আপনি জলে পড়ে আছেন?
অ্যাকোয়াথেরাপি
‘জলের অন্য নাম জীবন’। ছোটবেলা থেকে এ সব নিয়ে রচনা অনেক লিখেছি, আবার রেজাল্ট খারাপ হলে ‘সব টাকা জলে গেল’ (অর্থাৎ, পড়াশোনার যাবতীয় খরচ) গোছের মায়েদের হা-হুতাশ শুনেই, মধ্যবিত্ত বাড়ির ছেলেমেয়েরা বড় হয়। কিন্তু জলের এসথেটিক গুণ নিয়ে হইচই করব এ রকম দিন আসবে, তা চিন্তা করা সম্ভব হয়নি। এখন ‘অ্যাকোয়াথেরাপি’ নামক একটি শব্দ খুব শোনা যাচ্ছে। সাধারণ মধ্যবিত্ত বাঙালি সমাজ এ ধরনের উটকো শব্দের সঙ্গে ঠিক অভ্যস্ত নয়। জলকে বিভিন্ন রকম ভাবে শরীরচর্চা ও ত্বক চর্চার কাজে লাগানো, মোদ্দা কথা এটাই হচ্ছে অ্যাকোয়াথেরাপি।

অ্যাকোয়াথেরাপি কাকে বলে?
অ্যাকোয়াথেরাপি এক ধরনের চিকিৎসাপদ্ধতি। এক জন প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ফিজিয়োথেরাপিস্ট শরীরের চাহিদা অনুযায়ী জলের বিভিন্ন গুণাগুণকে কাজে লাগিয়ে, জলের মধ্যে এক্সারসাইজ করতে সাহায্য করেন।
জলের একটি নিজস্ব প্রতিরোধ ক্ষমতা আছে, সেটিকে অতিক্রম করে হাত-পা সমস্ত শরীর সঞ্চালন করা অনেক বেশি যুক্তিসঙ্গত, সাধারণ এক্সারসাইজের তুলনায়। সাধারণত আমরা হাওয়ার মধ্যে শরীরচর্চা করি, সেখানে কোনও প্রতিরোধ থাকে না। জলের মধ্যে একই ধরনের শরীরচর্চা অনেক বেশি কার্যকরী। যেমন, সাধারণ জগিং আমাদের ২৪০ ক্যালোরি ক্ষয় করে, কিন্তু জলের মধ্যে দাঁড়িয়ে জগিং করলে ৩৪০ ক্যালোরি অবধি কমতে পারে।

অ্যাকোয়াথেরাপির উপকারিতা
বিভিন্ন জয়েন্ট ও পেশির ব্যথা কম হয়, শরীরের ভেতরের সমস্ত কাজকর্ম ঠিক থাকে। এগুলি ঠিক থাকলে স্বভাবতই শরীর সুস্থ থাকে। এ ছাড়া, অ্যাকোয়াথেরাপির সব থেকে বড় উপকার হল এর অ্যান্টি এজিং ফ্যাক্টর। ফেশিয়ালের থেকেও বেশি কার্যকরী। আপনি যদি ঠিক পদ্ধতি মেনে অ্যাকোয়াথেরাপি করেন, তবে অনেক দিন পর্যন্ত বলিরেখা ও বয়সকে ঠেকিয়ে রাখতে পারবেন। কলকাতায় কিছু বড় হোটেলে এই চিকিৎসাপদ্ধতি শুরু হয়েছে। বর্ষাকালের পক্ষে সব থেকে ভাল ফেশিয়াল অ্যাকোয়া-ফেশিয়াল। এই ফেশিয়ালের অর্থ হল, মুখের যে জলীয় ভাব, তাকে বজায় রাখা। প্রতিনিয়ত আমরা প্রকৃতির সান্নিধ্যে এসে ত্বকের জলীয় ভাব হারিয়ে ফেলি। দূষিত আবহাওয়া এর জন্য দায়ী। ত্বকের জলীয় ভাবের ভারসাম্য বজায় রাখলে আমাদের চিরযৌবন বজায় থাকবে এবং বলিরেখা সহজে হবে না। ত্বকের জলীয় ভাবের ভারসাম্য বজায় রাখা ছাড়াও ট্যান যতটা কম হয়, সে দিকেও নজর রাখতে হবে।

অ্যাকোয়া-ফেসিয়াল
এই ধরনের ফেশিয়ালে সমস্ত ধরনের ঠান্ডা জলীয় উপকরণ ব্যবহার করা হয়, যেমন গোলাপজল, গোলাপ পাপড়ি, তরমুজের শাঁস, পুদিনা পাতা, শশার রস, পেঁপে ইত্যাদি। ত্বকের জলীয় ভাব এবং ত্বককে ঠান্ডা রাখতে এগুলো অসম্ভব সাহায্য করে।
ক্লেনজিং প্রথমে গোলাপজল দিয়ে ক্লেনজিং করা হয়।
স্ক্রাবিং গোলাপের পাপড়ি শুকিয়ে গুঁড়ো করে অথবা চালের গুঁড়োর সঙ্গে কাঁচা দুধ,
বেসন মিশিয়ে হালকা করে ম্যাসাজ করতে হবে। ফলে, ত্বকের সমস্ত মৃত কোষ চলে যাবে। গাজরের রস, পেঁপের রস, পুদিনা পাতার রস ত্বকের ভেতর মাসাজ করে ঢোকানে হয়। তরমুজের রস-ও কোনও কোনও ক্ষেত্রে দেওয়া হয়।
তবে এগুলি সব একসঙ্গে নয়, যে কোনও একটি। দু’-তিন মিনিট স্টিম চালিয়ে তুলো দিয়ে মোছা হয়। কিছু ক্ষণ অন্তর শশার রস বা গোলাপজল দিয়ে মুখটিকে মুছে দেওয়া হয়। যাদের ত্বক তৈলাক্ত, তাদের ক্ষেত্রে শশার রস খুব উপকারী।
প্যাক হিসেবে চন্দন বা তরমুজের শাঁস ব্যবহার করা যেতে পারে। কিছু ক্ষণ রেখে ধুয়ে ফেলুন ও গোলাপজল লাগিয়ে নিন।
Previous Item Utsav Next Item



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.