|
|
|
|
কোনও কাজই করেনি আগের সরকার |
ক্ষুদ্রশিল্পের সম্ভাবনার রিপোর্ট দেবেন মানস |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
উত্তরবঙ্গের ছয় জেলার ক্ষুদ্র এবং কুটির শিল্পের বিভিন্ন সম্ভবনার বিস্তারিত রিপোর্ট মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেবেন দফতরের মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া। শুক্রবার সন্ধ্যায় শিলিগুড়ি সার্কিট হাউসে ছয় জেলার খাদি, রেশম, বস্ত্র-সহ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প দফতরের বিভিন্ন আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করার পর মানসবাবু ওই কথা জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে প্রতি জেলায় সংশ্লিষ্ট সকল আধিকারিকদের একটি বৈঠক করার নির্দেশও দেন মন্ত্রী। শুধু তাই নয়, প্রতি জেলায় দুটি করে উপদেষ্টা কমিটি গঠন করতে বলেছেন মন্ত্রী। মানসবাবু বলেন, “এদিন বৈঠকে বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকদের পাশাপাশি স্থানীয় মন্ত্রী, বিধায়কেরা উপস্থিত ছিলেন। প্রতি জেলা ধরে ধরে বর্তমান অবস্থা খতিয়ে দেখা হয়েছে। প্রচুর সম্ভবনা থাকার পরেও আগের সরকার কাজ করতে পারেনি। এবার তা সম্ভবনা এবং তা কী ভাবে বাস্তবে করা সম্ভব তা দেখছি। সব মিলিয়ে উত্তরবঙ্গের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প এবং নানা প্রকল্প নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে রিপোর্ট দেব।” মন্ত্রীর কথায়, “মুখ্যমন্ত্রী গ্রাম, ছোট শহরের আর্থ সামজিক উন্নয়নের কথা বলেছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের সাহায্যে সেই কাজগুলি জরুরি ভিত্তিতে করা হবে। আধিকারিকদের দফতরে না বসে থেকে মানুষের কথা শুনে কাজ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” মন্ত্রী জানান, ঠিকঠাক পর্যালোচনা না করে স্বনির্ভরপ্রকল্পগুলি মঞ্জুর করায় ব্যাঙ্কঋণের সমস্যা এবং ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের মজুরি কম হওয়ায় শ্রমিকেরা ১০০ দিনের প্রকল্পে কাজ চলে যাচ্ছেন। এই দিকগুলিও বৈঠকে আলোচনা করা হয়েছে। বিভিন্ন শিল্প তালুকের পরিকাঠামোগত সমস্যাগুলি দেখা হচ্ছে। প্রতি জেলায় মাসিক বৈঠক এবং দুটি কমিটি গড়া হচ্ছে। একটি কমিটি ক্ষুদ্র এবং কুটির শিল্পের এবং আরেকটি বস্ত্র ও রেশম শিল্পের উপদেষ্টা হিসাবে কাজ করবে। এদিন বৈঠকে ছয় জেলার সম্ভবনাময় ক্ষেত্র নিয়ে আলোচনা হয়। জলপাইগুড়ি জেলার বেত, বাঁশ, রেশম-তসর, কোচবিহারের শীতলপাটি, পাট এবং বাঁশ, শিলিগুড়ির ছোট শিল্পতালুকের নারা ধরনের শিল্প, দুই দিনাজপুরের পাট, মালদহের সিল্ক, খাদি, রেশমের মত বিষয়গুলি উঠে এসেছে। এ দিন মন্ত্রীকে স্টেট ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন, উত্তরবঙ্গ স্টোরেজ ব্যাটারি উদ্যোগী অ্যাসোসিয়েশেন, শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি মাইক্রো অ্যান্ড স্মল ইন্ডাস্ট্রিজ অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে দাবিপত্র দেওয়া হয়। তিস্তা সেচ প্রকল্প পুনরুজ্জীবন, শিল্পতালুকগুলি পরিকাঠামো উন্নয়ন, ব্যাটারি শিল্পে ক্লাস্টার তৈরির কাজ দ্রুত করার দাবি মন্ত্রীকে জানানো হয়েছে। |
|
|
|
|
|