ছোট্ট রাস্তা। দু’পাশের ফুটপাথের অনেকটাই দখল। বাদ নেই রাস্তাও। সেখানে বসে বাজার। অথচ এই রাস্তা দিয়ে কলেজ স্ট্রিটে যাতায়াত করেন রোজ লক্ষাধিক মানুষ। এক দিকে পথচারীদের চলাচলের সমস্যা, অন্য দিকে গাড়িচালকেরাও বেজায় মুশকিলে পড়েন। ছোট্ট রাস্তাও পার হতে দীর্ঘক্ষণ সময় লেগে যায়। অভিযোগ, দীর্ঘ দিন ধরে এই অব্যবস্থা চললেও কোনও ব্যবস্থাই নেওয়া হয় না। যদিও কলকাতা পুর কর্তৃপক্ষ জানান, তাঁরা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করেই ব্যবস্থা নেবেন।
ঘটনাস্থল সূর্য সেন স্ট্রিট। কলেজ স্ট্রিট থেকে শ্রদ্ধানন্দ পার্ক পর্যন্ত অংশে এই সমস্যা। উপরন্তু এই রাস্তার ধারে পার্কিংয়ের জেরে যানজট আরও বেড়ে যায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, এই রাস্তায় যান চলাচল থেকে পার্কিং সমস্যার স্থায়ী সমাধান করুক প্রশাসন। |
আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রোড ও কলেজ স্ট্রিটের সংযোগকারী সূর্য সেন স্ট্রিটে এই অবস্থা দীর্ঘ দিনের। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনেও কলেজ স্ট্রিটের সংযোগস্থলে কিছুক্ষণ দাঁড়ালে বাসিন্দাদের অভিযোগের সত্যতা বোঝা যায়। বৌবাজার থেকে এই সংযোগস্থলে এসে ডান দিকে বেঁকে শিয়ালদহের দিকে যায় গাড়িগুলি। শুধু বাসই নয়, ট্যাক্সি-ব্যক্তিগত গাড়ি থেকে সাইকেল ভ্যান কিংবা ম্যাটাডরও এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করে। রাস্তাটি ছোট হওয়ায় ওই সংযোগস্থলে যানজট লেগেই থাকে। বিশেষত স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় খোলা বা ছুটির সময়ে যানজট আরও বেড়ে যায়।
এলাকার কানাই ধর লেনের বাসিন্দা প্রশান্ত মালাকার বলেন, “ট্রাফিক কর্মী থাকা সত্ত্বেও সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ ও বৌবাজার থেকে শিয়ালদহমুখী গাড়িগুলির মধ্যে তীব্র প্রতিযোগিতা লেগে যায় কে আগে ওই রাস্তায় ঢুকবে। যানজট লেগেই আছে।”
ফুটপাথ থেকে রাস্তার উপরে দখলদারি প্রসঙ্গে কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ (জঞ্জাল সাফাই) দেবব্রত মজুমদার বলেন, “বাসিন্দাদের সমস্যা সম্পর্কে আমরা ওয়াকিবহাল। এই সমস্যা শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাতেই আছে। সব মিলিয়েই হকার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে পরিকল্পনা করা হয়েছে। তা কার্যকরী হবে।”
এই প্রসঙ্গে ট্রাফিক পুলিশের ভারপ্রাপ্ত ডেপুটি কমিশনার বিশাল গর্গ বলেন, “প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ওই রাস্তায় পার্কিং ব্যবস্থা নিয়েও খোঁজ নেওয়া হবে।”
|