|
|
|
|
ওঁরা বলেন |
গোর্খাল্যান্ড বিতর্কের জবাব দিলেন মমতা |
অনিন্দ্য জানা • সুকনা |
গোর্খাদের ঐতিহ্যগত পোশাক ‘দাউরা-সুরুয়াল’ পরা বিমল গুরুঙ্গের কাঁধে স্নেহের হাত রাখলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদম্বরম, “ইউ মাস্ট বি ভেরি হ্যাপি টুডে?”
বিগলিত হাসলেন গুরুঙ্গ।
পিনটেল ভিলেজের চত্বরে বিশাল অনুষ্ঠান মঞ্চের পিছনে তখন সবে পৌঁছেছেন চিদম্বরম। সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একটু পরেই সই হবে ‘ঐতিহাসিক’ পাহাড় চুক্তি। দীর্ঘ অচলাবস্থা, হিংসাত্মক আন্দোলন পেরনোর প্রক্রিয়া শুরু হবে দার্জিলিং পাহাড়ে। একের পর এক বন্ধ-অবরোধে ক্লান্ত পাহাড়ের মানুষ যে অবস্থা থেকে বেরোতে চাইছিলেন। মার খাচ্ছিল পর্যটন। এই অবস্থা থেকে বেরোতে একটা ‘সম্মানজনক রাস্তা’ তো দরকারই ছিল গুরুঙ্গদের। তাঁদের সেই পথ দেখিয়েছেন মমতা। ‘সুখী’ না-হয়ে গুরুঙ্গদের উপায় কী?
খানিক পরে আনুষ্ঠানিক মঞ্চ থেকে এই গুরুঙ্গকেই ‘মাই গুড ফ্রেন্ড’ সম্বোধন করে দু’টি ‘পরামর্শ’ দেবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। যেগুলোকে অবশ্য ‘সতর্কীকরণ’ বলে ধরাই ভাল এবং তা একেবারেই নিরামিষ ‘বিধিসম্মত’ নয়। বরং যথেষ্ট ‘সিরিয়াস’। এক, “আপনাদের এক একটা করে ইট গাঁথতে হবে। সে কাজে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকার আপনাদের সমস্ত সাহায্য করবে। কিন্তু মনে রাখবেন, যে দায়িত্ব আপনাদের দেওয়া হচ্ছে, আপনাদের প্রমাণ করে দেখাতে হবে যে, আপনারা তার যোগ্য।” এবং দ্বিতীয়, “ভারত এক বহু বিচিত্রতার দেশ। তা না-থাকলে ভারত হয় না। সেই কারণেই আমি ভারতীয় হিসেবে গর্বিত। যে এলাকার দায়িত্ব আপনাদের দেওয়া হচ্ছে, তা-ও বহু বর্ণ-ধর্ম-ভাষা-সংস্কৃতি সংবলিত। আপনারা দেখবেন, যেন নতুন প্রশাসন সেখানকার সমস্ত বাসিন্দাদের প্রতিই সমান সশ্রদ্ধ থাকে।” |
|
অর্থাৎ, যে চুক্তি সই হল, তাতে কোনও ভাবেই রাজ্য ভাগের প্রসঙ্গ নেই। ভারত তথা পশ্চিমবঙ্গের ঐক্য এবং অখণ্ডতা রক্ষা করেই গুরুঙ্গদের সঙ্গে চুক্তি করল সরকার।
এর পরেও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর গোর্খা জনমুক্তি নেতাদের প্রতি চূড়ান্ত সতর্কীকরণ: “উই উইল ওয়াচ ইউ কেয়ারফুলি হোয়েন ইউ রি-বিল্ড দ্য হোল এরিয়া।” অর্থাৎ, চুক্তি অনুযায়ী আগামী তিন বছর যে ২০০ কোটি টাকা করে দেওয়া হবে নতুন প্রশাসনকে, তা ঠিকঠাক ব্যয় হচ্ছে কিনা, তার উপর ‘তীক্ষ্ন নজর’ রাখবে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকার।
আশ্চর্য নয় যে, চিদম্বরমের অব্যবহিত পরে বলতে উঠে মমতাও সটান ঘোষণা করলেন, “দার্জিলিং পশ্চিমবঙ্গের বাইরে নয়। পাহাড় এবং শিলিগুড়ি আমার দুই বোন। দার্জিলিং এবং শিলিগুড়ি আমাদের হৃদয়ে। তরাই-ডুয়ার্সও আমার হৃদয়ে। আমরা কোনও বিভ্রান্তি তৈরি করতে চাই না। আমাদের লাইন খুব সোজা। বাংলা ভাগ হচ্ছে না। আমরা দার্জিলিংকে সঙ্গে নিয়েই হাসব।” কাতারে কাতারে পাহাড়ি জনতাকে সামনে রেখে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেছেন, “আপনারা দার্জিলিং এবং গোটা বাংলাকে সুন্দর বানান। আমরা আপনাদের সঙ্গে আছি। আগামী ছ’মাসের মধ্যে এখানে ভোট হবে। গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (জিটিএ) আমাদের সঙ্গেই কাজ করবে।” তখন যিনি মঞ্চে বসে ঘনঘন ইতিবাচক মাথা নাড়ছেন, তাঁর নাম বিমল গুরুঙ্গ।
বস্তুত, দার্জিলিং পাহাড় যে কোনও মতেই রাজ্য থেকে বিচ্ছিন্ন হচ্ছে না, ভিভিআইপি অভ্যাগতদের মোর্চার তরফে উত্তরীয় পরানো বা দার্জিলিং চায়ের প্যাকেট উপহার দেওয়ার আনুষ্ঠানিকতা বাদ দিলে সেটাই ছিল এ দিনের চুক্তি-সম্পাদন কর্মসূচির মূল সুর। মমতা, চিদম্বরম তো বটেই, প্রারম্ভিক বক্তৃতায় রাজ্যের মুখ্যসচিব সমর ঘোষও বলে দিয়েছেন, “রাজ্যের আইনের আওতাতেই নতুন স্বশাসিত প্রশাসন কাজ করবে।” যার নির্যাস রাজ্য ভাগের কোনও প্রশ্নই ওঠে না! |
|
খুশির মুূহূর্তে। পাহাড় চুক্তি স্বাক্ষরের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদম্বরম এবং গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার প্রধান বিমল গুরুঙ্গ। সুমন বল্লভ |
মমতা এ দিন সকাল থেকেই জানিয়ে দিয়েছিলেন, চুক্তিতে তরাই-ডুয়ার্স দিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে যে ‘বিভ্রান্তি’ ছড়ানো হচ্ছে, তা আদৌ সত্যি নয়। চুক্তির প্রতিবাদে যে অবরোধ কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছিল, কড়া হাতে তারও মোকাবিলা করার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি, এ দিনই সকাল থেকে গোটা এলাকায় এসএমএস জারি হয়ে গিয়েছিল, ‘তরাই-ডুয়ার্সের নাম হচ্ছে গোর্খাল্যান্ড। এর পর কোচবিহারের নাম হবে কামতাপুর। আপনি কি এই পরিবর্তনই চান?’ দ্রুতই খবর যায় মমতার কাছে। তিনি ঠিক করেন, সংক্ষিপ্ত বক্তৃতাতেই ওই রটনার কড়া ‘রাজনৈতিক মোকাবিলা’ করবেন। মঞ্চে ওঠার আগে চিদম্বরমকেও বিষয়টি জানান মমতা। সম্ভবত সেই জন্যই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও তাঁর বক্তৃতায় বলেন, “দু’জন মানুষের সাহায্য ছাড়া এটা সম্ভব হত না। প্রথম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দ্বিতীয়, আমার গত আড়াই বছরের বন্ধু বিমল গুরুঙ্গ। আজ থেকে জিটিএ-র যাত্রা শুরু হল। আমি নিশ্চিত, যাত্রাপথে অনেক বাধাবিপত্তি আসবে। কিন্তু এমন কোনও বাধা নেই, যা আলোচনা এবং পারস্পরিক দেওয়া-নেওয়ার মাধ্যমে অতিক্রম করা যায় না।” এক নিশ্বাসে চিদম্বরম বলে দেন, “এখন সারা দেশে একটাই শব্দ আলোচিত হচ্ছে পরিবর্তন। এ দিনও পরিবর্তন শুরু হল। এক উন্নততর ভবিষ্যতের দিকে।” ‘ঐতিহাসিক’ চুক্তি সইয়ের আগের সময়টাও নিজের তারে বেঁধে নিয়েছিলেন মমতা। চুক্তির বিষয়টি কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার রাজনীতি বিষয়ক কমিটির বৈঠকে আলোচনা করে (প্রসঙ্গত, ওই বৈঠকে আলোচনা না-হওয়ায় চিদম্বরম একটা সময়ে চুক্তি সইয়ের বিষয়টি এক দিন পিছিয়েও দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু মমতা তাতে রাজি হননি) চিদম্বরম তাঁর বিশেষ বিমানে বাগডোগরায় রওনা দেন। তিনি পিনটেল ভিলেজে পৌঁছচ্ছেন খবর পেয়ে মমতা সুকনার বনবাংলো ছেড়ে বেরোন। কিন্তু সকলকে হতচকিত করে গাড়িতে না-উঠে সটান হাঁটা লাগান পিনটেল ভিলেজের দিকে। কাতারে কাতারে গোর্খা জনতা বেরিয়ে আসে রাস্তায়। ‘খাদা’ পরিয়ে, পা ছুঁয়ে প্রণাম করে মুখ্যমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানায় তারা। তত ক্ষণে ঐতিহ্যগত পোশাকে পাহাড় থেকে ভিলেজে পৌঁছে নাচগান শুরু করে দিয়েছেন দার্জিলিং-কালিম্পং-কাশির্য়াংয়ের বহু বাসিন্দা। সুকনা বাজার পর্যন্ত (ওই রাস্তায় যত দূর জনবসতি রয়েছে) পায়ে হেঁটেই যান মমতা। তার পর ওঠেন গাড়িতে। |
|
চলার পথে। শিশুকে কোলে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সোমবার সুকনায় বিশ্বরূপ বসাকের তোলা ছবি। |
গোর্খা জনতার ‘কাছাকাছি’ পৌঁছনোর প্রক্রিয়া তখনই শুরু হয়ে
গিয়েছিল তাঁর। যে বৃত্ত সম্পূর্ণ হবে অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে, যখন তিনি সরাসরি জনতাকে বলবেন, “আপলোগ খুশ হ্যায়? দিল সে খুশ হ্যায় না? জরা জোর সে আওয়াজ দো!”
আর উদ্বেল হবে জনতা।
যে ‘গোর্খাল্যান্ড’ শব্দটি চুক্তিতে থাকা নিয়ে আপত্তি তুলেছিলেন বিরোধীরা, কঠোর ভাষায় তারও মোকাবিলা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। রীতিমতো সরকারি নথি নিয়েই মঞ্চে উঠেছিলেন মমতা। যা উদ্ধৃত করে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, ২০১০ সালের ১৭ অগস্ট রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষেই ‘গোর্খাল্যান্ড’ নামটি রাখার বিষয়টি ঠিক হয়েছিল। অর্থাৎ, ওই বিষয়টি পূর্বতন বাম সরকারই ঠিক করে রেখেছিল। মমতার আরও বক্তব্য, “আমরা শুধু একটা শব্দ বদলেছি। আগে ছিল ‘রিজিওনাল’। আমরা করেছি ‘টেরিটোরিয়াল’। অনেকে এখন এখানে আমরা বাঙালি-আমরা বাঙালি বলে লাফালাফি শুরু করেছেন। তা হলে আমরা কি কাঙালি?” আরও বলেছেন, “ও সব কামতাপুর-টুর হবে না! কতগুলো দালাল এ সব কাণ্ড করে বেড়াচ্ছে!”
বিগত বাম সরকারের কড়া সমালোচনা করে গুরুঙ্গ যা বলেছেন, তাতেও মমতার অখুশি হওয়ার কোনও কারণ নেই, “এই দিনটা আগেও আসতে পারত। কিন্তু ৩৪ বছরের সিপিএম সরকার তা হতে দেয়নি! এখন যে চুক্তি হচ্ছে, তার জন্য মমতাদিদিকে ধন্যবাদ। আমরা গর্বিত।” আর অনুষ্ঠানের পর মোর্চা সভাপতি বলেছেন, “এখন কাজ করতে হবে।” যা থেকে স্পষ্ট, পৃথক গোর্খাল্যান্ড যে মিলবে না, সেই বাস্তবতার সঙ্গেও রফা করে নিয়েছেন তাঁরা। আর হাল্কা চালে হলেও মমতাও মোর্চা নেতাদের বলে দিয়েছেন, “এত দিন পাহাড়ে কোনও কাজ হয়নি, কারণ আপনারা বাইরের লোককে ঢুকতে দেননি। এ বার সব হবে।”
|
বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন... |
সুকনা ডায়েরি |
জিটিএ এক নজরে |
|
পাহাড়ের উন্নয়নের জন্য ঢালাও প্যাকেজ রয়েছে চুক্তিতে। আর রয়েছে তরাই-ডুয়ার্স সংক্রান্ত দাবির ফয়সালা করার জন্য ‘উচ্চক্ষমতা-সম্পন্ন’ কমিটির কথা। যে কমিটিতে মোর্চা এবং সরকারের তরফে চার জন করে সদস্য রয়েছেন। চেয়ারম্যান হবেন রাজ্য সরকারের মনোনীত কেউ (প্রশাসনিক সূত্রের খবর, সেই দায়িত্ব দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে সমরবাবুকেই)। ওই কমিটি তরাই-ডুয়ার্সের বিষয়টি বিবেচনা করে ঐকমত্যের ভিত্তিতে রিপোর্ট দেবে। যে রিপোর্ট রাজ্য সরকার ‘মানতে পারে’।
অর্থাৎ, মানতে না-ও পারে।
রাজ্য প্রশাসনের এক শীর্ষ কর্তার কথায়, “এই ধরনের কোনও বিষয়ে কমিটি গঠন মানেই প্রক্রিয়াটাকে শ্লথ করে দেওয়া। চুক্তি অনুযায়ী, ওই কমিটির সুপারিশ কিন্তু রাজ্য সরকারের উপর বাধ্যতামূলক নয়।” তাঁর আরও বক্তব্য, “যারা এত দিন ধরে একটা নির্দিষ্ট দাবিতে আন্দোলন করছে, কাগজেকলমে অন্তত তাদের দাবিকে একটা স্বীকৃতি দিতেই হয়। মোর্চা নেতাদেরও তো মুখরক্ষার জন্য কিছু একটা দরকার। ফলে বলা হয়েছে, গোর্খাল্যান্ডের দাবি গোচরে রেখেই চুক্তি সই করা হচ্ছে।”
আনুষ্ঠানিকতার কিছু ক্ষণ আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে এক এক করে তাঁর মন্ত্রিসভার সহকর্মীদের পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মণীশ গুপ্ত, করিম চৌধুরী, গৌতম দেব. কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দীনেশ ত্রিবেদী, মুকুল রায়। ছিলেন দার্জিলিংয়ের বিজেপি সাংসদ যশোবন্ত সিংহও। মঞ্চে রইলেন তাঁরাও। আর চুক্তিতে সই করলেন মোর্চার সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি, রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব জ্ঞানদত্ত গৌতম এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের যুগ্মসচিব কেশব পাঠক। মঞ্চের সামনের টেবিলে বসে তাঁরা যখন তিনটি চুক্তিপত্রে সই করছেন, তখন পটভূমিকায় সার দিয়ে দাঁড়িয়ে মমতা-চিদম্বরম-গুরুঙ্গরা।
অনুষ্ঠানের শুরু হয়েছিল নেপালি ভাষায় স্বাগতসঙ্গীত দিয়ে। শেষ হল কীসে? না, জাতীয় সঙ্গীতে। বলা বাহুল্য, মুখ্যমন্ত্রীর আগে থেকে-দেওয়া নির্দেশেই। যে নির্দেশে আরও এক বার স্পষ্ট ‘বার্তা’ গেল, দার্জিলিং পাহাড় রয়ে যাচ্ছে দেশের অখণ্ড অংশ হয়েই। ভারত এবং পাহাড়ের জাতীয় সঙ্গীত এক জনগণমন...।
|
এক নজরে প্রাপ্তি |
• হাজার একরে বিশেষ আর্থিক অঞ্চল। অত্যাধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি
হাব। ক্ষুদ্র ও অতিক্ষুদ্র জলবিদ্যুৎ প্রকল্প।
• আইআইটি, মেডিক্যাল ও নার্সিং কলেজ। প্রতি মহকুমায় পলিটেকনিক, আইটিআই।
• তিন পাহাড়ি মহকুমায় সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল।
• সেবকের কাছে তিস্তায় নতুন সেতু।
• চালু হবে হেলিকপ্টার সার্ভিস।
• দার্জিলিং শহরে অত্যাধুনিক বহুতল পার্কিং ব্যবস্থা।
• কালিম্পং, দার্জিলিং ও মিরিকে রোপওয়ে। |
|
|
|
|
|
|