পূর্ব কলকাতা
কষ্টের যাতায়াত

আবর্জনার পথ
ফুটপাথ নেই। তার বদলে রয়েছে আবর্জনার স্তূপ। উল্টোডাঙা-হাডকো মোড় থেকে ইএম বাইপাস ধরে এগোলে এ ছবিই চোখে পড়বে। স্থানীয় বাসিন্দা ও নিত্যযাত্রীদের অভিযোগ, আবর্জনা ছাড়াও বিধাননগরের দত্তাবাদের দিকে ফুটপাথের ধারের রকমারি দোকানগুলিও পরিবেশ নোংরা করছে। দীর্ঘ দিন এই অবস্থা চলছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও লাভ হয়নি।
এক দিকে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন, হোটেল ও বেসরকারি হাসপাতাল। চলছে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর কাজ। উল্টো দিকে ফুটপাথ নেই। তার বদলে আবর্জনার স্তূপ। রয়েছে নানা দোকান। প্রচুর প্লাস্টিক জমে রয়েছে। বাসিন্দাদের আশঙ্কা, আগুন লাগলে বড় দুঘর্টনা ঘটতে পারে। দীর্ঘ দিন ধরেই চলছে এই অব্যবস্থা। অথচ প্রশাসনের কোনও হুঁশ নেই।
বেঙ্গল কেমিক্যালের মোড় পেরিয়ে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের দিকে এগোলেই এই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ চোখে পড়বে। ফুটপাথ ভেঙে চুরে গিয়েছে। কোথাও একেবারেই নেই। সেখানে নোংরা জল জমে আছে। যাতায়াতের উপায় নেই। সেখান থেকে বাইপাস-কাদাপাড়া মোড়ের দিকে গেলে দেখা যাবে রকমারি ব্যবসা। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, রাস্তার উল্টো দিকে বিভিন্ন শপিং মল, আবাসন, বিনোদন ক্ষেত্র ও হাসপাতাল হওয়ায় অসংখ্য দোকান গজিয়ে উঠেছে। পাশাপাশি এলাকায় প্লাস্টিকের ব্যবসা চলছে।
ওই এলাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে গিয়েছিলেন ডানকুনির শ্যামল জানা। তিনি বলেন, “হাসপাতাল এলাকায় দোকান গজিয়েছে। যে ভাবে প্লাস্টিকের মজুত ও ব্যবসা চলছে যে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে সমস্যা বাড়বে।” বিধাননগরের বাসিন্দা দীপঙ্কর রায় বলেন, “চার দিকে রকমারি ব্যবসা। লাইসেন্স আছে কি না সন্দেহ। স্টেডিয়াম, হোটেল, বিনোদন ক্ষেত্র, হাসপাতাল এলাকার কাছাকাছি এই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ দ্রুত নির্মূল করা হোক। দত্তাবাদ নিয়ে এত দিন কোনও ব্যবস্থা হয়নি। নতুন রাজ্য সরকার দ্রুত ব্যবস্থা নিক।”
বিধাননগর পুরসভার বিরোধী দল বামফ্রন্টের অভিযোগ, পুরসভা মূল সল্টলেকের সৌন্দর্যায়ন নিয়ে বিভিন্ন চিন্তাভাবনা করলেও, দত্তাবাদ এলাকা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা নিয়ে তেমন কোনও উদ্যোগ দেখা যায়নি। সমস্যার কথা স্বীকার করে বিধাননগর পুরকর্তৃপক্ষ এর আগেই জানিয়েছিলেন, ওই এলাকার সৌন্দর্যায়ন নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে। ব্যবসার নামে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ গড়ে তুলতে দেওয়া হবে না। তার পরে এক বছর পার করেও পুরসভার তরফে কোনও ব্যবস্থাই চোখে পড়েনি বলে বাসিন্দাদের অভিযোগ। বিধাননগর পুরসভার চেয়ারপার্সন কৃষ্ণা চক্রবর্তী বলেন, “অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে বাসিন্দাদেরও সচেতনতার প্রয়োজন আছে।”
ছবি: অর্কপ্রভ ঘোষ
Previous Story

Kolkata

Next Story




অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.