|
|
|
|
ভার্নাবাড়ি খোলাতে উদ্যোগী উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী |
বিপাকে দু’হাজার চা শ্রমিক |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আলিপুরদুয়ার |
মজুরি কেটে নেওয়ার অভিযোগ তুলে শ্রমিকেরা ম্যানেজারদের বাগান থেকে বার করে দেওয়ায় অনিশ্চিত হয়ে পড়ল ডুয়ার্সের কালচিনির ভার্নাবাড়ি বাগানের দু’হাজার শ্রমিকের ভবিষ্যৎ। বৃহস্পতিবার উত্তেজিত শ্রমিকেরা বাগানের ৬ ম্যানেজারকে বার করে দেওয়ার পরে শুক্রবার সেখানে কোনও কাজকর্ম হয়নি। বাগানে ফেরেননি ওই ম্যানেজাররাও। ফলে চা বাগানটি লক আউটের মুখে পড়ল বলেই মনে করা হচ্ছে। বাগানটি দ্রুত খোলার ব্যাপারে এগিয়ে এসেছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব। তিনি বলেন, “চা শিল্প যাতে কোনও ভাবে বন্ধ না হয় সে জন্য চেষ্টা চালাচ্ছি। শ্রমিক ও মালিক পক্ষকে এই ব্যাপারে সহযোগিতা করতে হবে। ভার্নাবাড়ি চা বাগানের বিষয়ে জলপাইগুড়ির ভারপ্রাপ্ত জেলাশাসক ও শ্রম দফতরের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি।” কালচিনি ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে আপাতত ওই চা বাগানের শ্রমিকদের ত্রাণ বিলির ব্যবস্থা হচ্ছে। কালচিনির বিডিও থেনডুপ শেরপা বলেন, “শ্রমিকেরা এদিন আমার সঙ্গে দেখা করেছেন। তাঁরা বাগানের সিনিয়র ম্যানেজার এবং একজন সহকারী ম্যানেজারকে বাগানে ঢুকতে দেবেন না বলে জানিয়েছেন। এদিন বাগানে পাতা তোলার কাজও হয়নি। নতুন ম্যানেজার চেয়ে মালিকপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও লাভ হয়নি। তাঁরা ফোন তোলেননি। এই পরিস্থিতিতে চা বাগানে চাল-সহ গুরুত্বপূর্ণ সামগ্রী ত্রাণ হিসাবে বিলির জন্য আলিপুরদুয়ারের মহকুমাশাসক ও জেলাশাসকের কাছে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।” আলিপুরদুয়ারের মুখ্য শ্রম আধিকারিক সুমন্ত শেখর রায় বলেন, “ভার্নাবাড়ি চা বাগান বন্ধ হয়ে যাওয়ার কথা শ্রমিক কিংবা মালিক, কেউই জানাননি।” চা বাগানের ম্যানেজার নন্দকিশোর সিংহ এদিনও অভিযোগ করেন, “শ্রমিকদের হাতে আমাদের হেনস্থার পিছনে তক্রান্ত রয়েছে। ২০০৫-০৮ সাল চা বাগানটি বন্ধ থাকাকালীন কয়েকজন শ্রমিক নেতা অপারেটিং ম্যানেজমেন্ট কমিটি গড়েন। তাঁরাই ফের বাগান বন্ধ করতে চাইছেন বলে সন্দেহ হচ্ছে। কয়েকজন শ্রমিক নেতার নামে নির্দিষ্ট ভাবে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।” গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার শ্রমিক নেতা ইন্দ্রবাহাদুর ছেত্রী এবং আদিবাসী বিকাশ পরিষদের প্রসাদ হরিজন অভিযোগ করেন, “শ্রমিকদের প্রচুর টাকা বকেয়া রয়েছে। তার উপর দিনে ২৫ কেজির কম চা পাতা তলুলে কেজি প্রতি এক টাকা করে কেটে নেওয়ার সিধান্ত নেন ম্যানেজাররা। এই মাসের বেতনের পে স্লিপে তা ছাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। এতেই ক্ষুব্ধ শ্রমিকরা ম্যানেজারদের চা বাগান থেকে বার করে দিয়েছেন। আমরাও সিধান্ত নিয়েছি নতুন ম্যানেজার এলেই কাজ শুরু করব। আপাতত চা-বাগান বন্ধ থাকবে। এতে শ্রমিকদের অসুবিধে হবে।” |
|
|
|
|
|