প্লাস্টিক বন্ধে তল্লাশি
বিক্ষোভের মুখে পুর-কর্তারা
নিষিদ্ধ পলিব্যাগ বাজেয়াপ্ত করতে গিয়ে ক্ষোভের মুখে পড়লেন মেদিনীপুরের পুর-কর্তারা। ছোট ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা দাবি করলেন, আগে বড় দোকানে পলিব্যাগ ব্যবহার বন্ধ করা প্রয়োজন। এলাকাবাসীও জানালেন, ছোট-বড় সব দোকানেই লাগাতার তল্লাশি চালাতে হবে। না হলে নিষিদ্ধ পলিব্যাগের ব্যবহার বন্ধে এই সাধু-উদ্যোগ সফল হবে না।
শুক্রবার সকাল থেকেই পুর-কর্তারা শহরের একের পর এক বাজারে হানা দেন। প্রচুর নিষিদ্ধ পলিব্যাগ বাজেয়াপ্ত করেন। ব্যবসায়ীদের থেকে জরিমানাও আদায় করা হয়। কিন্তু বটতলাচকে বিক্ষোভের মুখে পড়েন পুর-কর্তারা। এখানে একটি ফল দোকানে ২০ মাইক্রনের পলিব্যাগ রাখা ছিল। তা বাজেয়াপ্ত করা হয়। সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীর থেকে নেওয়া হয় জরিমানা। এই সময়ই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। স্থানীয়রা দাবি করেন, এ ভাবে পলিব্যাগ ব্যবহার বন্ধ করা যাবে না। আগে বড় বড় দোকানে তল্লাশি চালাতে হবে। পুর- কর্তারা জানান, বড়- ছোট সব দোকানেই তল্লাশি চলছে। ক্রমে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। এ প্রসঙ্গে মেদিনীপুর পুরসভার পুরপ্রধান পারিষদ (জঞ্জাল) সুনন্দা খান বলেন, “দূষণ রুখতেই এই উদ্যোগ। এ ক্ষেত্রে শহরবাসীর সহযোগিতা চাই।”
নিজস্ব চিত্র।
মেদিনীপুর শহরকে প্লাস্টিক-মুক্ত করতে ১ অগস্ট থেকেই ৪০ মাইক্রনের নীচে পলিব্যাগ তৈরি, মজুত, বিক্রয় ও ব্যবহারের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে পুরসভা। গত মাসের শেষ থেকেই এ জন্য শহর জুড়ে প্রচার চলে। বাজারে, দোকানে নোটিস দেওয়া হয়। নির্দেশ মেনে নিষিদ্ধ পলিব্যাগ ব্যবহার বন্ধ হয়েছে কি না দেখতে ১ অগস্ট থেকেই তল্লাশি শুরু করেন পুর-কর্তারা। প্রচুর পলিব্যাগ বাজেয়াপ্তও করা হয়। গোড়ায় ক’দিন জরিমানা আদায় করা না হলেও পরে করা হবে বলে আগেই জানিয়েছিলেন পুর-কর্তৃপক্ষ। সেই মতো এ দিন থেকে জরিমানা আদায় শুরু হল। যে সব দোকানে ৪০ মাইক্রনের নীচে পলিব্যাগ পাওয়া গিয়েছে, সেখানে ব্যবসায়ীদের থেকে ২০০ অথবা ২৫০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। সুশান্ত মহাপাত্র, সমীর প্রামানিক প্রমুখ পুর-আধিকারিকেরা এ দিন নজরদারি দলের সঙ্গে ছিলেন। বটতলাচক, স্কুল বাজার, সাহাভড়ং বাজার, ভীমচক, গেট বাজার প্রভৃতি এলাকায় অভিযান চলে। সুশান্তবাবু বলেন, “পুরসভার নির্দেশ সকলকেই মানতে হবে। এই অভিযান চলবে।” বেশ কয়েক বছর আগেও একবার মেদিনীপুর শহরকে প্লাস্টিক-মুক্ত করতে উদ্যোগী হয়েছিলেন পুর- কর্তৃপক্ষ। তবে নজরদারির অভাবে সেই উদ্যোগ মুখ থুবড়ে পড়ে। এ বার অবশ্য পুরসভা অনেক আশাবাদী। অনেক দোকানে নির্দেশ মান্য করার ছবিও দেখা গিয়েছে এ দিন। যেমন সাহাভড়ং বাজারের একটি বড় দোকানে গিয়ে পুর-কর্তারা দেখেন, সেখানে ৪০ মাইক্রনের নীচে কোনও পলিব্যাগ নেই। সমীরবাবু সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীকে বলেন, “আমরা এমন সহযোগিতাই আশা করি।” পুর-কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, গত কয়েক দিনের অভিযানের জেরে শহরে নিষিদ্ধ পলিব্যাগ ব্যবহার অনেক কমেছে। পলিব্যাগের বদলে কাগজের ঠোঙা, শালপাতা ব্যবহার হচ্ছে। ক্রমে এই প্রবণতা আরও বাড়বে বলেই আশা।
Previous Story Jibjagat Next Story


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.