|
|
|
|
শিল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণের পক্ষে টাটা স্টিলও |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
অন্যান্য শিল্প সংস্থার মতো টাটা স্টিল-ও মনে করে শিল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে সরকারের ভূমিকা থাকা উচিত। তা না হলে জমি জোগাড় করতে গিয়ে অসুবিধায় পড়তে পারে সংশ্লিষ্ট সংস্থা। বৃহস্পতিবার কলকাতায় ‘জমি অধিগ্রহণ বিতর্ক’ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে এ ভাবেই সরকারের ভূমিকার পক্ষে সওয়াল করেছেন টাটা স্টিলের এমডি এইচ এম নেরুরকর।
জমি জোগাড়ের ক্ষেত্রে সরকারি সাহায্য পাওয়া না-গেলে কি রাজ্যে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে? |
|
এইচ এম নেরুরকর। ছবি: পিটিআই |
জবাবে নেরুরকার বলেন, “কিছুটা সমস্যা হতেই পারে।” তাঁর মতে, কোথাও বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর স্বাভাবিক ভাবেই প্রকল্পটি শুরু ও শেষ করার ব্যাপারে নিশ্চয়তা চান লগ্নিকারীরা। সে ক্ষেত্রে জমি জোগাড়ে সমস্যা হলে গোটা প্রকল্পই অনিশ্চয়তার অন্ধকারে ডুবে যেতে পারে বলে আশঙ্কা তাঁর।
শিল্পের জন্য সরকার জমি অধিগ্রহণ করবে, না কি শিল্প সংস্থা সরাসরি জমি কিনে নেবে, তা নিয়ে বিতর্ক চলছে দেশ জুড়ে। চলতি বাদল অধিবেশনেই সংসদে এ সংক্রান্ত খসড়া আইন পেশ করতে চায় কেন্দ্র। যেখানে বলা হয়েছে, শিল্পে প্রয়োজনীয় জমির ৩০ শতাংশ নিতে পারে সরকার। যদিও পশ্চিমবঙ্গের নতুন সরকার স্পষ্ট জানিয়েছে, শিল্প গড়তে প্রয়োজনীয় জমি কিনতে হবে সংশ্লিষ্ট বেসরকারি সংস্থাকেই। রাজ্য তাতে হস্তক্ষেপ করবে না।
নেরুরকার এ দিন বলেন, জমি হস্তান্তরের ক্ষেত্রে সরকারের কোনও ভূমিকাই থাকবে না, এটা ঠিক নয়। কারণ বাজার থেকে জমি কেনাবেচার ক্ষেত্রে সরকারি নিয়ন্ত্রণের বড় ভূমিকা রয়েছে। জমি সংক্রান্ত সব নথিপত্র সরকারের কাছে থাকে। আবার কেউ যদি জমি বেচতে চান, তাঁকেও সরকারের নীতি অনুযায়ীই চলতে হবে। কাজেই সে ক্ষেত্রে সরকারি সাহায্য না-মিললে জমি হস্তান্তরে সমস্যা হবে। যার জেরে শিল্পে বিনিয়োগই কার্যত ঝুঁকির মুখে পড়বে। প্রসঙ্গত, সরকারি ভাবে জমির দাম এক বার ঠিক হওয়ার পরও ফের তা নিয়ে গোলমালের জন্যই বাতিল হয়েছে রাজ্যে টাটা মেটালিক্স-এর প্রস্তাবিত প্রকল্প। জমিদাতারা বাড়তি দাম চাওয়ায় পিছিয়ে যায় সংস্থাটি। |
|
|
|
|
|