|
|
|
|
কুপিয়ে ‘খুন’ প্রতিবেশীকে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
বচসার জেরে প্রতিবেশীকে ভোজালি দিয়ে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠেছে এক যুবকের বিরুদ্ধে। ওই ঘটনার পরে অভিযুক্তের বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয় ক্ষুব্ধ জনতা। শুক্রবার সকালে ঘটনাটি ঘটে সোনারপুর থানার চৌহাটির ঘোষপাড়ায়। এই ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।পুলিশ জেনেছে, এ দিন সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ প্রশান্ত দাস (৩৫) নামে এক ব্যক্তির পেটে ভোজালি চালিয়ে দেয় তারই প্রতিবেশী রাজু সর্দার। আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রশান্তবাবুকে সোনারপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। এর পরেই স্থানীয় লোকজন রাজুর বাড়িতে চড়াও হয়ে আগুন ধরিয়ে দেন। পরে রাজুর বাবা ও মাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। দমকলের দু’টি ইঞ্জিন গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
তদন্তকারীরা জানান, তিন বছর ধরে রাজুর পাশের বাড়িতে ভাড়া আছেন প্রশান্ত ও তাঁর স্ত্রী উষা। তাঁরা আদতে ওড়িশার বাসিন্দা। প্রশান্তের বাড়িওয়ালার ছেলে উত্তম মণ্ডল বলেন, “প্রশান্ত একটু বেশি রাতে বাড়ি ফিরতেন। প্রশান্ত বাড়িতে না-থাকলেই তাঁদের ঘরের জানলা দিয়ে উঁকিঝুঁকি মারত রাজু। এ নিয়েই প্রশান্তের সঙ্গে রাজুর কয়েক বার বচসা হয়েছিল। আজও তা নিয়েই ঝগড়া হয়।” এর পরেই আচমকা প্রশান্তর পেটে রাজু ভোজালি চালিয়ে দেয় বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। উত্তম বলেন, “সকালে প্রশান্তের স্ত্রী উষার কান্নায় ঘুম ভেঙে যায়। দরজা খুলে দেখি, ঘরের সামনে পড়ে রয়েছেন প্রশান্ত। গলগল করে রক্ত বেরোচ্ছে ওঁর পেট থেকে। ছুটে রাস্তায় অটো আনতে যাই। সেখানে দেখি, ভোজালি নিয়ে দাঁড়িয়ে রাজু। আমাকেও ভোজালি দেখিয়ে হুমকি দেয় সে। এর পরে এলাকার কয়েক জন মিলে তাড়া করতে পালায় রাজু। আমরা প্রশান্তকে হাসপাতাল নিয়ে যাই।” প্রশান্তের স্ত্রী উষা বলেন, “সকালে রাজুর সঙ্গে প্রশান্তের ঝগড়া হয়েছিল। আচমকাই ওঁর পেটে ছুরি চালিয়ে দিয়েছে রাজু।” পুলিশ জানায়, বেলা ১২টা নাগাদ ওই এলাকা থেকে রাজু ধরা পড়ে। মিলেছে তার ভোজালিও। এর পরে ওই এলাকায় বসেছে পুলিশ পিকেট। ধৃতের বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) কঙ্করপ্রসাদ বারুই। রাজু ওই এলাকায় নানা ধরনের অসামাজিক কাজকর্মের সঙ্গে জড়িত ছিল বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ। |
|
|
|
|
|