|
|
|
|
হাদসনের মধ্যে নিজেকে দেখছেন ব্যারেটো |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
কাঁধে হাত রেখে চলছে অবিরাম আলোচনা। ড্রেসিংরুমের বাইরে দাঁড়িয়ে। স্টিভ ডার্বির ক্লাসে নামার আগেই হোসে রামিরেজ ব্যারেটো ক্লাস নিলেন হাদসন লিমা সিলভার।
শুক্রবার ডার্বির অনুশীলনে সারাক্ষণ অনুগত ছাত্রের মতো ব্যারেটোকে অনুসরণ করে গেলেন হাদসন। পরে ব্যারেটোর মাধ্যমেই বলছিলেন, “এখানে এক বছর খেলার জন্য আসিনি। আমি ব্যারেটোর মতোই ভারতে অনেকদিন খেলতে চাই। সেজন্যই ইংরেজি শিখছি। যাতে সমর্থকদের সঙ্গে কথা বলতে আর কোনও সমস্যা না হয়।”
ইন্টারনেট আর ব্যারেটোর সৌজন্যেই মোহনবাগানকে চেনা। গত দু’বছর ধরে চেষ্টা করছেন ভারতে আসার। হাদসন বলছিলেন, “ব্যারেটো আমার উপর বিশ্বাস রেখেছে। এর মর্যাদা আমি নিশ্চয়ই দেব। আমাকে সুযোগ দিয়ে ব্যারেটো যে কোনও ভুল করেনি, সেটা নিজের খেলা দিয়েই বুঝিয়ে দেব সবাইকে।”
হাদসনের মধ্যে নিজের উত্তরসূরিকে দেখতে পাচ্ছেন বলে দাবি ব্যারেটোর। তাঁর কথায়, “ওর মধ্যে নিজের ছায়া দেখছি। টেকনিক্যালি খুব ভাল। গতি, ফুটবল বুদ্ধি সঙ্গে খেলায় ব্রাজিলিয়ান টাচটাও আছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল ও বাঁ পায়ের ফুটবলার। যেটা অসাধারণ ব্যাপার। আমার বিশ্বাস ওর খেলা দেখে সমর্থকেরা খুব খুশি হবে।” মাঠে সারাক্ষণ ছোট ভাইয়ের মতো আগলে রেখেছিলেন হাদসনকে। অনুশীলন শেষ হওয়ার পরেও তাঁকে নিয়ে আলাদা করে সময় কাটালেন ব্যারেটো।
হাদসনের খেলায় মুগ্ধ কোচ ডার্বিও। শুক্রবার একটা প্র্যাক্টিস ম্যাচ খেলান তিনি। যেখানে গোল না পেলেও জাগতার সিংহকে দিয়ে নজরকাড়া গোল করালেন হাদসন। মোহনবাগান কোচ বললেন, “দারুণ ফুটবলার। এখানে গরমে ওর একটু সমস্যা হচ্ছে। তবে আমার বিশ্বাস ও খুব তাড়াতাড়ি মানিয়ে নেবে। এখন শুধু মেডিক্যাল পরীক্ষায় পাস করে গেলেই ওকে দলে নিয়ে নেব।” সুনীল ছেত্রী এবং নবি অনুশীলনে যোগ দিচ্ছেন সোমবার থেকে। অস্ট্রেলিয়ান স্টপার সাইমন স্টোরেও ওডাফার মতোই রবিবার আসছেন। সবাই আসার পরেই কম্বিনেশন প্র্যাক্টিস শুরু করবেন ডার্বি।
এ দিকে শুক্রবার মাঠে নেমে পড়লেন ব্রিটিশ ফিজিওথেরাপিস্ট এবং রিহ্যাব স্পেশালিস্ট জোনাথন কর্নার। অনুশীলনের পর বলছিলেন, “প্রত্যেক ফুটবলারের শারীরিক গঠন আলাদা। তাই ওদের প্রত্যেকের জন্য আলাদা-আলাদা ব্যায়ামের দরকার। চোট পাওয়া ফুটবলারদের তাড়াতাড়ি সুস্থ করে তোলাও আমার কাজ।” |
|
|
|
|
|