|
|
|
|
রহস্য রেখেই ফিরলেন সিপিএম কর্মী |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
রহস্যজনক ভাবে ‘নিখোঁজ’ হয়েছিলেন। আবার রহস্যজনক ভাবেই ফিরে এলেন মেদিনীপুর শহরের যুব-সিপিএম কর্মী শ্যামল সিংহ। গোটা ঘটনায় ধন্দে পুলিশ। অস্বস্তিতে সিপিএমও। দলের কেউ এ নিয়ে মুখ খুলতে চাইছেন না। পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার প্রবীণ ত্রিপাঠি বলেন, “তদন্ত চলছে। তবে সব কিছু স্পষ্ট নয়।”
সিপিএমের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সম্পাদক দীপক সরকারের বাড়িতেই অধিকাংশ সময় থাকতেন শ্যামল। মাঝেমধ্যে জেলা কার্যালয়ে আসতেন। দীপকবাবুর বাড়ি মেদিনীপুর শহরের বিধাননগরে। গত ২৮ জুলাই রাতে এখান থেকেই ‘নিখোঁজ’ হয়ে যান শ্যামল। রোজকার মতো ওই দিনও সিপিএমের জেলা সম্পাদকের বাড়িতে এসেছিলেন। তবে রাতে আর বাড়ি ফেরেননি। দীপকবাবুর বাড়ির অদূরে শ্যামলের জুতো পাওয়া যায়। শ্যামলের পরিজনেরা থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। তল্লাশি শুরু হয়। টানা ক’দিন খোঁজ না মেলায় যখন নানা জল্পনা শুরু হয়েছে, ঠিক তখনই বাড়ি ফিরে এলেন শ্যামল।
জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে শ্যামল ফিরেছেন খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার সকালেই তাঁর বাড়ি যায় পুলিশ। পরে তাঁকে থানায় এনেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জেরায় পুলিশকে শ্যামল জানিয়েছেন, এই ক’দিন কোথায় তাঁকে রাখা হয়েছিল, কারাই বা ‘অপহরণ’ করেছিল, সে সব তিনি জানেন না। শ্যামলের দাবি, “কালো কাপড়ে চোখ বেঁধে আমাকে গাড়িতে তোলা হয়। বুধবারও একটি গাড়িতে খড়গপুরের চৌরঙ্গির কাছে নামিয়ে দেওয়া হয়।” সূত্রের খবর, দীপক সরকারের বাড়িতে কারা কারা আসেন, সে সম্পর্কেও না কি শ্যামলের কাছে জানতে চেয়েছিল ‘অপহরণকারী’রা। সব নিয়েই ধন্দে পুলিশ। জেলা পুলিশের এক আধিকারিকের কথায়, “ওঁর (শ্যামলের) কথাতেও যথেষ্ট অসঙ্গতি রয়েছে। আমাদের ধারণা, প্রকৃত ঘটনা আড়াল করা হয়েছে।” |
|
|
|
|
|