ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের জন্য রয়েছে সিগন্যাল। রয়েছে পুলিশের কিয়স্কও। কিন্তু বন্ধ হয়নি দুর্ঘটনা। কারণ, অধিকাংশ সিগন্যালই ঠিকমতো কাজ করে না। কিয়স্ক পড়ে থাকে তালাবন্ধ অবস্থায়। নিত্যযাত্রীদের অভিযোগ, ঠিকমতো ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ না হওয়ায় যশোহর রোডের বিরাটি মোড় থেকে মধ্যমগ্রাম চৌমাথা পর্যন্ত অংশ কার্যত মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে।
এয়ারপোর্ট সংলগ্ন অন্যতম ব্যস্ত মোড় বিরাটি। প্রায় সব সময়ই গাড়ি ও পথচারীর চাপ থাকে। কিন্তু নিত্যযাত্রীদের অভিযোগ, তিন রাস্তার এই মোড়ের সিগন্যালের আলো সব সময়ই লাল হয়ে থাকে। ফলে গাড়িচালক ও পথচারীদের এম বি রোড থেকে যশোহর রোডে সতর্ক ভাবে যাতায়াত করতে হয়। |
যশোহর রোডের মদনিনগর মোড়ের সিগন্যালও দীর্ঘ দিন বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে। অন্য দিকে অভিযোগ, যশোহর রোড ও বাঁকড়া রোডের মোড়ে কোনও ট্রাফিক পুলিশ থাকেন না। একই অবস্থা মাইকেলনগর সরণির চৌমাথা মোড়, বি টি কলেজ বাস স্টপ, দোলতলা মোড় ও নিউ ব্যারাকপুর মোড়েও।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বিরাটি মোড় থেকে মধ্যমগ্রাম চৌমাথা পর্যন্ত ৭টি মোড়ের মধ্যে ৬টিরই সিগন্যালিং ব্যবস্থা কার্যত বন্ধ।
প্রতি দিন এই মোড়গুলি দিয়ে কয়েক হাজার মানুষ রাস্তা পার করেন। বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনাও ঘটেছে। দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে গোলমালও হয়েছে। |
বাসিন্দাদের অভিযোগ, মধ্যমগ্রাম চৌমাথা পার হলেই গাড়ির রেষারেষি শুরু হয়ে যায়। গাড়ির গতিও বেশি থাকে। বাঁকড়ার বাসিন্দা সুব্রত সরকার বলেন, “আমরা বহু দিন ধরেই যশোহর রোডের বিভিন্ন মোড়ে সিগন্যালগুলি সারানো ও ট্রাফিক পুলিশের দাবি জানিয়ে আসছি। দুর্ঘটনা বাড়ছে। অথচ প্রশাসন উদাসীন।”
উত্তর ২৪ পরগনার পুলিশ সুপার চম্পক ভট্টাচার্য বলেন, “যশোহর রোডের উপর যে সমস্ত টাইমার সিগন্যাল আছে, সেগুলিকে ঠিক করার জন্য পুরসভা ও বিদ্যুৎ বিভাগের সঙ্গে কথা বলেছি। শীঘ্রই চালু করা হবে।” |