গানের তালে
মিউজিক বাজছিল আগে থেকেই। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী ও বিমল গুরুঙ্গ-সহ ১৫ জন সামনের সারিতে চেয়ারে বসতেই শুরু হল গোর্খা সাংস্কৃতিক পরিষদের স্বাগত সঙ্গীত। নেপালি ভাষায়। তালে তালে মেতে উঠল জনতা। আবেগে ভেসে গেলেন খোদ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। অনেকক্ষণ হাততালি দিলেন। মাঝেমধ্যেই জনতার দিকে হাত নাড়তে দেখা গেল দার্জিলিঙের বিজেপি সাংসদ যশোবন্ত সিংহকে। টানা তালি দিয়ে মাতলেন রেলমন্ত্রী দীনেশ ত্রিবেদীও। দর্শক আসন থেকে এক তৃণমূল নেতা আবেগে গেয়ে উঠলেন, ‘বিবিধের মাঝে দেখ মিলন মহান।’
চোখ বুলিয়ে
ত্রিপাক্ষিক চুক্তি হবে আর তিনি একবার চোখ বুলিয়ে দেখবেন না? সিঙ্গুর বিল হোক কিংবা বাণিজ্যিক সংস্থার সঙ্গে সমঝোতাপত্র-- পড়াশোনার দায়িত্বেই তো তাঁকে দেখতে অভ্যস্ত রাজ্যবাসী। পাহাড়-চুক্তিতেও অন্যথা হল না। তিনি পার্থ চট্টোপাধ্যায়। রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী। তৃণমূলের এক মন্ত্রীর মন্তব্য, “পার্থদা আগে থেকেই সব জানেন। তবুও শেষ মুহূর্তে তিনি চোখ বুলিয়ে নিলে আমরা একটু বেশি নিশ্চিন্ত হই।”
ওঁরা ৩ জন
পিনটেল ভিলেজে ঢোকার মুখেই দাড়িয়ে তিন জন। এসেছেন সুদূর বনগাঁ থেকে। সঙ্গে কাপড়ের তৈরি তিন ব্যাগ বোঝাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি এবং সংক্ষিপ্ত জীবনী। যেখানেই ‘দিদি’র সভা, সেখানেই তিন জন। সুনীল, নিমাই ও প্রদীপ। দিদির জীবনী এবং দিদিকে নিয়ে লেখা কবিতার বই হাতে হাতে বিকিয়ে গেল। তবে বহু নেপালিভাষী সেখানে হাজির ছিলেন। হিন্দি বইয়ের চাহিদা তাই খানিকটা বেশিই ছিল। ওঁরা জানালেন, এর পর উত্তরবঙ্গ এলেই হিন্দি বইও সঙ্গে রাখবেন।
কর্ডলেস মাইক
সোমবার সাতসকালেই সরকারি মঞ্চ প্রস্তুত। সভা শুরুর আগে মঞ্চে উঠে এলেন এক সরকারি কর্তা। তিনি দেখলেন, মঞ্চে কর্ডলেস মাইক নেই। আয়োজকদের ডেকে ব্যবস্থা করলেন কর্ডলেস মাইকের। বক্তৃতা দিতে দিতে মঞ্চের এক দিক থেকে অন্য দিকে ঘুরে বেড়াতেই স্বচ্ছন্দ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই কর্ডলেস মাইক না থাকলে কি চলে? শেষ পর্যন্ত অবশ্য একজায়গায় দাঁড়িয়েই বক্তৃতা করলেন মুখ্যমন্ত্রী।
শান্তির প্রতীক
পিনটেল ভিলেজে দেখা গেল, অনেকেরই হাতে হাতে ঘুরছে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি। ছবির ফ্রেমের নীচে লেখা ‘শান্তির প্রতীক’। সরকার থেকে মোটেই বিতরণ করা হচ্ছে না, মঞ্চের একপাশে সেই ছবির পসরা নিয়ে বসছেন এক .যুবক। তাঁকে ঘিরে ভিড় জমিয়েছেন পুরুষ-মহিলারা। হাতে হাতে ঘুরছে ‘শান্তির প্রতীক’।
পুলিশকে চাউমিন
মঞ্চ থেকে অনেকটা দূরে মাঠের মধ্যেই ছাতা মাথায় বসে তিন মহিলা। ব্যাগে থেকে বেরলো টিফিন বক্স। চাউমিন ও আলুভাজা। সেই দিয়েই দুপুরের খাওয়ার তোড়জোড়। হঠাৎ নজরে পড়ল পাশেই দাঁড়ানো এক পুলিশ কনস্টেবল। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকেও দিলেন বাড়ি থেকে বানিয়ে আনা চাউমিন। প্রথমে আপত্তি করলেও পরে কিছুটা খেয়েও নিলেন ওই পুলিশকর্মী। কালিম্পঙের বাসিন্দা গৌরী তামাংরা খুশিই হলেন।
|
|