|
|
|
|
খুচরোয় বিদেশি লগ্নি, মমতাকে চিঠি ফ ব-র |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
খুচরো ব্যবসায় বিদেশি বিনিয়োগের প্রবেশ আটকানোর জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘সদর্থক ভূমিকা’ নেওয়ার আর্জি জানিয়ে চিঠি পাঠাল ফরওয়ার্ড ব্লক। কেন্দ্রীয় সরকার খুচরো ব্যবসায় ৫১% বিদেশি লগ্নিকে অনুমোদন দেওয়ার কথা ভাবলেও ‘মা-মাটি-মানুষের সরকার’ যাতে এ রাজ্যের অসংখ্য ছোট ব্যবসায়ীর স্বার্থে ওই প্রস্তাবে সায় না-দেয়, মমতার কাছে সেই অনুরোধই জানিয়েছে বাম শরিক ফ ব-র শ্রমিক সংগঠন টিইউসিসি। তৃণমূল কেন্দ্রে ইউপিএ সরকারের দ্বিতীয় বৃহত্তম শরিক, তাই কেন্দ্রীয় স্তরেও প্রস্তাবের বাস্তবায়ন মমতার ভূমিকার উপরে অনেকটাই নির্ভরশীল বলে তাদের মত।
রাজ্যে ক্ষমতায় আসার আগে তৃণমূল নেত্রী মমতা খুচরো ব্যবসায় বৃহৎ পুঁজির ‘অনুপ্রবেশ’ এবং বিদেশি বিনিয়োগে ছাড় দেওয়ার বিরুদ্ধেই ছিলেন। বাম সরকার থাকাকালীন ফ ব যেমন ওই প্রশ্নে রাস্তায় নেমেছিল, মমতাও তেমন পৃথক আন্দোলনের কর্মসূচি নিয়েছিলেন। ছোট ব্যবসায়ীদের পক্ষে মমতার ওই অতীত ভূমিকার কথা মাথায় রেখেই তাঁর কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন টিইউসিসি-র রাজ্য সম্পাদক নরেন চট্টোপাধ্যায়। একই সঙ্গে তিনি বলন, “চিঠি দিয়েই বসে নেই। খুচরো ব্যবসায় বিদেশি বিনিয়োগে অনুমোদন দেওয়ার কেন্দ্রীয় সরকারি প্রস্তাবের বিরুদ্ধে শুক্র ও শনিবার রাজ্য জুড়ে প্রতিবাদে নেমেছি।” কলকাতায় নিউ মাকের্ট এলাকায় আজ, শনিবারই এই প্রশ্নে টিইউসিসি-র প্রতিবাদ সভা। খুচরো ব্যবসায় ৫১% প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগে অনুমোদন দেওয়া যেতে পারে বলে কেন্দ্রীয় সচিব স্তর থেকে সম্প্রতি সুপারিশ জমা পড়েছে। মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠিতে নরেনবাবু জানিয়েছেন, খুচরো বিপণনে বিদেশি বিনিয়োগে সায় দিলে কৃষি-সহ উৎপাদন ব্যবস্থাতেও তাদের নিয়ন্ত্রণ কায়েম হতে পারে। এমনিতেই বহু কল-কারখানা বন্ধ থাকায় বহু মানুষ খুচরো ব্যবসার মতো ‘স্বাধীন’ জীবিকা নিয়ে জীবনধারণে বাধ্য হচ্ছেন। গ্রামীণ ক্ষেত্রের উদ্বৃত্ত শ্রমও এর সঙ্গে জড়িত। মমতাকে চিঠিতে ফ ব-র রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য নরেনবাবুর অনুরোধ, ‘রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে খুচরো ব্যবসায় বৃহৎ সংস্থার অনুপ্রবেশ ও ৫১% বিদেশি লগ্নির যে সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় সরকার নীতিগত ভাবে গ্রহণ করেছে, তা থেকে দেশ তথা রাজ্যবাসীর স্বার্থ রক্ষা করতে আপনি সদর্থক ভূমিকা গ্রহণ করবেন’। |
|
|
|
|
|