হিন্দ-ব্রজভূষণের ম্যাচেই ফয়সলা
মুর্শিদাবাদ জেলা লিগে হিন্দ ক্লাব বনাম ব্রজভূষণ স্মৃতি সমিতির গুরূত্বপূর্ণ ম্যাচকে ঘিরে বহরমপুর শহরে টানটান উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। আগামী ১৪ অগস্ট বহরমপুর ফ্রেন্ডস ইউনিয়ন ক্লাব মাঠে ওই ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। ব্রজভূষণ এই মুহূর্তে লিগ তালিকায় শীর্ষে রয়েছে। তারা ৭টি ম্যাচ খেলে ১৭ পয়েন্ট পেয়েছে। অন্য দিকে ৬টি ম্যাচ খেলেছে হিন্দ ক্লাব। তাদের পয়েন্ট ১৬।
এই অবস্থায় লিগ জয়ের শিরোপা পেতে হলে ব্রজভূষণ ও হিন্দ ক্লাবকে তাদের বাকি ম্যাচগুলি জিততেই হবে। এর মধ্যে ব্রজভূষণ বনাম হিন্দ ম্যাচটি লিগ জয়ের ‘ভাগ্য নির্ধারণের’ ম্যাচে পরিণত হয়েছে।
লিগে ব্রজভূষণের দুটি ম্যাচ বাকি রয়েছে। আর হিন্দ ক্লাবকে খেলতে হবে তিনটি ম্যাচ। অভ্যুদয় ও হিন্দ ক্লাবের সঙ্গে ব্রজভূষণকে খেলতে হবে, অন্য দিকে অভ্যুদয়, ভেটারেন্স ক্লাব ও ব্রজভূষণের সঙ্গে হিন্দ ক্লাবের খেলা রয়েছে। লিগ জয়ের কাছাকাছি পৌঁছে ব্রজভূষণ ও হিন্দ দুই ক্লাব কর্তারাও ১৪ অগস্ট ম্যাচকেই লিগ জয়ের ভাগ্য নির্ধারণের ম্যাচ বলে মনে করছেন। ফলে লিগের ওই ম্যাচ ঘিরে টানটান উত্তেজনায় ফুটছে দুই ক্লাবের কর্তা থেকে সমর্থকরা।
এই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের জন্য কলকাতা রেফারিজ অ্যাসোসিয়েশন থেকে দুজন রেফারিকে নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আয়োজক সংস্থা মুর্শিদাবাদ ডিস্ট্রিক্ট স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশন। এর পাশাপাশি খেলা চলাকালীন অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সতর্কতা হিসেবে মাঠে যথেষ্ট পরিমানে পুলিশ মোতায়েন রাখারও সিদ্ধান্ত হয়েছে। আয়োজক সংস্থা পক্ষে তরুণ দত্ত বলেন, “লিগে হিন্দ বনাম ব্রজভূষণের গুরূত্বপূর্ণ ওই ম্যাচ পরিচালনার জন্য কলকাতা রেফারিজ অ্যাসোসিয়েশন থেকে দুজন রেফারিকে নিয়ে আসা হবে। সেই সঙ্গে খেলা চলাকালীন কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সেজন্য মাঠে যথেষ্ট পরিমাণে পুলিশ মোতায়েন রাখার জন্যও জেলা পুলিশ প্রশাসনের কাছে আবেদন করেছে।”
কেননা, এর আগে গত ১৭ জুলাই লিগের খেলায় অভ্যুদয় সংঘ ১-০ গোলে বালার্ক সংঘের কাছে হেরে যাওয়ার পরে খেলা শেষে মাঠে তুলকালাম বেধে যায়। ওই গোল দেওয়ার সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করে অভ্যুদয় ক্লাব-সমর্থকরা রেফারিকে গালিগালাজ করা থেকে তেড়ে মারতে যায় বলেও অভিযোগ। পরে এফইউসি ক্লাব তাঁবুতে ইট-পাটকেল ছোড়ে ও লাথিও মারে। শেষ পর্যন্ত আয়োজক সংস্থার তরফে অভ্যুদয় ক্লাবকে শো-কজ করা হয়। শেষ পর্যন্ত মুর্শিদাবাদ ডিস্ট্রিক্ট অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালন সমিতির বৈঠকে ক্লাব কর্তারা নিজেদের ‘ভুল’ স্বীকার করে নেওয়ায় অভ্যুদয় ক্লাব কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কোনও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। কিন্তু এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে লিগে অভ্যুদয় ক্লাবের ম্যাচ স্থগিত রাখা হয়।
এদিকে লিগের ওই গুরূত্বপূর্ণ ম্যাচকে ঘিরে চাপা টেনশন দুই ক্লাব তাঁবুতেও। যদিও ক্লাব কর্তারা মুখে তা স্বীকার করছেন না।
ব্রজভূষণের অন্যতম ক্লাবকর্তা চন্দন সরকার বলেন, “ছোট দল হওয়ার সুবাদে আমাদের কোনও কিছু হারাবার নেই। বড় দল হিসেবে হিন্দ ক্লাবই চাপে রয়েছে। দীর্ঘ দু-দশক পরে এ বছরই লিগে অংশ নিয়েছি। দলের এই সাফল্যের পিছনে সবচেয়ে বেশি অবদান রয়েছে ফুটবলারদের। হার-জিত যাই হোক না কেন, হিন্দ ম্যাচেও তারা ভাল ফুটবল খেলবে।”
তবে এখন পর্যন্ত হিন্দ ক্লাব ১টি গোলও খায়নি। উল্টে গোল দিয়েছে ১৩টি। হিন্দ ক্লাবের অত্যতম কর্তা শেখর রায় বলেন, “আমরা কোনও চাপে নেই। এর আগে ক্লাব বহু বার লিগ জিতেছে। এবার লিগ জিততে না পারলে সব শেষ বয়ে যাবে, এমন কোনও ব্যাপার নেই। খোলা মনে ফুটবলাররা ম্যাচ খেলতে নামবে।”
যদিও ফুটবলারদের নিয়ে ক্লাব তাঁবুতে ম্যাচের পরিকল্পনা করা থেকে কঠোর অনুশীলনসবই চলছে ‘টেনশন’-এ আড়ালে।
আর সুষ্ঠু ভাবে ম্যাচ আয়োজনের জন্য আয়োজক সংস্থার কর্মকর্তাদের কপালে চিন্তার ভাঁজ! অনেক দিন পরে জেলা লিগকে ঘিরে প্রস্তুতির এই ভিন্ন চিত্র বহরমপুর অনেক দিন দেখিনি।
দল খেলা জয় ড্র পরাজয় পয়েন্ট
ব্রজভূষণ ১৭
হিন্দ ১৬
বালার্ক ১৩
ভেটারেন্স ১১
ভ্রাতৃ ১০
শিবাজি ১০
অভ্যুদয়
এফইউসি
Previous Story Murshidabad Next Story



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.