বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং সহ-উপাচার্য পদে নিয়োগ নিয়ে রাজ্যপালের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আবেদন জানাল রাজ্যের মানবসম্পদ উন্নয়ন দফতর। আজ রাজ্যপাল দেবানন্দ কুয়াঁরের সচিব আফজল আমানুল্লাকে একটি চিঠি দিয়েছেন রাজ্যের মানবসম্পদ উন্নয়ন সচিব অঞ্জনি কুমার সিন্হা। ওই চিঠিতে উনি বলেছেন, “রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয় আইন ১৯৭৬-এর ধারা ১০(২) এবং পটনা বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৭৬ আইন অনুসারে রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই মাননীয় রাজ্যপাল এ রাজ্যের উপাচার্য এবং সহ-উপার্চায পদে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আমরা তাঁকে এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আবেদন জানাচ্ছি।”
যদিও রাজভবন সূত্রে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে এ রকম কোনও চিঠি এখনও আসেনি। রাজভবনের অতিরিক্ত সচিব সুধীর শ্রীবাস্তব আজ বলেন, “আমাদের কাছে এমন কোনও চিঠি আসেনি।” তবে রাজ্যপাল ইতিমধ্যেই সাফ বলে দিয়েছেন, “নিয়োগ নিয়ে কোনও বিতর্কই নেই। নীতীশ সরকারের সঙ্গে আমার বোঝাপড়া ঠিকঠাক রয়েছে। কিন্তু কেউ কেউ মনে করেন, এটা পি কে শাহির সরকার। তাতে আমার কিছু করার নেই। আমি নীতীশের মনের কথা জানি, নীতীশ আমার।” রাজ্যপালের এই বক্তব্যকে চ্যালেঞ্জ করে রাজ্যের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী পি কে শাহি বলেন, “উনি যখন বলছেন আমাদের সঙ্গে ওঁর আলোচনা হয়েছিল তখন ওঁকে সেটা প্রমাণও করতে হবে। এটা তো সরকারি আলোচনা। কাজেই তার তো একটা প্রমাণ থাকবে।”
মানবসম্পদ উন্নয়ন দফতরের এক কর্তার কথায়, “এখনই আগ বাড়িয়ে সরকার কিছু করতে চায় না। রাজ্যপালের কোর্টে বল ঠেলে দেওয়া হল। রাজ্যপাল কী জবাব দেন, তার উপরে পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক হবে।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং সহ-উপাচার্য মিলিয়ে মোট ১০টি পদে নিয়োগ নিয়ে বছরখানেক ধরে সরকারের সঙ্গে বিরোধ শুরু হয়েছিল রাজ্যপালের। মাস সাতেক আগে সরকার ছ’জন উপাচার্য এবং সহ-উপাচার্যের নাম অনুমোদনের জন্য পাঠালে রাজ্যপাল তা খারিজ করে দেন। গত সাত মাস ধরে রাজ্যপাল এ ব্যাপারে সরকারের সঙ্গে কোনও আলোচনাতেও যাননি। শেষে দিন পনেরো আগে মুখ্যমন্ত্রী এবং মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রীর সঙ্গে এ ব্যাপারে তাঁর একপ্রস্ত আলোচনা হয়। যদিও পি কে শাহির দাবি, “রাজ্যপাল যে তালিকা প্রকাশ করেছেন, তার সঙ্গে সরকারের প্রস্তাবের মিল নেই।”
এ দিকে, জেডিইউয়ের মুখপাত্র এবং রাজ্যসভার সাংসদ শিবানন্দ তিওয়ারি আজ দিল্লি থেকে জানিয়েছেন, রাজ্যপাল দেবানন্দ কুয়াঁরের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকারের যাবতীয় অভিযোগ জানাতে আগামী সপ্তাহের গোড়ায় তিনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদম্বরমের বিরুদ্ধে দেখা করবেন। তিনি বলেন, “স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। উনি আগামী সপ্তাহে আমার সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন।” ইতিমধ্যে অবশ্য শিবানন্দ প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের সঙ্গে দেখা করে পুরো বিষয়টি জানান। প্রধানমন্ত্রীকে শিবানন্দ বলেন, রাজ্য সরকারের পরামর্শ গ্রাহ্য না করেই উপাচার্য এবং সহ-উপাচার্য পদে নিয়োগ করছেন রাজ্যপাল।
পুলিশের মারে বৃদ্ধের মৃত্যু। এক বৃদ্ধকে অন্যায় ভাবে পিটিয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠল বিহার পুলিশের এক জওয়ানের বিরুদ্ধে। কাল রাতে ঘটনাটি ঘটেছে মুজফ্ফরপুরের রামগড় এলাকায়। পুলিশ সূত্রে খবর, বেআইনি মাদকে আসক্ত সন্দেহে সিরাজুদ্দিন (৬৫) নামে ওই ব্যক্তিকে মারতে থাকেন এক স্যাপ জওয়ান। নির্দয় প্রহারে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় সিরাজুদ্দিনের। আজ সকাল থেকে ওই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা স্যাপ জওয়ানের গ্রেফতারের দাবিতে রাস্তা অবরোধ করেন। |