
১৯০৮ সালে লন্ডন অলিম্পিক গেমস-এ ম্যারাথন শুরু হয়েছিল উইন্ডসর কাসলের একটা জানলার নীচ থেকে। যাতে রাজপরিবারের অনেকেই জানলা থেকে শুরুটা দেখতে পান।
দৌড়ের শেষ মার্কটা ছিল হোয়াইট সিটি স্টেডিয়ামের রয়্যাল বক্সের ঠিক নীচে। যাতে রাজপরিবারের আরও অনেকে শেষ দড়ি ছোঁয়াটা চাক্ষুষ করতে পারেন।
এই দূরত্বটা ছিল ২৬ মাইল ৩৮৫ গজ। এটাই এর পর থেকে নিয়ম হয়ে উঠল।
আগের অলিম্পিকের ২৬ মাইল দৌড়ের ইতিহাস শুরু ফিডিপ্পিডিস নামে এক সংবাদবাহকের দৌড় থেকে। খ্রীষ্টপূর্ব ৪৯০ সালে তিনি ম্যারাথন থেকে আথেন্স দৌড়ে গিয়েছিলেন পারস্যবাসীদের বিরুদ্ধে আথেনীয়দের জয়সংবাদ নিয়ে। লোকগাথা বলে বিজয় সংবাদ দিয়েই তিনি পড়ে যান ও মারা যান।
যদিও এই পতন ও মৃত্যুর কাহিনিটি গায়ে কাঁটা দেয়, এর সত্যতা নিয়ে সন্দেহ হওয়া স্বাভাবিক। ম্যারাথন দৌড়ের পর সাধারণত কেউ মরেন না, আর সেই যুগের গ্রিসে পেশাদার সংবাদবাহকেরা এর দ্বিগুণ দূরত্ব ছুটবার জন্যে তৈরি হতেন।
এই গল্পটা আমরা প্রথম পাই রোমান ইতিহাসবিদ প্লুটাকের্র লেখায়, ঘটনার ৫০০ বছরেরও বেশি সময়ের পর। তিনি আবার ওই হরকরার নাম রেখেছিলেন ইউক্লিস।
‘আলট্রা-রানিং’ ম্যারাথনের চেয়েও বেশি দূরত্বের দৌড়। ১৯৮২ সালে আমেরিকার আলট্রা-রানিং অ্যাসোসিয়েশন এই দৌড় চালু করে। ফিডিপ্পিডিসের সেই পথে দৌড় হয়েছিল।

তথ্যসূত্র: দ্য বুক অব জেনারেল ইগনোরেন্স

শেষে ফেল করে গেলে ক্রিকেটের ম্যাট্রিক?
ক্রিস ব্রডও করে গেল হেসেখেলে হ্যাট্রিক।
সকলে আউট হল নিজেদের খেয়ালে,
নকল বুঁদির গড় বাঁচাবে কি ‘দেয়ালে’?
অহং কি বেড়েছিল, জিতে কিছু কাপ?
পোর্সেলিনের মতো ভেঙে দিল চাপ।
ঘুঁটে মালা নিয়া ঘোরো টিম ইন্ডিয়া

মেট্রো রেল কি প্যাসেঞ্জারদের
‘টোকেন ফর গ্রান্টেড’ করে ফেলেছে?

অনিরুদ্ধ গুপ্ত, দমদম পার্ক
ক্ষমা করিনি
চল্লিশ দশকের গোড়া। ময়মনসিংহে কেওটখালি রেল কলোনি। আমি পড়াশোনা, খেলাধূলা, সাঁতার, বক্সিং, লাঠিখেলা, যুযুৎসু, সঙ্গীত ও অভিনয়ে পারদর্শী ছিলাম। ’৪২-এর ভারত ছাড়ো আন্দোলনে কিশোর বয়সে গ্রেফতার বরণ করি। তারও পূর্বে সুভাষচন্দ্র বসুর সঙ্গে কথা বলেছি এবং স্নেহ-স্পর্শ পেয়েছি। পিতৃহীন এক কিশোরী আমাকে ভালবাসত। এক দিনের অদর্শনে সে অস্থির হয়ে উঠত। আদর্শবাদী আমি ওর কোনও দিন কোনও প্রকার অসম্মান করিনি। হঠাৎ এক দিন শুনলাম ওকে অনেক দূরে দেশের বাড়িতে রেখে আসা হয়েছে, কোনও দিন ফিরবে না। আমি ব্রাহ্মণ, ও কায়স্থ সে জন্যই কি? প্রচণ্ড মানসিক যন্ত্রণায় বহু বিনিদ্র রজনী কাটিয়েছি। আজ ৮৪ বৎসর বয়সেও ওর স্মৃতি অম্লান। ওদের বাড়ির লোককে ক্ষমা করতে পারিনি।
বিনয়ভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়, চুঁচুড়া

মুখ খোলার, গল্প করার, গলা ফাটানোর
নতুন বিভাগ। চারিদিক থেকে কানে আসা
নানা কথা নিয়ে আমরা শুরু করে দিলাম।
এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ভার আপনাদের।

ই মেল-এ অথবা ডাকে, চিঠি পাঠান।
ই-মেল: chirkut.rabi@abp.in
চিঠি: চিরকুট, রবিবাসরীয়,
আনন্দবাজার পত্রিকা,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা ৭০০০০১


এখন থেকে ‘খাওয়াবদল’-এ পাঠাতে
পারেন মজার মজার রেসিপি।
শব্দসীমা: ২০০।

পাঠান: খাওয়াবদল,
রবিবাসরীয়,
আনন্দবাজার পত্রিকা,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা-৭০০০০১

Golpo Rabibasariyo Anandamela



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.