|
|
|
|
ময়দানে নতুন অতিথি |
‘কলকাতায় না খেললে জীবন তৈরি হয় না’ |
কুণাল বসু • কলকাতা |
চার বছর আগের নেহরু কাপ ফাইনালে সেই স্বপ্নের গোলটি মনে পড়ে? সিরিয়ার বিরুদ্ধে জয়ের সেই গোলই নায়ক বানিয়ে দিয়েছিল নাদুপরম্বিল পাপ্পাচান প্রদীপকে। সে রকম কিছু গোলের আশা জাগিয়ে এ বার তিনি কলকাতায়। মোহনবাগানে।
আই লিগ জয়ী সালগাওকরের ডাক উপেক্ষা করে মোহনবাগানে কেন? শুক্রবার অনুশীলন শেষে বাড়ি ফেরার পথে প্রদীপ বললেন, “ভারতে এক বার অন্তত কলকাতায় না খেললে ফুটবলার জীবন তৈরি হয় না। এখানে খেললে গোটা দেশ চিনতে পারে। আর এ রকম সমর্থন কলকাতা ছাড়া আর কোথাও ভাবা যায় না।” ক’মাস আগেই ম্যাচ হারার পর যুবভারতীতে মোহনবাগান ফুটবলারদেরই গাড়ি ভাঙচুর হয়েছিল। শুনে প্রদীপ বললেন, “ভাঙচুর হবে ভাবলে তো কোথাও খেলতে যেতে পারব না। আমার কাজ মাঠে নেমে ভাল খেলা। সেই কাজটা আমাকে করতে হবে। এগুলো নিয়ে বেশি ভাবতে চাই না।” |
|
মোহনবাগানের জিমে প্রদীপ। ছবি: শঙ্কর নাগ দাস |
জাতীয় দলে বব হাউটনের কোচিংয়ে খেলেছেন। এখন মোহনবাগানের কোচও ব্রিটিশ--স্টিভ ডার্বি। ডার্বির কোচিং নিয়ে জানে ত চাইলে বললেন, “মাত্র পাঁচ দিন অনুশীলন করেছি। তবে আমার ভালই লাগছে।” প্রদীপের সঙ্গে আলাদা করে কোনও কথা ডার্বি বলেননি। কিন্তু কোচিং করতে কলকাতা আসার আগে ফুটবলারদের সম্পর্কে যথেষ্ট খোঁজখবর নিয়ে এসেছেন। প্রদীপের কথায়, “ডার্বি তো আমার ব্যাপারে বব হাউটনের থেকে খোঁজ নিয়েছেন। শুধু আমি নয়। হাউটনের সময়ে যারা জাতীয় দলে ছিল তাদের সকলের ব্যাপারেই খোঁজখবর নিয়ে এসেছেন। কোচ অনেক প্রস্তুত হয়েই মোহনবাগানে এসেছেন।”
প্রদীপ সাবলীল ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডে। মোহনবাগানে দলের প্রয়োজন অনুযায়ীই খেলতে চান। নিজের পছন্দকে বেশি গুরুত্ব না দিয়ে। মাঝমাঠে খেলার ফুটবলার এত বেশি এ বার মোহনবাগানে, মেনে নিচ্ছেন প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে দারুণ। বলছিলেন, “প্রথম এগারোয় ঢোকার জন্য এই প্রতিদ্বন্দ্বিতাটা থাকা ভাল। সবাই ভাল খেলতে চাইবে। এতে মাঠে মোহনবাগানের খেলাই ভাল হবে।” দীর্ঘ অভিজ্ঞতা আই লিগে খেলার। দাপিয়ে খেলেছেন জাতীয় দলেও। নতুন করে কিছু প্রমাণ করার নেই। তবু ফুটবল জীবনের মাঝামাঝি পৌঁছেও প্রতিটি ম্যাচকেই সমান গুরুত্ব দেন প্রদীপ। “প্রতিটা ম্যাচই নতুন করে শুরু করতে হয়। স্থানীয় লিগ, আই লিগ, আন্তর্জাতিক ম্যাচ সবগুলোর জন্য আলাদা গুরুত্ব দিয়ে প্রস্তুতি নিতে হয়।”
ফুটবল জীবনের সেরা মুহূর্ত নেহরু কাপে সিরিয়ার বিরুদ্ধে সেই দূরপাল্লার শটের গোল। যেটা মনে রাখতে চান সারা জীবন। তেমনই ভুলে যেতে চান হাউটনের পক্ষ নিয়ে সেই টুইট। যেখানে ফেডারেশনের সমালোচনা করে বিপদে পড়েছিলেন প্রদীপ। “ওই কাজটার ব্যাখ্যা ফেডারেশনকে দিতে হয়েছিল। তার পর থেকে আর ওই ব্যাপারটা মনে রাখতে চাই না।” হাউটনের উত্তরসূরি আর্মান্দো কোলাসোর কোচিং নিয়েও বেশি কিছু বলতে চাইলেন না। শুধু বললেন, “কোলাসো একেবারে ডেম্পোর মতোই খেলাচ্ছেন জাতীয় দলকে।”
কোলাসোর দলে ব্রাত্য প্রদীপ কি মোহনবাগানে খেলেই জাতীয় দলে ফিরতে পারবেন? |
|
|
|
|
|