|
|
|
|
প্রাক্তন সিপিআই নেতাকে গ্রেফতার করল পুলিশ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আরামবাগ |
চুরি, তোলাবাজি-সহ বিভিন্ন অভিযোগে গ্রেফতার করা হল আরামবাগের প্রাক্তন সিপিআই নেতা শম্ভু ঘোষকে। সম্প্রতি দলবিরোধী কার্যকলাপে যুক্ত থাকার অভিযোগে দল থেকে বহিষ্কারও করা হয়েছিল তাঁকে।
পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে তাঁকে আরামবাগ থানার সামনে থেকেই ধরা হয়। একই অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় প্রদীপ রায় নামে আরও এক জনকে। শুক্রবার দুপুরে ধৃতদের মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁদের ১৪ দিন জেলহাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। সিপিআই নেতৃত্বের তরফে এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।
এ দিকে, শম্ভুবাবুকে দল থেকে বহিষ্কারের সঙ্গে সঙ্গেই দলের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে সিপিআইয়ের আরামবাগ আঞ্চলিক কমিটির সব সদস্যই পদত্যাগ করেন। ‘আরামবাগ কৃষক সভা’ নামে একটি অরাজনৈতিক সংগঠন গড়েছেন তাঁরা। ওই সংগঠনের সভাপতি তথা বর্ষীয়ান প্রাক্তন সিপিআই নেতা অভয়পদ রায়ের দাবি, অবৈধ ভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে শম্ভুবাবুকে। থানায় আলোচনার জন্য ডেকে পাঠিয়ে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। আমরা নিশ্চিত, বামফ্রন্টের কোনও শরিক দল, তৃণমূল এবং পুলিশ ষড়যন্ত্র করে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসিয়ে দিয়েছে শম্ভুবাবুকে।”
প্রাক্তন ওই সিপিআই নেতার বিরুদ্ধে মূল অভিযোগের সূত্রপাত গত ২১ জুলাই। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, ওই দিন আরামবাগের গড়বাড়ি থেকে কিছু লোক ব্রিগেডে মুখ্যমন্ত্রীর সভায় যাচ্ছিলেন। তাঁদের মধ্যে কারা ‘প্রকৃত’ তৃণমূল আর কারা সিপিআইয়ের লোক, তা নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে ঝামেলা বাধে। বিষয়টি মারামারি পর্যন্ত গড়ায়। পুলিশ আসে।
ওই দিন শম্ভুবাবুর উসকানিতেই গণ্ডগোল হয়েছে বলে তৃণমূলের কয়েক জন কর্মীর তরফে অভিযোগ দায়ের হয় থানায়। সে দিন পকেট থেকে টাকা কেড়ে নেওয়া, তোলাবাজি, মারধরের ঘটনাও ওই নেতা ঘটিয়েছিলেন বলে অভিযোগ ওই তৃণমূল কর্মীদের। থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয় বৃহস্পতিবার, ৪ অগস্ট। ওই দিনই ধরা পড়েন শম্ভুবাবু। ২১ জুলাইয়ের গোলমালে একটি বাসমালিক সংগঠনের প্রাক্তন সভাপতি প্রদীপবাবুও গোলমালে যোগ দেন বলে অভিযোগ। তৃণমূল নেতৃত্ব পুলিশের ভূমিকায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। |
|
|
|
|
|