স্বাস্থ্যকেন্দ্রের নতুন ভবনে তালা
টা করে উদ্বোধন হয়েছিল গত বছর। কিন্তু এখনও পাণ্ডুয়ার বৈঁচি বিহারীলাল মুখোপাধ্যায় প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে অন্তর্বিভাগের নতুন ভবন চালু হল না। তালাবন্ধ অবস্থায় পড়ে রয়েছে ভবনটি। উদ্বোধনের সময়ে সুষ্ঠু চিকিৎসা পরিষেবার আশা করেছিলেন যে সব গ্রামবাসী, অন্তর্বিভাগ চালু না হওয়ায় তাঁরা হতাশ।
প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি প্রায় দেড়শো বছরের পুরনো। প্রতিদিনই বহু রোগী আসেন। দীর্ঘদিন ধরে অন্তর্বিভাগ এবং বহির্বিভাগ একই ভবনে চলছিল। কিন্তু স্বল্প পরিসরের কারণে বহির্বিভাগের জন্য আলাদা ভবন তৈরির সিদ্ধান্ত নেয় স্বাস্থ্য দফতর। প্রায় ১ কোটি টাকায় দশ শয্যা বিশিষ্ট নতুন ভবনের উদ্বোধন হয় গত বছর ১৭ এপ্রিল। উদ্বোধন করেছিলেন তৎকালীন হুগলির মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ভূষণ চক্রবর্তী। সেই সময়ে তিনি জানিয়েছিলেন, অন্তর্বিভাগে ছয় জন মহিলা এবং চার জন পুরুষ রোগী ভর্তি হতে পারবেন। এমনকী, প্রসূতি বিভাগ চালুরও আশ্বাস দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সে সব কিছুই হয়নি।
নিজস্ব চিত্র।
নতুন ভবনটি উদ্বোধনের পরেই পুরনো ভবনের অন্তর্বিভাগ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে, সমস্যায় পড়েন কঠিন রোগে আক্রান্তেরা। তাঁদের এখন ১৫ কিলোমিটার দূরের পাণ্ডুয়া গ্রামীণ হাসপাতালে অথবা আরও দূরের চুঁচুড়া ইমামবাড়া সদর হাসপাতালে যেতে হচ্ছে। অনেক রোগীর আত্মীয়েরা জানিয়েছেন, এতে যাতায়াতের খরচ যেমন বেড়েছে, তেমনই কয়েকটি ক্ষেত্রে রোগীর মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে।
বর্তমানে নতুন ভবনের চারপাশে ঘুরে বেড়ায় গরু-ছাগল। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে অব্যবহারের ফলে শয্যাগুলি নষ্ট হতে বসেছে। যে সব নতুন যন্ত্রপাতি কেনা হয়েছিল, তা অকেজো হয়ে পড়েছে বলেও অনেকে দাবি করেছেন। এখন প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য শুধু চালু রয়েছে পুরনো ভবনের বর্হিবিভাগটি। ব্লকের বাঁটিকা-বৈঁচিগ্রাম পঞ্চায়েতের প্রায় ৫০ হাজার মানুষ এই প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের উপরে নির্ভরশীল। বৈঁচিগ্রামের বাসিন্দা প্রভাত মুখোপাধ্যায় বলেন, “এত টাকা খরচ করে নতুন ভবনটির উদ্বোধন হয়েও পড়ে রয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা ছাড়া এখানে আর কিছুই হয় না। সংশ্লিষ্ট দফতরের উচিত গ্রামবাসীদের এই দুর্দশার কথা মাথায় রেখে অবিলম্বে নতুন ভবনে দু’টি বিভাগ চালু করা।”
কেন এখনও নতুন ভবন চালু হল না ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে?এর কারণ হিসাবে চিকিৎসকেরা অভাবের কথা জানিয়েছেন হুগলি জেলা সভাধিপতি প্রদীপ সাহা। তিনি বলেন, “চিকিৎসক নিয়োগের জন্য নতুন সরকারের কাছে আবেদন করেছি।” একই কারণ জানিয়েছেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক উন্মেষ বসুও। তিনি বলেন, “নতুন ভবনটিতে অন্তর্বিভাগ এবং প্রসূতি বিভাগ চালুর জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক চিকিৎসক নেই। চিকিৎসক নিয়োগের পদ্ধতি চলছে। চিকিৎসকের অভাব দূর করে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ভবনটি চালু করা হবে।”
Previous Story Swasth Next Story



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.