টুকরো খবর
|
ফের আন্দোলনে নামল জিসিপিএ
নিজস্ব সংবাদদাতা • কোচবিহার |
পাহাড় সমস্যার সমাধানে ত্রিপাক্ষিক চুক্তির দিনেই কোচবিহারে পৃথক রাজ্যের দাবিতে নতুন করে শুরু হল আন্দোলন। সোমবার কোচবিহার রাসমেলা ময়দানে জমায়েত হয়ে আমরণ অনশনে নামলেন গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের সমর্থকেরা (জিসিপিএ)। এদিন বিকেল পর্যন্ত রাসমেলা ময়দানে অন্তত ১০ হাজার অনশনকারী জমায়েত হয়েছেন বলে প্রশাসন সূত্রে দাবি করা হয়েছে। জিসিপিএ-র পক্ষ থেকে অবশ্য দাবি করা হয়েছে, জমায়েত হওয়া অনশনকারীর সংখ্যা কমপক্ষে ৫০ হাজার। পাশাপাশি, এদিন দিল্লির যন্তরমন্তরেও জিসিপিএ-র পক্ষ থেকে আমরণ অনশন শুরু হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। অনশনকে কেন্দ্র করে যাতে শহরে আইনশৃঙ্খলার সমস্যা সৃষ্টি না-হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখে শহরে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। নামানো হয়েছে র্যাফ-সহ সশস্ত্র পুলিশ কর্মীদের। শিলিগুড়ি থেকে আনা হয়েছে জলকামান এবং বজ্র নামে গোলমাল সামাল দেওয়ার আধুনিক গাড়ি। কোচবিহারের পুলিশ সুপার কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “অনশনকে কেন্দ্র করে যাতে কোনও গোলমাল না-হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখে সমস্ত ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।” কোচবিহারের জেলাশাসক স্মারকী মহাপাত্র জানান, শান্তিপূর্ণ ভাবে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা মেটানোর চেষ্টা চলছে। জিসিপিএ সম্পাদিকা নমিতা বর্মন অবশ্য বলেছেন, “পৃথক রাজ্য না-মেলা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। ৫০ হাজার সমর্থক অনশনে সামিল হয়েছেন। আরও বহু লোক রাতের মধ্যে চলে আসবেন।” কোচবিহারকে পৃথক রাজ্য ঘোষণার দাবি ওই সংগঠনের দীর্ঘদিনের। তাঁদের বক্তব্য, দেশ স্বাধীন হওয়ার সময়েই করদ রাজ্য কোচবিহারকে পৃথক রাজ্য হিসাবেই সামিল করা হয়। পরে সেটিকে বেআইনি ভাবে পশ্চিমবঙ্গের একটি জেলা হিসাবে ঘোষণা করা হয়। জিসিপিএর দাবি, কোচবিহারকে ‘গ’ শ্রেণিভুক্ত রাজ্য ঘোষণা করতে হবে। ২০০৫ সালে ওই দাবিতে জিসিপিএ সমর্থকেরা জেলার নানা প্রান্ত থেকে কোচবিহার শহরের উদ্দেশ্যে রওনা হলে পুলিশ বাধা দেয়। সেই সময়ে আন্দোলনকারীদের একাংশের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের জেরে এসডিপিও পদমর্যাদার এক অফিসার-সহ ৩ পুলিশ কর্মীর মৃত্যু হয়। মৃত্যু হয় ২ জিসিপিএ কর্মীর। সে কথা মাথায় রেখেই রাজ্য পুলিশের কর্তারা রাসমেলা ময়দানে নিরাপত্তার ব্যবস্থার নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
|
স্বপ্নপূরণ, চালু হয়েছে কলেজ
নিজস্ব সংবাদদাতা • বালুরঘাট |
আদিবাসী অধ্যুষিত দঃ দিনাজপুরে তপন ব্লকের ছাত্রছাত্রীরা অবশেষে একটি কলেজ পেল। দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হলো স্থানীয় বাসিন্দাদের। সোমবার সকালে তপন হাই স্কুলে আনুষ্ঠানিক ভাবে চালু হয়ে গেল নাথানিয়েল মুর্মু মেমোরিয়াল নামাঙ্কিত নয়া কলেজের পঠনপাঠন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বালুরঘাট লোকসভার সাংসদ প্রশান্ত মজুমদার, প্রাক্তন সাংসদ রণেন বর্মন, সভাধিপতি মাগদালিনা মুর্মু-সহ বিশিষ্ট শিক্ষাবিদেরা। এদিন ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষের জন্য বাংলা, ইংরাজি, ইতিহাস ও সমাজবিদ্যা বিষয়ে ১০০ জন পড়ুয়াকে নিয়ে চালু হয় ওই কলেজ। সাংসদ প্রশান্ত মজুমদার বলেন, “এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের স্বপ্নপূরণ হলো। কলেজের নতুন বাড়ি তৈরির জন্য সাংসদ কোটার সমস্ত টাকা প্রয়োজনে দেওয়া হবে।” দক্ষিণ দিনাজপুরে এই নিয়ে কলেজের সংখ্যা দাঁড়াল ৭টি। তপন দিঘির পশ্চিম পাড়ে প্রায় ১০ একর খাস জমির উপর নয়া কলেজের নিজস্ব পাকা বাড়ি তৈরির পরিকল্পনা হয়েছে। খরচ ধরা হয়েছে প্রায় ৭ কোটি টাকা। জেলার অবহেলিত তপন ব্লকের পড়ুয়াদের উচ্চশিক্ষার জন্য এতদিন প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে বালুরঘাট কলেজ কিংবা ২৫ কিলোমিটার দূরের গঙ্গারামপুর কলেজের উপর নির্ভর করতে হত। আর্থিক দিক দিয়ে দুর্বল শ্রেণির আদিবাসী পড়ুয়াদের একাংশ উচ্চ মাধ্যমিকের পর ড্রপআউট হয়ে যেতেন। সরকারি সমীক্ষা থেকে জানা গিয়েছে, তপন ব্লকে উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলের সংখ্যা ৮টি। গতবারের পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১৫৮৭ জন। পাশ করে ৮০ শতাংশ। ২০০৯ সালে ট্রাস্ট্রি বোর্ড গঠন করে কলেজের নামে ওই খাস জমি হস্তান্তর করে প্রাক্তন সাংসদ রণেনবাবু তাঁর উন্নয়ন তহবিল থেকে থেকে ৫ লক্ষ টাকা দেন। এ ছাড়া গ্রাম পঞ্চায়েত সমিতির-সহ বিভিন্ন গণ সংগঠন থেকে টাকা সংগৃহীত হয় মোট ২০ লক্ষ টাকা। গত মাসে নয়া কলেজের অনুমোদন মেলে।
|
মঞ্চের ডাকা বন্ধ ছ’দিনে
নিজস্ব সংবাদদাতা • হরিশ্চন্দ্রপুর |
পিচ রাস্তার দাবিতে অনড় বাসিন্দারা। আবার বাসিন্দাদের দাবি মেনে এখনই পিচ রাস্তা করা সম্ভব নয় বলে অনড় প্রশাসনও। মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরে ফুলহার বাঁধের ৩০ কিমি রাস্তা পাকা করার দাবিতে ৩টি গ্রাম পঞ্চায়েতে বন্ধ চলছেই। গত বুধবার ওই বন্ধ শুরু হওয়ার পর এ দিন ষষ্ঠ দিনে পড়ল বন্ধ। গত বুধবার দৌলতনগর, ইসলামপুর ও ভালুকা গ্রাম পঞ্চায়েতে তালা ঝোলানোর পাশাপাশি এলাকাগুলির সব ক’টি স্কুল, ব্যাঙ্ক, সরকারি দফতরের তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। সার্বিক বন্ধে সর্বস্তরের বাসিন্দারা সমস্যায় পড়লেও স্বতঃস্ফূর্ত ভাবেই তাঁরা তা করছেন বলে জনজাগরণ নাগরিক মঞ্চের তরফে দাবি করা হয়। গত শুক্রবার বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের তরফে আলোচনায় বসা হলেও সমস্যা মেটেনি। অতিরিক্ত জেলাশাসক তরুণ সিংহরায় বলেন, “বুধবার ফের আলোচনায় বসা হবে। কিন্তু এই মুহূর্তে পিচের রাস্তা করা সম্ভব নয়। টাকা নেই।” কমিটির সভাপতি শেখ মসিম বলেন, “দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।”
|
আন্দোলনে বামেরা
নিজস্ব সংবাদদাতা • বালুরঘাট |
আদিবাসী বিধবা মহিলাকে গণধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে রাস্তায় নামল সিপিএম, সিপিআই, আরএসপি-সহ বিভিন্ন বামপন্থী মহিলা সংগঠনের কর্মীরা। সোমবার বালুরঘাটে জেলার পুলিশ সুপারের দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখান ওই মহিলা কর্মীরা। আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন প্রাক্তন বিধায়ক মাফুজা খাতুন। তাঁর অভিযোগ, গত ৭ জুলাই গঙ্গারামপুর থানার অশোকগ্রাম এলাকায় ৩ দুষ্কৃতী ওই মহিলাকে ধর্ষণ করেন। ওই মহিলা চিকিৎসাধীন। অভিযোগ দায়ের করা হলেও পুলিশ এখনও কাউকে ধরেনি। গত ২৬ জুন গঙ্গারামপুরের রাজীবপুরে নয় বছরের বালিকাকে ধর্ষণের ঘটনাতেও পুলিশ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি। জেলার পুলিশ সুপার স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় পূর্ণপাত্র অভিযোগ খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।
|
চাঁদা তুলে সংস্কার
নিজস্ব সংবাদদাতা • ফুলবাড়ি |
পঞ্চায়েতে বারবার দাবি জানিয়েও লাভ না হওয়ায় গ্রামবাসীরা নিজেরাই চাঁদা তুলে রাস্তার সংস্কার করলেন। সোমবার ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি বিধানসভার ফুলবাড়ি-২ অঞ্চলের বাইপাস এলাকায় পশ্চিম ধনতলা গ্রামের ঘটনা। গ্রামবাসীদের তরফে আবুবক্কর সিদ্দিক বলেন, “বাইপাস এলাকায় জাতীয় সড়ক থেকে পশ্চিম ধনতলা গ্রামে যাতায়াতের একমাত্র ভরসা রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে বেহাল হয়ে রয়েছে। চলাচলের অযোগ্য। পঞ্চায়েতে বারবার দাবি জানানোর পরেও রাস্তাটি সংস্কারে হেলদোল নেই।”
|
দেহ উদ্ধার |
মহানন্দা থেকে এক যুবকের গলাকাটা দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার মালদহের চাঁচলের আশাপুরে মহানন্দায় গলাকাটা ওই দেহ ভাসতে দেখে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ জানায়, দেহটি পাথরের খাঁজে আটকে ছিল। মৃতের পরিচয় যাতে জানা না যায় সেজন্য মুখে অ্যাসিড ঢেলে দেওয়া হয়।
|
রায়গঞ্জে দেহ উদ্ধার |
গৃহবধূর পচাগলা দেহ উদ্ধার কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হল রায়গঞ্জের ভাটোলে। সোমবার দুপুরে এলাকার একটি পাট খেতে দেহটি পড়ে থাকতে দেখে বাসিন্দারা পুলিশকে জানান। মৃতার নাম মায়েফা খাতুন (২০)। তাঁর বাড়ি কৃষ্ণমুড়ি এলাকায়। প্রায় এক মাস ধরে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। |
|