|
|
|
|
ফুটব্রিজের বদলে পাকা সেতু চায় ফুলেশ্বরের মানুষ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • উলুবেড়িয়া |
পাশাপাশি দু’টি ছোট্ট শহর ফুলেশ্বর ও উলুবেড়িয়া। মাঝখান দিয়ে বয়ে গিয়েছে পুরনো খাল। এই খালের উপর দিয়েই দক্ষিণ-পূর্ব রেলের ৪২ নম্বর ব্রিজের উত্তরে ফুলেশ্বর (উলুবেড়িয়া পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ড) ও লতিবপুর (১০ নম্বর ওয়ার্ড) এলাকা দু’টির সংযোগকারী একটি সরু ফুটব্রিজ আছে। পায়ে হেঁটে কিংবা বাইক-সাইকেলে সেতু পারাপার করেন মানুষ। কিন্তু মানুষের দাবি, মোটরযান চলাচলের উপযুক্ত একটি চওড়া সেতু তৈরি করা হোক এখানে।
|
|
ছবি: হিলটন ঘোষ। |
সমস্ত সরকারি অফিস, হাসপাতাল, পোস্ট অফিস, ব্যাঙ্ক, স্কুল-কলেজ এমনকী উলুবেড়িয়া থানায় আসতে হলেও ফুলেশ্বরের উত্তরপ্রান্তের মানুষকে এই সেতুটিই ব্যবহার করতে হয়। এটি ছাড়াও অন্য একটি চওড়া সেতু (১১ ফটক) আছে বটে, কিন্তু সেটি এই এলাকা থেকে প্রায় ৪ কিলোমিটার দূরে। কিন্তু ফুলেশ্বর উত্তরপ্রান্তের মানুষকে এই সেতুটি ব্যবহার করতে হলে চার কিলোমিটার রাস্তা তো পেরোতেই হয়, উপরন্তু একটি রেলগেটও পেরোতে হয়। অনেক সময়ে যেখানে দীর্ঘ যানজটেও পড়তে হয়। সমস্যা একটাই, ফুলেশ্বর উত্তরপ্রান্তে আগুন লাগলে উলুবেড়িয়ায় দমকল থাকা সত্ত্বেও সরাসরি ঢোকার উপায় নেই।
বহু বছর আগে এই এলাকার কাছাকাছি একটি পাকা সেতু ছিল। ১৯৭৮ সালে বন্যায় সেটি ভেঙে যায়। পরবর্তী সময়ে ১১ ফটক নামে সেতুটি তৈরি হয়। কিন্তু এই এলাকার মানুষের পক্ষে উলুবেড়িয়া শহরের সঙ্গে দ্রুত ও সরাসরি যোগাযোগ বিঘ্নিত হয়। এর কিছু দিন পরেই অবশ্য নিম্ন দামোদর নির্মাণ কর্তৃপক্ষ এই এলাকায় ৪২ নম্বর রেলসেতুর উত্তরে ফুটব্রিজটি তৈরি করে। বর্তমানে সেই সেতুটিই ব্যবহার হচ্ছে। তবে, তার অবস্থা খুব ভাল নয়। ব্রিজের তলায় লাগানো স্ল্যাব নড়বড়ে বলে জানালেন বাসিন্দারা। ব্রিজটি এত সংকীর্ণ, যানজট সৃষ্টি হয়।
এলাকার বাসিন্দা প্রাক্তন শিক্ষক সুকুমার বসু বলেন, “রাতবিরেতে কেউ অসুস্থ হলে উলুবেড়িয়া হাসপাতাল এত কাছে হওয়া সত্ত্বেও নিয়ে যেতে সমস্যা হয়। কোনও গাড়ি উলুবেড়িয়া থেকে সরাসরি এই এলাকায় ঢুকতে পারে না। জেলা সেচ দফতর জানায়, স্থানীয় মানুষের দুর্ভোগের কথা তাদের অজানা নয়। খুব শীঘ্রই নিম্ন দামোদর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বসে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। |
|
|
|
|
|