|
|
|
|
ফিরে এসেই ওডাফাকে চ্যালেঞ্জ জানালেন ওপারা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
ওডাফা ওকোলি বনাম উগা ওপারার ‘লড়াই’-এর বল গড়াতে শুরু করে দিল!
ট্রেভর মর্গ্যানের অনুশীলনে যোগ দিয়েই তাঁর সেরা ডিফেন্ডার বলে দিলেন, “গতবার মোহনবাগান আমাকে একবারও হারাতে পারেনি। এ বার ওরা ভাল দল গড়েছে। ওডাফাকে আটকানোটা তাই আমার কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। আমি সেই চ্যালেঞ্জ নিচ্ছি।”
গোলমেশিন ওডাফার শহরে আসার কথা রবিবার। মোহনবাগানে যোগ দেওয়া দেশের সেরা স্ট্রাইকারের সঙ্গে নাইজিরিয়ায় থাকার সময়ই ফোনে কথা হয়েছে ইস্টবেঙ্গলের এক নম্বর ডিফেন্ডারের। ওপারা কি সেখানেই চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এসেছেন স্বদেশীয়কে? প্রশ্ন করা হলে হো হো করে হেসে ফেললেন ওপারা। বললেন, “ওর বাড়ি তো আমার থেকে বেশি দূরে নয়। ফোনে কথা বলতেও সমস্যা নেই। সুখ, দুঃখ এবং পরিবার নিয়ে নানা কথা হয়েছে। ফুটবল নয়। তবে বলেছি, কলকাতায় গেলে দেখা হবে।” ‘দেখা’-র পর ব্যাপারটা কেমন দাঁড়ায় তা দেখার জন্য অবশ্য মুখিয়ে আছে ময়দান। |
|
বরফ-স্নান। শুক্রবার ইস্টবেঙ্গল প্র্যাক্টিসে ওপারা।-উৎপল সরকার |
মাত্র বারো ঘণ্টা আগে শহরে পা দিয়েছেন। বিমানযাত্রার ধকলও রয়েছে। অনুশীলনে অবশ্য তা বোঝার উপায় নেই। টোলগে, পেনদের সঙ্গে সমান তালেই অনুশীলন করলেন ওপারা। যা দেখে বেশ খুশি মনে হল লাল-হলুদ কোচকে। “ওপারা এতখানি বিমান যাত্রার পরও সবার সঙ্গে পুরো অনুশীলন করল। তা হলে তার ফিটনেস নিয়ে প্রশ্ন থাকবে কেন?” ইস্টবেঙ্গলের বিদেশি স্টপার অবশ্য জানাচ্ছেন, ছুটির সময় শুধুই ঘুরে বেরিয়েছেন নাইজিরিয়ার বিভিন্ন জায়গায়। ফুটবলের সঙ্গে কোনও যোগ ছিল না। বললেন, “আজ থেকেই প্রি সিজন প্র্যাক্টিস শুরু করলাম। আর থামব মরসুমের শেষে।”
মেহতাব-সন্দীপ নন্দী-বলজিৎ-রবার্টের মতো জাতীয় দলের ফুটবলারদের মর্গ্যান ছুটি দিয়েছেন ১৫ অগস্ট পর্যন্ত। বাকিরা প্রায় সবাই এসে গেছেন। এ দিন ওপারা ছাড়াও অনুশীলনে যোগ দিলেন চার্চিল থেকে আসা চরণ রাই এবং ইন্ডিয়ান অ্যারোজের সুবোধকুমার। তবে মিডিয়ার আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন ওপারাই। বারবার ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ওডাফা নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় ওপারা একটা সময় বলেই ফেললেন, “মোহনবাগানে তো জাতীয় টিমের সেরা স্ট্রাইকার সুনীল ছেত্রী এসেছে। ব্যারেটোও খেলবে। তা হলে শুধু ওডাফাকে নিয়ে প্রশ্ন করছেন কেন?” তারপর অবশ্য নিজেই বললেন, “ওডাফা এই মুহূর্তে ভারতীয় ফুটবলের এক নম্বর স্ট্রাইকার। ওকে নিয়ে তো মোহনবাগান স্বপ্ন দেখবেই। গতবারের তুলনায় মোহনবাগান এ বার ভাল দল গড়েছে। গতবার ভাগ্যের জন্য ট্রফি পায়নি। এ বার ওরা চেষ্টা করবে ট্রফি জিততে। তবে আমাকেও তো ইস্টবেঙ্গল টাকা দিচ্ছে। তাই চ্যালেঞ্জটা নিতেই হবে।” মোহনবাগানকে ‘ভাল’ বললেও নিজের দল কতটা শক্তিশালী হয়েছে তা বলতে চাননি ওপারা। বললেন, “সবে এসেছি। সবাইকে দেখি। তার পর বলব।” ওপারার কোচ মর্গ্যান অবশ্য বললেন, “গতবারের তুলনায় আমাদের এবারের দল অনেক শক্তিশালী। রিজার্ভ বেঞ্চের সমস্যা-সহ যা বহু সমস্যাই মেটাবে।” তবে চতুর্থ বিদেশি নিয়ে মুখ খুলতে চাননি তিনি। বিতর্কিত বিষয়টি তুললে বললেন, “কর্তাদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।” তবে কথা বলে মনে হল স্কটল্যান্ডের অ্যালান গাওকেই সম্ভবত দলে নেওয়ার কথা ভাবছেন মর্গ্যান। সোমবারই শহরে আসছেন গাও। ট্রায়াল দিতে। এ দিনই প্রথম দু’দলকে ভাগ করিয়ে অনুশীলন ম্যাচ খেলালেন ইস্টবেঙ্গল কোচ। টোলগেকে দেখে মনে হল, তাঁর গোল করার শক্তি আরও শানানো হয়েছে নতুন মরসুমে। পেন, বাসুম, নওবার সঙ্গে চরণ রাই আর খেমতাং পাইতের যোগদানে লাল-হলুদের মাঝমাঠও বেশ শক্ত-পোক্ত। আর সঙ্গে ক্লাবের বিচারে গতবারের সেরা মেহতাব তো রয়েছেনই। |
|
|
|
|
|