|
|
|
|
পরিকাঠামো ঢেলে সাজুক সিইএসসি, নির্দেশ মন্ত্রীর |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
আকস্মিক বিপর্যয়েও যাতে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলি বন্ধ হয়ে না পড়ে, সিইএসসি-কে তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিলেন বিদ্যুৎমন্ত্রী মণীশ গুপ্ত। কারণ, উৎপাদন এক বার বন্ধ হয়ে গেলে ফের তা চালু করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে অনেক সময় লাগে।
রবিবার ও বৃহস্পতিবার রাজ্য বিদ্যুৎ সংবহণ কোম্পানির জিরাট সাব-স্টেশন ও সিইএসসি-র বজবজ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে হঠাৎ বিপর্যয় হয়। এর ফলে কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকা দীর্ঘ সময়ের জন্য বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে। তার পরে শুক্রবারই মন্ত্রী সংবহণ সংস্থা ও সিইএসসি-র কর্তাদের তলব করে জানতে চান, কেন এমন হল। দীর্ঘ বৈঠকে বিদ্যুৎ কর্তারা তাঁদের সমস্যাগুলি বলেন। তার পরেই বিপর্যয় ঠেকাতে সিইএসসি-কে কয়েকটি সুনির্দিষ্ট নির্দেশ দেন বিদ্যুৎমন্ত্রী।
কলকাতা ও তার আশপাশের ৫৬৭ বর্গ কিলোমিটার এলাকায় বিদ্যুৎ সংবহণের দায়িত্ব সিইএসসি-র। কিন্তু এই এলাকার মধ্যে কোনও এক প্রান্তে বিদ্যুতের ঘাটতি হলে অন্য এলাকার উদ্বৃত্ত বিদ্যুৎ সেখানে পাঠানোর ক্ষমতা খুবই সীমিত। দু’বছরের মধ্যে এই ক্ষমতা অনেকটা বাড়িয়ে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন মন্ত্রী।
বিদ্যুৎ কর্তারা মন্ত্রীকে জানান, রাজ্য সংবহণ সংস্থার জিরাট সাব-স্টেশনের মাধ্যমেই সিইএসসি-র গ্রিডের সঙ্গে বাইরের গ্রিডের সমন্বয় করা হয়। রবি ও বৃহস্পতিবার জিরাটে বিভ্রাটের কারণেই বাইরের গ্রিড থেকে সিইএসসি-র গ্রিড বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এর ফলে বজবজের ইউনিটগুলিও বসে যায়। আলোচনার পরে মন্ত্রী নির্দেশ দেন, আপাতত জিরাটের বদলে সংবহণ সংস্থার হাওড়া সাব-স্টেশনের মাধ্যমে বাইরের গ্রিডের সঙ্গে সিইএসসি-গ্রিডের সমন্বয় করা হোক। কারণ গত আড়াই বছরে বেশ কয়েক বার এমন বিভ্রাট ঘটেছে। অথচ ২০০৯ সালের ১৯ এপ্রিল আচমকা বিভ্রাটে সিইএসসি-র চারটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ হয়ে যাওয়ার সময়ে হাওড়া সাব-স্টেশনের মাধ্যমেই বাইরের গ্রিডের সঙ্গে সমন্বয় ছিল সিইএসসি-র। তখন হাওড়ার চেয়ে বেশি নিরাপদ ভেবেই জিরাট সাব-স্টেশনের মাধ্যমে সমন্বয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এ ছাড়া রাজ্যের সংবহণ গ্রিডের কাছ থেকে আরও বেশি বিদ্যুৎ আমদানির পরিকাঠামো তৈরি করতেও সিইএসসি-কে নির্দেশ দিয়েছেন মন্ত্রী। বৈঠকে কথা হয়, হঠাৎ যদি বজবজ কেন্দ্রের তিনটি ইউনিট বসে যায়, তখন সেই ৭৫০ মেগাওয়াটের ঘাটতি মেটাতে বাইরে থেকে বিদ্যুৎ আমদানি করা একটা পথ হতে পারে। কিন্তু রাজ্য সংবহণ কোম্পানি থেকে ৬০০ মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুৎ নেওয়ার ক্ষমতা এখন সিইএসসি-র নেই। |
|
|
|
|
|