অভাব সচেতনতার
ঝুঁকির স্টপ
নিয়ম রয়েছে। অভিযোগ, বাসচালক ও যাত্রীদের একাংশ তা মানেন না। ফলে বিদ্যাসাগর সেতুর টোলপ্লাজার কাছেই বাসস্টপ তৈরি হয়ে গিয়েছে। অধিকাংশ বাস সেখানেই যাত্রী তোলে বা নামায়। টোলপ্লাজায় সর্বক্ষণই পুলিশ থাকে। টহলও চলে। অভিযোগ, তাঁদের ভূমিকা নীরব দর্শকের মতো।
হাওড়া থেকে কলকাতা যাওয়ার পথে টোলপ্লাজা পেরিয়ে সেতুতে ওঠার মুখে বাস দাঁড়িয়ে যায়। আবার কলকাতা থেকে হাওড়া আসার পথে হাওড়ার টোলপ্লাজার আগে বাস দাঁড়িয়ে যায়। সেখানে নেমে যাত্রীদের একাংশ প্রায়ই চলন্ত গাড়ির পাশ দিয়ে সেতুর ১৮টি লেন পেরিয়ে যান। অসতর্ক হলে যে কোনও সময়ে বিপদ ঘটতে পারে। অনেক খুদে ছাত্রছাত্রীও একই ভাবে তাদের অভিভাবকদের সঙ্গে সেতু পেরোয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বাসচালক বলেন, “টোলপ্লাজা থেকে অনেক যাত্রী বাসে ওঠেন। বাস দাঁড় করাতেই হয়। সব বাসই তোলে। সরকারি বাসও দাঁড়াচ্ছে। পুলিশ থাকে। কিন্তু বারণ করে না।” অন্য একটি রুটের বাসের কন্ডাক্টর বলেন, “সব সময়ই পুলিশ থাকে। কিন্তু কিছু বলেন না।”
অভিযোগ, স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ সেতু থেকে নীচের রাস্তা পর্যন্ত সিঁড়িও তৈরি করে ফেলেছেন। অনেকে সেই সিঁড়ি দিয়ে উঠে রেলিং টপকে সেতুতে গিয়ে বাস ধরছেন। নিত্যযাত্রী অমিত মিত্র বলেন, “টোলপ্লাজাতে অলিখিত বাসস্টপ তৈরি হয়ে গিয়েছে। অনেকের সুবিধা হয়। না হলে অনেকটা ঘুরতে হয়।” অনেক বাচ্চা এখান থেকে স্কুলবাসে ওঠে। অভিযোগ, বিপজ্জনক জেনেও অভিভাবকরা বাচ্চাদের নিয়ে ওখান থেকে বাস ধরেন। সেতুর রেলিং-এ কাঁটাতারের জাল লাগানো হয়েছে। তা টপকেও অনেকে যাতায়াত করছেন। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক অভিভাবক বলেন, “তাড়াতাড়ি বাস ধরার জন্য এ ভাবে আসি। বিষয়টি বিপজ্জনক জেনেও করতে হয়। যে কোনও সময়ে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।”
হাওড়া জেলা ট্রাফিক অ্যাওয়ারনেস সোসাইটির সম্পাদক অলোক চক্রবর্তী বলেন, “বিদ্যাসাগর সেতুর টোলপ্লাজার কাছের বাসস্টপ সম্পূর্ণ বে-আইনি। সেতুতে হাঁটাচলাও নিষিদ্ধ। বিপজ্জনক জেনেও অনেকে বাসে উঠছেন, হাঁটাচলা করছেন। আগে বাস দাঁড়াত না। এখন স্কুলবাসও দাঁড়াচ্ছে। পুলিশ বারণ করে না। যে কোনও সময়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।”
হাওড়ার পুলিশ সুপার রবীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় বলেন, “বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখব।” কলকাতা পুলিশের এক উচ্চপদস্থ কর্তা বলেন, “বিদ্যাসাগর সেতুর টোলপ্লাজার কাছে হাঁটাচলার নিয়ম নেই। ব্রিজের মুখে বাস দাঁড়াতে পারে না। আমি বিষয়টি দেখছি।” পরিবহণ মন্ত্রী সুব্রত বক্সী বলেন, “ওখানে আমাদের কিছু করার নেই। সাধারণ মানুষকে সচেতন হতে হবে।” বিদ্যাসাগর সেতুর দেখভালের দায়িত্বে আছে হুগলি রিভার ব্রিজ কমিশনার্স (এইচআরবিসি)। সংস্থার চেয়ারম্যান কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এখানে বাস দাঁড়ানোর নিয়ম নেই। আমি পুলিশকে বিষয়টি জানিয়েছি।”
ছবি: রণজিৎ নন্দী
Previous Item

Howrah

Next Story




অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.