জলে ডুবে রয়েছে রাস্তা। ঘরের পাশেও জল। ভেলা ও নৌকা নিয়ে যাতায়াত করতে হয়। আর রয়েছে কয়েকটি সাঁকো। না ভেনিস নয়, এ ছবি উত্তর দমদম পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের দেবীনগরের। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, সারা বছর এ ছবি বদলায় না।
নিচু এলাকা হওয়ায় এমনিতেই আশপাশের এলাকার জল দেবীনগরে এসে জমা হয়। ফলে রাস্তায় সারা বছরই কাদা থাকে। বাসিন্দাদের দাবি, সবচেয়ে খারাপ অবস্থা হয় বর্ষার মরসুমে। জমা জলে গোটা রাস্তাই ডুবে থাকে। ঘর থেকে প্রধান সড়কে আসতে হয় বাঁশের কিংবা কাঠের লম্বা সাঁকো পেরিয়ে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, এলাকা থেকে জল নিকাশির জন্য পুরসভা বা রাজ্য সরকারের তরফে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। |
পুরসভা দেবীনগরের ৩৫০টি পরিবারের মধ্যে ৬৯টি পরিবারকে ইন্দিরা আবাস যোজনার অধীনে বাড়ি করে দিয়েছে। অথচ পানীয় জল বা নিকাশির কোনওরকম ব্যবস্থা আজও হয়নি বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের। বাসিন্দা বিকাশ দাস বলেন, “পুরসভাকে বহু বার জানিয়েছি। কিন্তু আশ্বাস ছাড়া কিছুই পাইনি। তাই নিজেরাই রাবিশ ফেলে রাস্তা উঁচু করেছি। মাটি কেটে কাঁচা নর্দমাও তৈরি করেছি।” স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, পানীয় জলের কলগুলিও নোংরা জলে ডুবে থাকে। জলবাহিত রোগ লেগেই থাকে। রয়েছে জোঁক ও অন্যান্য পোকামাকড়ের উপদ্রব।
এই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এবং পুরসভার চেয়ারম্যান পারিষদ (পূর্ত) বাম সমর্থিত নির্দল দেবীপ্রসন্ন সিংহ বলেন, “দেবীনগর নিচু এলাকা। পুরসভার স্বল্প বরাদ্দে পাকা নর্দমা ও রাস্তা তৈরির চেষ্টা করছি। স্থানীয় সাংসদের কাছে সাহায্য চেয়েছিলাম। সাহায্য পাইনি।” |
উত্তর দমদম পুরসভার চেয়ারম্যান সিপিএমের সুনীল চক্রবর্তী অভিযোগ করে বলেন, “ওয়ার্ডটি বামফ্রন্টের হওয়ায় স্থানীয় সাংসদ উন্নয়নের জন্য সাংসদ তহবিলের টাকা দেননি। বিধানসভা ভোটের আগে আর্থিক সহযোগিতা চেয়ে চিঠি দিয়েছিলাম। উনি তা তৎকালীন রাজ্য সরকারের নগরোন্নয়ন দফতরে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন।”
স্থানীয় সাংসদ সৌগত রায় বলেন, “পুরসভার উন্নয়নের কাজের দায়িত্ব সাংসদের নয়। আমি ওই পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলরদের ওয়ার্ডগুলিতে আমার তহবিল থেকে টাকা দিয়েছি। ওই পুরসভার চেয়ারম্যান কখনও আমার সঙ্গে আলোচনায় বসেননি। চিঠি পাঠিয়েছিলেন মাত্র।” |