|
|
|
|
আক্রান্ত সিপিএম নেতা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • দাসপুর |
বিরোধী দলনেতার চিঠি ধরে সন্ত্রাসের নানা অভিযোগের তদন্তের জন্য স্বয়ং ডিজিকে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। অভিযুক্ত নিজের দলের কর্মীরা হলেও যে ‘ছাড়’ দেওয়া হবে না, সে বার্তাও দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু নিচুতলার তৃণমূল কর্মীদের কাছে সে বার্তা খুব একটা পৌঁছচ্ছে, পশ্চিম মেদিনীপুরে অন্তত তেমন ইঙ্গিত নেই। একদা তাদের ‘দুর্গ’ এই জেলাতেও বিধানসভা ভোটে পর্যুদস্ত হয়েছে সিপিএম। তার পর থেকেই সিপিএম নেতা-কর্মীদের উপরে হামলার একের পর এক অভিযোগ উঠছে শাসক তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে। শুক্রবার ফের দাসপুরে আক্রান্ত হলেন প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক তথা দলের জোনাল সম্পাদক সুনীল অধিকারী।
এ দিন সকালে দলীয় বৈঠক সেরে ফেরার পথে দাসপুরের গোবিন্দপুরে সুনীলবাবুর মোটরবাইক আটকে তৃণমূলের লোকজন তাঁকে টানাহ্যাঁচড়া করে, জামার কলার ধরে মারধরেরও চেষ্টা হয় বলে অভিযোগ। সুনীলবাবু বিধায়ক থাকাকালীন এলাকার কোনও উন্নয়ন হয়নি, উন্নয়নের টাকা নয়ছয় হয়েছে বলে হামলাকারীরা অভিযোগ তুলে বিধায়ককে জবাব দেওয়ার জন্য চাপ দেয়। যদিও গোলমালের খবর পেয়ে তৃণমূলেরই নেতারা এসে পরিস্থিতি সামলান। তাঁরাই সুনীলবাবুকে বাড়ি পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। পরে সুনীলবাবুর তির্যক মন্তব্য, “শুক্রবারের ঘটনা পরিবর্তনের ফল! এর আগেও দলের শতাধিক কর্মী-নেতা তৃণমূলের হাতে মার খেয়েছেন। বয়কট, জরিমানা আদায়ও সমানে চলছে। পুলিশকে জানিয়েও লাভ হয়নি। তাই আজকের ঘটনা নিয়েও পুলিশকে জানায়নি।” তৃণমূল নেতা শ্যাম পাত্রের বক্তব্য, “ঘটনায় আমাদের দলের কেউ জড়িত কি না, খোঁজ নিয়ে দেখব।” |
|
|
|
|
|