|
|
|
|
বাড়ছে অসহিষ্ণুতা ও বেপরোয়া মনোভাব |
পথে গাড়ি আটকে মারধর, পাকড়াও ২ |
নিজস্ব সংবাদদাতা |
গাড়ির সামনের সিটে জেঠিমার কোলে বসে ছিল বছর তিনেকের সাগর। চালকের আসনে তার জেঠু সুভাষ সেন। আচমকাই দু’টি মোটরসাইকেলে করে এসে চার যুবক গাড়ি আটকে সুভাষবাবুকে টেনে নামিয়ে মারধর শুরু করে। ইট দিয়ে ভাঙা হয় গাড়ির কাচও। এই সব দেখে সেই থেকে চুপ করে গিয়েছে শিশুটি। তার পর থেকে খাওয়াদাওয়াও বন্ধ করে দিয়েছে সে।
একই অবস্থা সাগরের যমজ ভাই সম্রাটের। তখন গাড়ির পিছনের সিটে মায়ের কোলে ছিল সে। ঘটনার পর থেকে একদম চুপচাপ সম্রাট।
পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার রাত ১০টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে রানিকুঠি এলাকার নেতাজিনগর মোড়ের কাছে। নিজেদের গাড়িতে সপরিবার বাড়ি ফিরছিলেন রিজেন্ট পার্ক থানার রাইফেল ক্লাব রোডের বাসিন্দা সুভাষবাবু।
শুক্রবার সুভাষবাবু বলেন, “পাশ দিয়ে দু’টো মোটরসাইকেলে কয়েক জন যুবক যাচ্ছিল। আচমকাই তারা আমাদের গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে যায়। তাদের এক জন বলে, ‘ঠিক করে গাড়ি চালাতে শেখ। না হলে কী ভাবে গাড়ি চালাতে হয়, তা ভাল করে শিখিয়ে দেব।’ এর পরে মোটরসাইকেল দু’টি সামনে এগিয়ে যায়।” সুভাষবাবুর অভিযোগ, “কিছুটা গিয়ে ফের আমাদের রাস্তা আটকে দাঁড়ায় মোটরসাইকেল দু’টি। এ বার তাদের মধ্যে দু’জন এসে আমাকে গাড়ি থেকে টেনে নামায়। বেধড়ক মারধর শুরু করে। আমার স্ত্রীকেও চড় মারে। সঙ্গে অশ্রাব্য গালিগালাজ। এর পরেই ইট দিয়ে আমাদের গাড়ির কাচ ভাঙা হয়।”
তখনই ঘটনাস্থলে যায় যাদবপুর থানার একটি টহলদার ভ্যান। তাতে ছিলেন যাদবপুর থানার আইসি প্রবীর রায়। ঘটনাস্থল থেকেই অভিজিৎ দাস ও অশোক দত্ত নামে দুই যুবককে গ্রেফতার করেন তিনি। পুলিশ জানায়, ধৃতেরা পূর্ব-পুঁটিয়ারির বাসিন্দা। অভিযুক্ত আরও দু’জনের খোঁজ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শিল্পাঞ্চল) মুরলীধর শর্মা। পুলিশ জানিয়েছে, রাস্তায় গুণ্ডামির ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় টহলদারি বাড়ানো হয়েছে।
সেন পরিবার জানিয়েছে, ওই তাণ্ডবের সময়ে তিন বছরের সাগর ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কেঁদে গিয়েছে একটানা। তাকে শাড়ির আঁচল দিয়ে ঢেকে রেখেছিলেন জেঠিমা মিনু সেন। শুক্রবার মিনুদেবী জানান, ওই ঘটনার পর থেকে কিছু খায়নি সাগর। রাত থেকে ঝিমিয়ে রয়েছে। গাড়ির পিছনের সিটে ছিলেন সুভাষবাবুর মা ও ভাইয়ের স্ত্রী মৌসুমী। সম্রাট ছিল মৌসুমীদেবীর কোলে। ঘটনায় ওই শিশুটিও মানসিক ভাবে ধাক্কা খেয়েছে বলে জানানো হয়েছে তার পরিবারের তরফে। |
|
|
|
|
|