|
|
|
|
বদলি ৩ থানাতেই |
সল্টলেকে নিরাপত্তা তলানিতে কেন, কৈফিয়ত চাইলেন ডিজি |
নিজস্ব সংবাদদাতা |
সল্টলেকে পরপর ডাকাতির রহস্যভেদ এখনও হয়নি। হঠাৎ এ ভাবে ডাকাতের উৎপাত বেড়ে গেল কেন? জবাবের খোঁজে শেষ পর্যন্ত নড়েচড়ে বসেছে পুলিশ-প্রশাসন। শুক্রবার রাতে রাজ্য পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেল নপরাজিত মুখোপাধ্যায় এবং ডিজি (সিআইডি) ভিভি থাম্বি বিধানগরের তিনটি থানার আইসি-দের নিয়ে বৈঠকে বসেন। পুলিশি সূত্রের খবর, ওই আইসি-দের কাছে সল্টলেকের নিরাপত্তা ব্যবস্থার অবনতি নিয়ে কৈফিয়ত তলব করেন ডিজি স্বয়ং।
এ দিন বিধাননগর (উত্তর) থানায় ওই বৈঠকে হাজির ছিলেন উত্তর ২৪ পরগনার পুলিশ সুপার চম্পক ভট্টাচার্যও। পুলিশি সূত্রে জানা গিয়েছে, সল্টলেকের বিভিন্ন ব্লকে, ‘গ্রিন ভার্জে’ এবং রাস্তার মোড়ে ঠিকমতো পাহারাদারি হচ্ছে না কেন, সেই বিষয়ে জানতে চান ডিজি। এর পাশাপাশি বিধাননগর উত্তর, বিধাননগর দক্ষিণ ও বিধাননগর পূর্ব থানায় পুলিশকর্মীদের রদবদলের সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে। সময় হয়ে যাওয়া সত্ত্বেও ওই তিন থানার কয়েক জন অফিসারের বদলি নানা কারণে আটকে আছে। তবে এ দিনের বৈঠকের পরে এ বার সেই সব বদলি নিশ্চিত বলেই মনে করা হচ্ছে।
বুধবার সল্টলেকের এ-এইচ ব্লকে একটি বাড়িতে ভোরবেলা ডাকাতি হয়। সুমিত্রা মুখোপাধ্যায় নামে এক বৃদ্ধাকে বেঁধে মারধরও করে ডাকাতেরা। তারও আগে, ৭ জুলাই কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে পূর্বাচল এবং সি-এফ ব্লকে ডাকাতি হয়েছিল। পরের পর ডাকাতি এবং চুরির ঘটনা ঘটতে থাকায় সল্টলেকের বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। সল্টলেকের বাসিন্দাদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই এই এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা শিথিল হয়ে পড়েছে। বিভিন্ন ব্লকে, রাস্তার মোড়ে কোনও পাহারা নেই। মোটরবাইক ও সাইকেলে চেপে পাহারা দেওয়ার যে-ব্যবস্থা ছিল, তা-ও উঠে গিয়েছে বলে বাসিন্দারা জানিয়েছেন। পুলিশি সূত্রের খবর, কয়েক বছর আগে সল্টলেকে প্রবেশ ও প্রস্থানের রাস্তায় চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশির ব্যবস্থা চালু হয়েছিল। কিন্তু সেই ব্যবস্থাও দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ বলে বাসিন্দাদের অভিযোগ।
অবশেষে কর্তাদের এ দিনের বৈঠকের পরেই নিরাপত্তায় উদ্যোগী হয়েছে সল্টলেকের পুলিশ। রাতেই বিভিন্ন মোড়-সহ রাস্তাগুলিতে পুলিশি প্রহরার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। |
|
|
|
|
|