|
|
|
|
ডিপোয় বিক্ষোভ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • জলপাইগুড়ি |
শহরের বাসিন্দারা সরকারি বাস পরিষেবা থেকে বঞ্চিত, অভিযোগ করে এনবিএসটিসির জলপাইগুড়ি ডিপোয় বিক্ষোভ দেখাল কংগ্রেস। শুক্রবার জলপাইগুড়ি শহর ব্লক কংগ্রেসের সভাপতি তথা পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান পিনাকী সেনগুপ্তের নেতৃত্বে কংগ্রেস কর্মীরা ডিপোয় বিক্ষাভ দেখান। যাত্রীদের অপেক্ষা করার পরিকাঠামোগত অভাব থেকে শুরু করে এই ডিপো থেকে দুরপাল্লার বাস না-ছাড়া অথবা দুরপাল্লার বাসগুলি জলপাইগুড়ির ডিপো ছুঁয়ে চলাচল না-করা সহ ৬ দফা দাবিতে স্মারকলিপি দেয় কংগ্রেস। কংগ্রেসের বিক্ষোভ কর্মসূচির পিছনে রাজনৈতিক তাৎপর্যও রয়েছে। কিছুদিন আগেই একক ভাবে কংগ্রেসের দখলে থাকা জলপাগুড়ির পুরসভার কাজ নিয়ে নানান অভিযোগ করে স্মারকলিপি দেয় তৃণমূল। রিকশা চালকদের সংগঠন তৈরি করে পুরসভার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আন্দোলন চলছে তৃণমূলের। এই দুই কর্মসূচির পাল্টা জবাব দিতেই এনবিএসটিসিতে কংগ্রেসের বিক্ষোভ কর্মসূচি নেওয়া বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে। যদিও শহর ব্লক কংগ্রেস সভাপতির বক্তব্য, “বাসিন্দাদের স্বার্থেই এই আন্দোলন। জলপাইগুড়ি উত্তরবঙ্গের বিভাগীয় সদর। অথচ এই শহরে এনবিএসটিসি ডিপোকে দীর্ঘদিন ধরে পঙ্গু করে রাখা হয়েছে। ডিপোয় যে পর্যটন সেল ছিল তাও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যাত্রী পরিষেবা নেই। কোনও দুরপাল্লার বাস ডিপো থেকে ছাড়ে না।” স্মারকলিপিতে অসম এবং কলকাতাগামী দুরপাল্লার বাস ডিপো থেকে ছাড়ার দাবি জানানো হয়েছে। জলপাইগুড়ির বাইপাস দিয়ে যাওয়া দুরপাল্লার বাসগুলিকে ডিপো ছুঁয়ে যাওয়ার দাবিও রয়েছে। এছাড়া জলপাইগুড়ি থেকে ধূপগুড়ি, ময়নাগুড়ি, মানিকগঞ্জ, রাজগঞ্জ, বোদাগঞ্জ, ওদলাবাড়ি, ক্রান্তিগামী বাস চালুর দাবি জানানো হয়েছে। জলপাইগুড়ি থেকে বালুরঘাটগামী একটি বাস প্রতিদিন সন্ধ্যায় ডিপো থেকে ছাড়ত। সেই বাসটি বন্ধ করে দেওয়ার প্রতিবাদ করেছে কংগ্রেস। ডিপোর ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক স্বপন সেনকে স্মারকলিপি দেয় কংগ্রেস। বিক্ষোভ চলাকালীন চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান পিনাকী বাবু। দাবি মানা না-হলে আন্দোলন জারি রাখার হুমকি দিয়েছে কংগ্রেস। পিনাকীবাবু বলেন, “সংস্থার চেয়ারম্যান জলপাইগুড়িতে এসে বৈঠক করার আশ্বাস দিয়েছেন। দাবি মানা না-হলে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া হবে।” |
|
|
|
|
|